পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আর কত - শর্মিস্টা মাজি

ছবি
শর্মিস্টা মাজি    তারা গুলো একে একে গেলো  কাল. ইরফান ,আজ ঋষি এই দুঃসময়ে কত দূর্যয় এলো  কুয়াশা বিছান শব্দহীন রাত্রি. কার অপেক্ষায় । আধখানা জীবন নিয়ে এক দৃষ্টেভারাক্রান্ত হৃদয়ে জীবন যুদ্ধে গৃহবন্দি  ওরা কাঁদে এক খানা রুটি...... তবু জলভরা চোখে অপেক্ষা আবারকে কে !!! চূনি গোস্বমী আমাদের মন চূর্নবিচূর্ন করে চলেগেলেন  শান্তির দেশে  আর কত  ......!!!!!

গৃহবন্দি নববর্ষ - স্বপ্না ব্যানার্জি

ছবি
গৃহবন্দি নববর্ষ          স্বপ্না ব্যানার্জি   সকালের নির্মল বাতাস হৃদপিন্ডের ভিতর জন্ম দেয় এক প্রচণ্ড শক্তি,  সেই শক্তির উৎস কোথায়?? সূর্য ডোবা রক্তিম আকাশের ভাল লাগাকে নিয়ে চলে গেছে চৈত্রীর বিকেল, ফুল ফোটা বসন্তের সোনা ঝরা সকlলকে  সাথে নিয়ে হাজির বৈশাখী নববর্ষ, সকলের হৃদয়ের আলিম দে দোলা দেয়  শিরশিরে হlওয়া আর আনন্দের শিহরণ, সারা পৃথিবী যেন কষ্টকর স্মৃতির পাহাড়,  সুপ্রাচীর ঘেঁষা বটবৃক্ষ হয়ে হিমালয়ের  মত আশাতিত প্রত্যাশার জন্য পুরনো  পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বসে আছে!  কবে ফিরে আসবে জীবাণু মুক্ত পৃথিবী, জীবনে কোন দিন ও যা হয়নি আজ তা করতে হচ্ছে বাঁচার তাগিদে, থাকতে হচ্ছে গৃহবন্দি, শুধু তুমি বা আমি নই  ভগবানের দরজা ও য়াজ বন্ধ, কিছুই থেমে থাকে না, ভেবেছিলাম প্রতি বছরের মতো এ বছরেও  আসবে নববর্ষ মমতাময়ী নারীর মত প্রদীপ হাতে, উৎসবের মহানন্দে ভরে উঠবে বৈশাখের গান, আজ হঠাৎ কালো মেঘের ছায়া  সকলের মনকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করে দিতে চাই, অন্ধকারে ঢেকে দিতে চাই পৃথিবীর আলো,  তোমার জন্যই করব মোরা আনন্দের আয়োজন আবার আসবে ফিরে মোদের ব্যস্ততার জীবন, তখন থাকবে না তুমি গৃহবন্দি, আনন্দে

মঙ্গলকোটে পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তরুণ মৎসব্যবসায়ী

ছবি
মহম্মদ নাসারুতুল্লা ( চন্দন)    কসেমনগর স্টেট ব্যাংক শাখার নিকটেই থাকেন দেবগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সহ শিক্ষক মহম্মদ নাসরতুল্লা । বৃহস্পতিবার 30শে এপ্রিল  2020 ষষ্ঠ রমজানের সেহরী খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে ভোর চারটে নাগাদ তিনি বাড়ীর বাইরে এক হৃদয় বিদারক চিৎকার শুনে ছুটে  বেরিয়ে আসেন। দেখেন  একজন ব্যক্তি পাগলের মতো চিৎকার করতে করতে ছুটছে।  সে জানালো অজানা একটি  গাড়ির ধাক্কায় একজন রাস্তার ধারে  ছিটকে পড়ে গেছে। শিক্ষক মহাশয় ছুটে গিয়ে দেখেন ব্যক্তিটি তাঁর পরিচিত গতিষ্ঠা গ্রামের চৌধুরী লাল মিঞার জ্যেষ্ঠ পুত্র চৌধূরী নসরৎ ইসলাম, বয়স 30 বছর, পেশায় মৎস্য চাষী। শিক্ষক মহাশয় সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনা গ্রস্ত ব্যক্তির বাড়িতে ফোন করে খবর দেন। পথ চলতি দুএকজন মানুষও দাঁড়িয়ে পড়েন । একটি মারুতি দাঁড় করিয়ে আহতকে গাড়িতে তোলার সময় তাঁর বাড়ির লোকেরা এসে হাজির হন এবং তাকে মঙ্গলকোট বি পি এইচ সি তে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ও ময়না তদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলকোট থানায় একটি লিখিত এফ আই আর দায়ের করা হয়। মৃত যুবকের স্ত্রী ও 4 বছরের একটি স

অপারেশন কোভিড জিরো কর্মসূচি পালনে মালি পাঁচঘড়া থানা

ছবি
সুকান্ত ঘোষ   রাজ্যে প্রথম দিকে করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের বাড়ী হাওড়ার সালকিয়া সংলগ্ন মালি পাঁচঘড়া  থানা এলাকায়। এই থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র প্রথম থেকেই 'আপারেশন কোভিড জিরো' কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা নেন।  যারা এই কর্মসূচিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের উৎসাহ দিতে আইসি অমিত কুমার মিত্র কোভিড জিরোর লোগো টি শার্ট তুলে দেন।           

অভুক্তদের রান্নার হিরে থেকে জিরে সবই দিচ্ছে পল্লি মঙ্গল সমিতি

ছবি
সেখ সামসুদ্দিন    বর্ধমানের পল্লীমঙ্গল সমিতির উদ‍্যোগে "বিনা পয়সার হাট"। সরকারী উদ্যোগে চাল পাচ্ছে সকলেই প্রায়, কিন্তু তার সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল, তেল, সব্জী ইত্যাদি জিনিষের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে  সাধারণ মানুষ। কাজ হারিয়ে ঘরে বসে তাই সাধকে বেঁধে রেখে সাধ্য মতন খেয়েই পেট ভরাচ্ছে অনেক নিম্নবিত্তই ! অনেক সংগঠন চাল, ডাল, তেলের পসরা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেও নানারকম সব্জী সহকারে অনান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হাটের আকারে সাজিয়ে মানুষের  প্রয়োজন মতন তা তুলে দেওয়া হল বর্ধমানের চাঁদসোনা এলাকায়। খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটে ভরে আমাদের ইচ্ছা মতন মানুষকে প্রদান নয় বরং মানুষের পছন্দ মতন খাদ্য সামগ্রী বেছে নেওয়ার সুযোগ দিল পল্লিমঙ্গল সমিতি। এদিন প্রায় আনুমানিক ২০০ পরিবার তাদের পছন্দ মতন খাবার নিয়ে গেলেন এই "বিনা পয়সার হাট " থেকে। সমস্ত রকম নিয়ম কানুন মেনে সোশ্যাল ডিস্টেন্স বজায় রেখে এই হাটে মানুষ জন অংশ নেয় আজ। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন এই বিনা পয়সার হাটে বলে জানান পল্লীমঙ্গল সম্পাদক সন্দীপন সরকার।

হলদিয়ার বিভিন্ন বাজারে ঢুকবার মুখে চলছে থার্মাল স্কিনিং

ছবি
জুলফিকার আলি    এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে একটাই উপায় বাড়িতে থাকুন ও প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। মাক্স ছাড়া বেড়াবেন না। পশ্চিমবঙ্গে মোট চারটি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া এগরা তমলুকে করোনা ভাইরাসের পজেটিভ মিলেছে বলে এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। সেই জন্যই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। যে সমস্ত জায়গায় মানুষের ভিড় রয়েছে সেই জায়গা গুলো যাতে না অযথা ভিড় জমে তার চেষ্টা করেছে প্রশাসন।  কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ এই লকডাউনকে অমান্য করেই বাড়ির বাইরে বেরোছে বিনা মাস্কে। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে বাড়ি থেকে বাইরে যাতে না আসে সেদিকে ও কিন্তু বারবার বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন বাজার হাটে ঢোকার মুখেই  থার্মাল স্ক্রীনিং টেস্ট শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। জেলা প্রশাসনের থেকে বারবার বলা সত্ত্বেও যে সমস্ত মানুষরা মানছে না তাদের কাছে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যেকোন রকম ভাবে এই লকডাউনকে অম

লকডাউনে শ্রী শ্রমিক আহমেদের আত্মকথা

ছবি
লকডাউন : শ্রী শ্রমিক আহমেদের আত্মকথা           শেখ রেজওয়ানুল ইসলাম আমি শ্রী শ্রমিক আহমেদ।শিক্ষিত বেকার।তাই খেটে খাই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে হেজে গলদঘর্ম হয়ে দুটো পয়সা কামাই।তাতেই পেট চলে আমার। আমার পরিবারের। আমার ছোট্ট মেয়েটার জন্য,না দুধ নয়; সুজি কিংবা বার্লি খাওয়াই। ওর মা পালা করে করে এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে।থালা বাসন মাজে,ঝাঁট দেয়,জল বয়। বিকেলটা হয়ে যায় দুপুর।তাই স্বাস্থ্যটা ভগ্ন।বুকের দুধ কবেই মরে গেছে।তাই মেয়েটা সুজি খায় আর আঙুল চাঁটে।তার ঠোঁটে সকরুণ হাসি।কেননা, পড়েছে তো পেটে কিছু একটা।তাতেই সই।        আমার বৃদ্ধা মা দালানে বসে চুলের জট ছাড়ায়। রুগ্ন বাবা একা বসে বসে জাল বোনে। কাঠির এক একটা শব্দ এক একটা পয়সা যেন। সেই পয়সায় পথ্য কেনে। এভাবেই সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে আসে। আমার ভাঙা বাড়ির মাথায় এক চিলতে চাঁদ উঁকি মারে। মরিনি এখনও। অর্ধমারি নিয়ে জীবনএগিয়ে চলে। কিন্তু কাউকে কোনদিন দোষারোপ করিনি আমি।    তোমরা যাকে বলো, 'দরিদ্রতা হলো মানুষের ন্যূনতম জীবনযাত্রা মানের উন্নীত হওয়ার অক্ষমতা'-Po

ভগবানপুরের শিক্ষক করোনায় দিলেন আর্থিক অনুদান

ছবি
জুলফিকার আলি    করোনা মোকাবিলায় নিজের সামান্য অবসরকালীন ভাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার টাকা দান করলেন ভগবানপুর হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অশোক দাস মহাপাত্র। আজ ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রনব রায়ের হাতে দশ হাজার এক টাকার চেক তুলে দেন তিনি। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সকলকে লকডাউন মেনে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানাই অশোক বাবু।

করোনা কে পরাজিত করে ফিরলেন ৫ জন

ছবি
জুলফিকার আলি    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আরো ৪ জন, নাদিয়া জেলার ১জন, মোট ৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে আজ বাড়ি যাচ্ছেন। এই ৫ জন রোগী পূর্ব মেদিনীপুর বড়মা হসপিটালে ভর্তি ছিলেন। যে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে আজ বাড়ি যাচ্ছেন তাদের সবার নাম গুলো নিচে দিলাম। ১) রকি বিশ্বাস (নাদিয়া) মেছেদা RPF কর্মরত। ২) শেখ ইমাম (হলদিয়া) ৩) শেখ মোবাইদুল ইসলাম (হলদিয়া) ৪) অমিত সুকুল (হলদিয়া) ৫) নাজমুল ইসলাম (হলদিয়া)

হলদিয়ায় ত্রাণ বিলি

ছবি
জুলফিকার আলি,     হলদিয়া সাংবাদিক সংগঠন, পুলিশ প্রশাসন এর উদ্যোগ এ গরীবদের খাদ্যসামগ্রী বিলি।  কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল  সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। হলদিয়া য় নুতন করে ৪জন করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া সংবাদপত্র ফোরামের সাংবাদিকগন,পুলিশ  প্রশাসন।কথা ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান পৌঁছাবে হলদিয়া সংবাদপত্র ফোরামের সদস্যরা ও প্রশাসন।তার মাঝে প্রবল ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাত।  কিন্তু ত্রান মজুত জায়গায় এসবকে উপেক্ষা করেই ছুটে এলো গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার  দূর্গাচক থানা  এলাকার ৬টি গ্রামের দুস্থ  প্রায় ২১০ জনের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ফোরামের তরফ থেকে।   সরকারি নিয়ম মেনে হাতে স্যানিটাইজার মুখে মাক্স পরিয়ে,এদিন চাল ডাল সহ বিভিন্ন  খাদ‍্যসামগ্রী বিলি করা হয়।  প্রকতির  দূর্যোগ ও করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করে মানুষ ত্রান নিতে এসেছে। ব

সুতাহাটার তিতীর্ষু পত্রিকার ত্রাণ বিলি

ছবি
জুলফিকার আলি,     অরাজনৈতিক ভাবে তিতীর্ষু পত্রিকার উদ্যোগে বৈষ্ণবচক গ্রামের গৃহবন্দী ৬৫ মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল। মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা মূলক আলোচনা করেন সম্পাদক  চন্দন দাস। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সুতাহাটার বিডিও,সাংবাদিকবন্ধুগন,উদ্যোগকে সম্মান জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বন্দর কর্মী তথা সমাজসেবক প্রদীপ বিজলী। উপস্থিত ছিলেন জয়ন্ত গাইনিয়া,অমল মাজী,দুলাল আদক।আলু,ডাল,তেল,সোয়াবিন,পিঁয়াজ, সাবান,হলুদ দেওয়া হল। অসহায় মানুষ এইগুলি পেয়ে খুব খুশি।

তোমার অপেক্ষায় - প্রেরণা দাশগুপ্ত

ছবি
তোমার অপেক্ষায়              প্রেরণা দাশগুপ্ত               আবার যদি মনে পড়ে আমায়,      চিঠি লিখো সেই পুরনো ঠিকানায়।     ব্যস্ত শহরের হাজার ভিড়ের মাঝে,     খুঁজে পাবে আমায় কোন এক পূর্ণিমার সাঁঝে।‌।     নদী তটের ওই নির্জন প্রাঙ্গণে,   ‌ ফিরে যেও আমাদের অন্তিম মিলন স্থানে।   ‌‌ শ্মশানের কোন এক অন্ধকার কোণে,     প্রতীক্ষায় থাকব‌ আমি তোমার আহ্বানের।।

ভাতারের ঝাড়ুল গ্রামে রাস্তা গড়া নিয়ে মারপিট , আহত ৬

ছবি
আমিরুল ইসলাম    লকডাউনের মধ্যেই রাস্তা কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ভাতারের ঝাড়ুল গ্রামে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়ুলগ্রামে একটি রাস্তা কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র  দুই পরিবারের মধ্যে। এর ফলে প্রায় 6 জন গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে নিয়ে ভাতার হসপিটাল আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর ঝারুল গ্রামের 2042 দাগ নম্বরের রয়েছে একটি রাস্তা। সেই রাস্তা নিয়ে গ্রামের দুই পরিবার অর্থাৎ বিল্লাল মল্লিক ও সেখ সুকুর এর মধ্যে বিবাদ বাঁধে। গত 10 বছর ধরে সেই রাস্তা নিয়ে চলছে আদালতে মামলা। শেখ শুকুর জানান আমি আদালতে জয়লাভ করি। আদালত জানিয়ে দেয় ওই রাস্তা আমার। এরপর হঠাৎ লকডাউন শুরু হয়ে যায় কিন্তু এর মধ্যে আজ সকাল বেলায় জোর করে বিল্লাল শেখ ওই রাস্তায় মাটি ফেলতে থাকে আমার ছেলে শেখ উজ্জ্বল বাঁধা দিতে গেলে ব্যাপক মারধর করে আমার ছেলেকে।এরপর একে একে আমাদের প্রায় পাঁচ জন কে লাঠি-সোটা দিয়ে ব্যাপক মারধর করে বিল্লাল সেকের নেতৃত্বে 4/5 জন মিলে।আমরা ভাতার থানা এসেছি, লিখিত অভিযোগ জানালাম চারজন নামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায

কোচবিহারের বলরামপুরে করোনা সচেতনতায় উত্তরবঙ্গ মন্ত্রী

ছবি
সুজিত ঘোষ    লকডাউন এর ফলে প্রতিদিনের মত আজও নিজের বিধানসভায় নাটাবাড়ি কেন্দ্রে বলরামপুর ২নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বুথে বুথে সাধারণ মানুষের জন্য চাল দিলেন এবং সচেতনতা পরামর্শ দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

সারেঙ্গায় ধানের লরি থামিয়ে খাবার আদায় গজরাজের

ছবি
সাধন মন্ডল   লকডাউন উপেক্ষা করে সারেঙ্গা গোয়ালতোড় রাস্তায় কাঁড় ভাঙ্গা গ্রামের কাছে সাতসকালেই রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে লরি আটকে লরি থেকে বস্তা বস্তা ধান খেয়ে সাবাড় করলো গজরাজ। এ দৃশ্য দেখতে এলাকার শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হয়েছিল কাঁড় ভাঙ্গা গ্রামের কাছে সারেঙ্গা গোয়ালতোড় রাস্তার উপর। জানা যায় আজ সকালে ধান ভর্তি একটি লরি সারেঙ্গা দিক থেকে গোয়ালতোড় এর দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ রাস্তার উপর গজরাজ কে দেখে লরি চালক লরি থামিয়ে দেয় ভয়ে আতঙ্কে দিশেহারা অবস্থা চালকের গাড়ি থামতেই গজরাজ সুঁড় দিয়ে উপলব্ধি করে নেয় গাড়িতে ধান আছে তারপরেই শুঁড় দিয়ে ধান বস্তা বের করে ফেলে রাস্তার উপর এবং  উদরপূর্তি  করেআস্তে আস্তে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। ততক্ষণে প্রায় 1000 মানুষ হাজির হয়েছে এ দৃশ্য দেখতে এবং গজরাজ কে নিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যুবসমাজ। খবর পেয়ে সারেঙ্গা থানা পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কিন্তু নির্বিকার গজরাজ। তার কাজ শেষ করে আস্তে আস্তে জঙ্গলের পথে পা বাড়াতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে প্রশাসন ও বন বিভাগ। উল্লেখ্য একটি হাতি দীর্ঘদিন ধরেই সারেঙ্গা ও মেদিনীপুর

করোনা হাসপাতালে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)     মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অনলাইন শুনানি চলে করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারী নিয়ে। আগামী ৭ মে এর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই এই জনস্বার্থ মামলার ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে । গত শুক্রবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ একাধিক সংগঠন রাজ্য সরকারের জারি করা করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষেধাজ্ঞার বৈধতা নিয়ে অনলাইনে  মামলা দাখিল করে থাকে। উল্লেখ্য,  গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারী করা হয়। সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ হাসপাতাল সুপারদের কাছে রাজ্য সরকারের আদেশনামা পৌছায় যে,  ঘোষিত করোনা হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসক - স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী সহ হাসপাতালের ভেতর রোগীর আত্মীয়পরিজনরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। হাসপাতালের নিদিষ্ট গেটে মোবাইল ফোন জমা দিতে হবে। হাসপাতালের কাজ মিটলে তা টোকেনের মাধ্যমে পুনরায় ফেরত পাবে মোবাইল ফোন ব্যবহা

চলে গেলেন 'বিল্লু' অভিনেতা ইরফান খান

ছবি
রাজকুমার দাস    স্ট্রাগল লাইফের কথা সকলের কাছেই মনে গেঁথে থাকে।কিন্তু জীবন জয়ের স্ট্রাগল তা বেশ কষ্টের।শুধু বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা নয় বরং আন্তর্জাতিক মাপের একজন  বিশিষ্ট অভিনেতা ইরফান খান মাত্র ৫৩ বছর বয়সে আজ সকালে  মুম্বইয়ের  হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।গতকাল কোলনে সংক্রমণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে।   এর আগে তিনি  দীর্ঘদিন লন্ডনে থেকে নিউরো এন্ডোক্রাইন ক্যানসারের চিকিৎসা করে ফিরেছিলেন।অনেকটা সুস্থ্যতা নিয়ে তিনি আবার অভিনয়ে ফেরেন।  পুনরায় কম ব্যাক করেন পরিচালক হোমি আদজানিয়ার ‘আংরেজ়ি মিডিয়াম’ ছবির মাধ্যমে।লকডাউনে র কিছুদিন আগে ছবিটি মুক্তি ও পায়। সেই ছবিতে ও তিনি সুন্দর সুচারু অভিনয় করে দর্শকদের বুঝতেই দেন নি যে তিনি অসুস্থ।সাধারণ ভাবে সকলে ভেবেছিল তিনি ক্যান্সার কে জয় করে ফেলেছেন।কিন্তু না,উপরওয়ালার কাছে তিনি হয় তো অন্য কিছু লিখে এসেছিলেন,তাই অকালেই চলে গেলেন।বলিউডে তার মতো দক্ষ অভিনেতা খুব কমই আছে।তিনি  ১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দির পাশাপাশি একাধিক হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। 

করোনা ভলেন্টয়ার নিয়োগেও রাজনীতি! চাঞ্চল্য নদীয়ায়

ছবি
এবার রাজনীতি শুরু হল করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনায় স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করতে চেয়ে এসডিও এবং বিডিওর কাছে আবেদন করেন চাকদহের তাতলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জনা দশেক তরুন তরুণী। এসডিও কল্যাণী এবং বিডিও চাকদহকে এরা চিঠি দিয়ে জানান, স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করার জন্য কোনও পরিশ্র্মিক চান না তারা। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই সব কাজ করবেন তারা। কিন্তু আবেদন করার দু সপ্তাহ পরও তাদের আবেদন মঞ্জুর করেনি প্রশাসন।  অন্যদিকে এলাকায় শাসক দলের তিন জনকে এই কজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামী ছাড়া অন্যদের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। চাকদহ থেকে স্বেচ্ছাসেবিরা নবপল্লির এক বয়স্ক পরিবারে ওষুধ পৌছে দেওয়ায় তাদের হুমকি দেয় পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ প্রতীম দে। তার অনুমতি ছাড়া কাউকে সাহায্য করলে ফল ভালো হবে না বলে তিনি স্বেচ্ছাসেবিদের জানান।  পুরো বিষয়টি জানিয়ে সোমবার এসডিও কল্যাণীকে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস (9007955530)। এই মহামারির সময়ে রাজনীতি

লকডাউনের পাঁচালি - সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
লকডাউনের পাঁচালি            সুস্মিতা   বন্দ্যোপাধ্যায়   দীর্ঘদিনের লকডাউনের          করবো কিছু বর্ণনা, হঠাৎ করে চিন থেকে ভেসে এল    মারণ ভাইরাস করোনা। শুরু হলো বাঁচার লড়াই    পণ্য মজুত করতে তাই, হাটে বাজারে ভিড়ে ঠাসা  মারণ ভাইরাসে ভয় কোথায়? ডাক্তার বোঝায়,পুলিশ বোঝায় তবু শোনেনা কোনো কথা, মানুষ বলে বড়াই করে   পশুর থেকে কম কোথায়? ভাল লাগেনা বাড়িতে বসে    সময় কাটানো বড় কঠিন, ছেলেমেয়েদের আটকে রাখার  অভিজ্ঞতাটাও মূল্যহীন। কঠিন হলেও বাস্তবটা  মানতে হবে সকলকে হারবনা ভাই, জিতব মোরা  লড়তে হবে একসাথে। জীবন হাতে লড়ছে যারা  ভয় করেনা মরণকে, রাখব মনে চিরদিন  প্রণাম জানাই তাদেরকে।

নন্দকুমারর ত্রাণ পাঠালেন পরিবহন মন্ত্রী

ছবি
জুলফিকার আলি,    রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ত্রান পাঠানো নন্দকুমার ব্লক এ। পাঠানো হয়েছে।সেইগুলো অঞ্চল। বুধ ভিত্তিক। ত্রাণ গুলো সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা। খতিয়ে দেখতে। নন্দকুমার এমএলএ। সুকুমার দে। সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন। নন্দকুমার ব্লক এর সভাপতি। দিনোনাথ দাস।

বর্ধমানের মালিরবাগানে ইফতারের মজলিস

ছবি
সেখ রতন   বর্ধমান গ্রীন হন্টার ও স্টুডেন্ট গোল এর পক্ষ্য থেকে আজ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মালিরবাগান এলাকায়   ২০০ টি গরিব দুঃস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল রমজানের ইফতার। গ্রুপ সেক্রেটারি রাকেশ খান জানান -এদিন ছিল তাদের গ্রুপ গেম সেক্রেটারি সেখ দিলবাহার এর জন্মদিন।জন্মদিন উপলক্ষ্যে বেশ কিছু টাকা তিনি তুলে দেন গ্রুপের হাতে সেই টাকা দিয়েই এদিনের অনুষ্ঠান করা হয়।গ্রুপের তরফ থেকে জানান হয় পুরো রমজান মাসেই শহর জুড়ে চলবে তাদের এই অনুষ্ঠান। সাথে সাথেই চলছে তাদের রেশন বিতরণ-ও।তাদের এধরনের উদ্যোগে খুশি শহরবাসী।

করোনায় দুর্গতদের পাশে বিদ্রোহী কবির পরিবার

ছবি
সুকান্ত ঘোষ    চলতি সপ্তাহে পশ্চিম বর্ধমানের বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মভিটে  চুরুলিয়ায় বিদ্রোহী কবির নাতনি  তথা বাচিক শিল্পী  সোনালি কাজি তাঁর সমাজসেবী সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার শতাধিক গরিব মানুষদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন। সেইসাথে মাস্ক বিলি করা হয়। এই করোনা পরিস্থিতি ঘরে থাকবার প্রচার অভিযান চলে                         

তুলিহীন কবি - ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী

ছবি
তুলিহীন কবি          ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী    ওদের রঙ নেই,তুলি নেই  নেই কোনো ক্যানভাস  তবু ওরা এঁকে চলে নিরন্তর  শব্দ দিয়ে ওরা আঁকে । সুখ আঁকে দুঃখ আঁকে  আঁকে তাদের কল্পনা  কলমের ধারালো আঁচড়ে   তুলে ধরতে পারে নীরব যন্ত্রণা । ওরা যে নীরব কবি,নেই কোনো তুলি  প্রকৃতির রূপকে কত রঙিন করে তোলে নীল,সবুজ রঙ ছাড়া  ঝরনা কে ওরা বয়ে নিয়ে যায়  শব্দের ছন্দ দ্বারা । ওরা যে কবি নেই কোনো তুলি । শিশুর হাসি,আর্তের বেদনা  কোনো প্রকাশেই এদের তুলি লাগে না, মনের ভাবে এরা খাতার পাতায় নিদারুণ  চিত্র আঁকে। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে বারবার ওরা বেদনা আঁকে,অনুভূতি  আঁকে ওরা যে কবি নেই কোনো তুলি । ডায়েরির প্রতি ভাঁজে ওরা প্রেম আঁকে কল্পনায় এঁকে চলে ক্ষোভের ছবি  তবু ওরা তুলি ক্যানভাসহীন কবি ।

ভালবাসার কাব্যপীঠে জলফড়িং

ছবি
ভালবাসার কাব্যপীঠে জলফড়িং         যতীন্দ্রনাথ মন্ডল পূর্ণিমা দেখে ভেবেছি চাঁদ আসবে তাই কতবার চশমার কাঁচ বদলেছি ঝাপসা দেখব না বলে। আকাশ পাহারায় সারাক্ষণ নির্ঘুম জলফড়িং, আধপোড়া মোমবাতি; ভাঙা দৃষ্টির বোধন, কিছু মরা নিঃশ্বাসের আসা যাওয়া, বুকের কার্ণিশে চোখের শ্রাবণ। এক বুক জোড়া মানচিত্রে অবসর শুধু বিষন্ন সময়ের আর কিছু অবহেলা। তবু বদলে যাওয়া মেঘের রঙে চাঁদ আসে চুপিচুপি উষ্ণ ছোঁয়ায়। লুকানো যত অভিমান সব ভুলে। আমার অনেক অপেক্ষার প্রহরগুলো আরও সংক্ষিপ্ত হয় অবশেষে। নিঃশব্দের চাওয়া পাওয়ায় রূপসী চাঁদ  কুমারী গন্ধে ভরে দেয় মৌন আকাশ। ভালবাসার কবিতা মুখর হয় শব্দের জলছড়ায়। নিষ্পলক চাওয়ায় শূন্য আঁধারে জলফড়িং, কাব্যের চারপাশে হালকা রঙিন ডানায় ছড়িয়ে দেয় সেই রূপসী চাঁদের স্নান। সে আলোয় পূর্ণ হয় প্রেয়সীর দেখা। তুমি নাই বা থাকলে একটু আঙুল ছুঁয়ে। নাইবা ভিজালে ঠোঁট উন্মাদ স্বাধীনতায়। আছে চাঁদের মুখোমুখি নির্বাক চোখের ভাষা। প্রেম আর আমি;আমি আর চাঁদ আর ভালবাসার কাব্যপীঠে জলফড়িং।

পূর্ব বর্ধমানে বিদ্যুৎ দপ্তর জীবাণু মুক্ত হলো তবে অন্যভাবে

ছবি
সেখ রতন   মারন ভাইরাস করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি করা হয়েছে দেশজুড়ে। এই ভাইরাসের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। যার জন্য সংক্রামিত হচ্ছেন অনেক মানুষ ।মঙ্গলবার বর্ধমান সদর বিদ্যুৎ দপ্তরের বিভিন্ন সাব স্টেশনে সংক্রমণ মুক্ত করার কাজ হল। এদিন বর্ধমান সাউথ ডিভিশনের কাটোয়া রোড ৩৩কে বি বাই  ১১ কে বি সাব স্টেশনে সংক্রমণ মুক্ত  করা হল। এদিন বিদ্যুৎ দপ্তর যন্ত্রাংশে মিনি ফগার মেশিন দিয়ে হাইড্রো পার অক্সাইড স্প্রে করা হয় ।অত্যন্ত নতুন পদ্ধতিতে এই হাইড্রো পার অক্সাইড দিয়ে স্প্রে করা হল বর্ধমানের মধ‍্যে এই ধরনের স‍্যানিটাইজার ব‍্যাবহার না করে এইধরনের প্রথম অদ্রিকা টোয়েন্টিফোর ইনটু 7 স্প্রে করা হল ।একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে এদিন এই স্প্রে করা হল ।সংস্থার কর্ণধার কুন্তল ঘোষ বলেন এই ধরনের স্প্রে  বর্তমানে এই প্রথম  ব্যবহার করা  হল । তিনি আরো বলেন  এই অফিসে  বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থাকায়  এখানে  কোনরকম  তরল জলীয় পদার্থ  স্প্রে করা যাবে না । সেই কারণেই  এখানে  মিনি ফগার মেশিন দিয়ে  হাইড্রো পার অক্সাইড  গ্যাস  স্প্রে করা হয় । তিনি আরো বলেন  এই জাতীয় পদার্থ দিয়ে সংক্রামন

করোনায় অসহায়দের পাশে মেচেদার ফেথ এন্ড হোপ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

ছবি
জুলফিকার আলি    মেচেদার ফেথ এন্ড হোপ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে। লকডাউন প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত। 35 দিন। ধরে পাঁচ দফায় প্রায় তিন হাজার মানুষকে সাহায্য করা হয়। কোলাঘাট ব্লক ও মাতঙ্গী ব্লকের মানুষজনকে। সংস্থার কর্ণধর শেখ ইউনুস আলী বলেন-আমরা সারা বছর নানান সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকি। করোনা মোকাবিলায়।সাধারণ মানুষকে এই সাহায্য দান করা হলো। বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে সেরাজুল ইসলাম মোজাম্মেল হক। আব্দুল মান্নান।মেচেদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তথা  সাংবাদিক জুলফিকার আলী। হাজী শেখ আলাউদ্দিন। প্রমূখ।সংস্থার কর্ণধার শেখ ইউনুস আলী বলেন। লকডাউন এর শেষ শেষ দিন পর্যন্ত অসহায় মানুষদের সাহায্য করা হবে।

১৫ ই মে অবধি বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত আদালত

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)     মারণ ভাইরাস করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা অনুযায়ী গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মে অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ দিন গুলিতে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। আলিপুর - শিয়ালদহ - বারুইপুর সহ বেশকিছু আদালতে অনলাইন শুনানি শুরু হতে চলেছে বলে জানা গেছে । কলকাতা হাইকোর্টে ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া।২৮ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৪ মে, ৭ মে, ১২ মে এবং ১৫ মে দিনগুলিতে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ মে অবধি রাখা হয়

কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির খাদ্য সামগ্রী বিলি

ছবি
পারিজাত মোল্লা মঙ্গলবার     সকালে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক এলাকায় চললো পুলিশের তরফে খাদ্য সামগ্রী বিলি। কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির পরিচালনায় শিমুলিয়া গ্রামে এলাকার দুশোর অধিক গরীবদের দেওয়া হয় এই খাদ্য সামগ্রী। ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু এবং ৫০০ গ্রাম ডাল ছিল এই খাদ্য সামগ্রীতে বলে জানিয়েছেন কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সুজিত ভট্টাচার্য মহাশয়।লকডাউন কাটার একমাস পরে এই খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।                           

বর্ধমানের ঘাটশিলায় খাদ্য সামগ্রী বিলি

ছবি
এস.জে আব্বাস      বর্ধমান-২ ব্লকের ঘাটশিলা গ্রামে সোমবার প্রায় ২০০ জন মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল সেখ, যুবনেতা সাইফুদ্দিন আমেদ প্রমুখ। লক ডাউনের মাঝে কাজহারা মানুষ ইফতার সামগ্রী পেয়ে উদ্যোক্তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। নিশীথবাবু বলেন, এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য। মেহবুব সাহেব উপস্থিত সকলকে রমজানের আবেগ ভুলে জীবন বাঁচাতে সরকারি নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালনের অনুরোধ জানান।               -----------------------------

মঙ্গলকোটের ধারসোনা মাদ্রাসার রমজান উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিলি

ছবি
আমিরুল ইসলাম       মঙ্গলকোটের ধারসোনা মাদ্রাসার উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে দুশো টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো খাদ্য সামগ্রী । পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের ধারসোনা নিজামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম এর উদ্যোগে ও কলকাতার বিশিষ্ট সমাজসেবী হাজী মইনুদ্দিন মোল্লার সহযোগিতায় প্রায় দুশো  টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো রমজানের খাদ্য সামগ্রী।এই সময়ে করোনা ভাইরাসের  জেরে গোটা দেশ আতঙ্কিত। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষজন।সেই সমস্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে আজ ধারসোনা মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দুশো  টি পরিবারের হাতে দেওয়া হলো খেজুর, ছোলা, চিনি, চিড়ে- বিস্কুট । আজ প্রথম দফা বিলি হলো খাদ্য সামগ্রী ।  আগামীতে আরও সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার সম্পাদক এইচ.এম নাসির উদ্দিন চৌধুরী।ধারসোনা মাদ্রাসার উদ্যোগে খুশি এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। ধারসোনা মাদ্রাসার সম্পাদক  নাসির উদ্দিন চৌধুরী  জানান - "এই সময় মানুষ কাজ হারিয়েছে ।তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমরা সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আজ রমজানের তৃতীয় দিন। রমজান মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের খরচা বেশি হয় সেই

দি লেডি উইথ দি ল্যাম্প - ডাঃ কৌশিক ঘোষ

ছবি
দি লেডি উইথ দি ল্যাম্প       ডাঃ কৌশিক ঘোষ   ধবধবে সাদা চুল নিয়ে এক অষ্টআশি বছরের বৃদ্ধা আইসোলেশন ওয়ার্ডে লোডশেডিং এর রাতে একটি মোমবাতি প্রজ্বলন করে কি খুঁজে বেড়াচ্ছে? হাতদুটি কাঁপছে। কি খুঁজছে বুড়িটা? হারিয়ে যাওয়া শাঁখা? সিঁদুর?     হিরে,মণি, মুক্তোর দুল? কোনো মানুষ যে ওর খুব প্রিয় করোনা তে আক্রান্ত হয়ে ওকে ছেড়ে গিয়েছে                 বা তার লেখা কোনো কবিতার পান্ডুলিপি? যা ওর আঠারো বছরে লেখা        প্রেমিকের উদ্দেশ্যে চিঠির মতন? জনা নেই। এই মুহূর্তে ওকে বেশ পবিত্র লাগছে। একটা একটা রোগীর বেড দেখতে দেখতে চলেছে খুব তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে। মাঝে মাঝে এক একটা দেহ কফিনে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। কফিন সরিয়ে আলোর শিখা নাকের কাছে নিয়ে লক্ষ করছে আলোটা নিঃশ্বাসে কাঁপছে কিনা? ওর মুখ চোখে ঠিকরে পড়ছে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর এক আশ্চর্য জ্যোতি। ওর এই ব্যাকুল অন্বেষণের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতেই হবে____             না হলে ব্যর্থ হবে এ কবিতা,            কবি তুমি পারলে না তো,     তবে একটা ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দাও মোমবাতি।            বুড়িটা মিশে যাক অন্ধকারে__ আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিভে যাওয়া মোমবাতি

জেলার প্রথম - ঘরে বসেই রক্তদান

ছবি
সেখ রতন   লকডাউনের জেরে রক্তের আকাল চারিদিকে,চিকিৎসা করাতে এসে রক্তের ওভাবে পরতে হচ্ছে রুগি সহ রুগির আত্মীয় স্বজনদের। এইরকম পরিস্থিতিতে অভিনব পদ্ধতি গ্ৰহন করল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল সমেতি ।পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল  সমেতি ,ঘরে থেকেই রক্তদান করুন এইরকম অভিনব উদ‍্যোগ নিল জেলার মধ‍্যে প্রথম এই স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা ।লকডাউনে রক্তের আকাল চারদিকে করোনার কারনে ক‍্যাম্প না হওয়া বা রক্তদান করা এখন অনেকটাই সিমিত হয়ে  গিয়েছে ।এবার ঘরে  থেকে অভিনব উদ‍্যোগ গ্ৰহন করলো পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল সমেতি ।মোট ৪২টি বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্ত সংগ্ৰহ করে এনেছে এই স্বেচ্ছেসেবি সংস্থা ।

বার কোড থাকা সত্বেও মিলছেনা রেশন, বিক্ষোভ খাদ্য ভবনে

ছবি
সুরজ প্রসাদ   মিলছে না রেশন,  বর্ধমান খাদ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন সাধারণ মানুষ। এর জেরে কিছুক্ষনের জন্য জি.টি.রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের কাছে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য ফর্ম জমা দেওয়ার বারকোড রয়েছে,  অনলাইনে রেশন কার্ড অনুমোদনের  প্রমাণও রয়েছে৷  অনলাইনে সরকারি ভাবে বারকোড দেওয়া কাগজ থাকলেই প্রত্যেকেই  রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে বলে  খবরের কাগজ ও  টিভিতে সরকারি প্রচার থেকে জানতে পেরেছেন বলে তারা জানিয়েছেন ।  কিন্তু তা সত্বেও তারা রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন । রানি শর্মা, রাজা লেট, সন্তোষ আচার্যরা বলেন, লকডাউনের সময় কাজ নাই, হাতে টাকা নাই। সরকারি রেশনের উপর নির্ভর এখন। রেশনের জন্য তারা বর্ধমান পৌরসভায় যান। সেখান থেকে কোন সদুত্তর না দিয়ে তাদের খাদ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। খাদ্যদপ্তরে গেলে তাদের ফের বর্ধমান পৌরসভাতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। শেষ পর্যন্ত চরম হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে জানান তারা।  এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন, "এই মুহুর্তে বার-কোর্ড থাকলে তাদের রেশন দেওয়া হবে সেই রকম কোন সরকারি নির্দে

করোনায় ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে বর্ধমান মেরিনার্স

ছবি
সেখ সামসুদ্দিন    বর্ধমান মেরিনার্স (মোহনবাগান ফ্যান্স ক্লাব ) এর তরফে বর্ধমানের ঝিঁগুটি ও বিজলি পাড়ে মোট ২২০টি পরিবারের হাতে প্রথম পর্যায়ের সাপ্তাহিক রেশন, একটি করে সাবান, ঘড়ি ডিটারজেন্টের এর প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় এবং সাথে ১০০র বেশি পরিবারের হাতে দুধ তুলে দেওয়া হয় যাদের ১০ বছরের নীচে বাচ্ছা আছে। পূর্ব বর্ধমান মেরিনার্সের তরফে সায়ন দত্ত সৌমিক রায়রা জানান "বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছিলাম সোশ্যাল ডিস্টেন্সসিং-এর উপর, আর সাথে ছিল স‍্যানিটাইজারর যা আমরা প্রত্যেক পরিবারের রেশন সামগ্রী গ্রহণের আগে দিয়েছি।" পল্লিমঙ্গল সমিতির সভাপতি নিমাই মুখার্জী জানান, "পূর্ব বর্ধমান মেরীনার্সের হাতে ১০০ কেজি চাল, ২৫ কেজি ডাল, ১০০ প্যাকেট সোয়াবিন এবং ১৪০ প্যাকেট ঘড়ি ডিটারজেন্টের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছিল কিছু দিন আগে তাদের এই বিতরণের প্রস্তুতির কথা শুনে, আজ সফল ভাবে এই বিতরণ সম্পন্ন হওয়ায় শুভেচ্ছা জানাই পূর্ব বর্ধমান মেরীনার্স কে ।" আয়যোকদের পক্ষে আকাশদীপ রায় জানান পল্লিমঙ্গল সমিতি ছাড়াও বর্ধমান ফুডিশ ক্লাব সহ অনান্য সংগঠন ও অসংখ্য মোহনবাগান সমর্থক এই উদ্যোগে সামিল হয়ে পাশে দাড়িয়েছেন

মায়াপুর বিকাশ সংঘের কমিউনিটি কিচেনে আহারের আয়োজন অভুক্তদের জন্য

ছবি
শ্যামল রায়    মায়াপুর এলাকায় শ্রী মায়াপুর বিকাশ সংঘের উদ্যোগে কমিউনিটি কিচেন চালু হলো ইসকন পরিচালিত শ্রী মায়াপুর বিকাশ সংঘের উদ্যোগে  গরীবদের মধ্যে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি কিচেন চালু হলো। সোমবার মায়াপুর বামুনপুকুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়া গ্রামে কমিউনিটি কিচেনে দেড় শতাধিক মানুষ ডাল সবজি ভাত প্রাণভরে খাওয়ানো হয়েছে বিকাশ সংঘের  তরফ থেকে। শ্রী মায়াপুর বিকাশ সংঘের ডাইরেক্টর কাশীনাথ দে জানিয়েছেন যে আমরা মায়াপুর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি কিচেন চালু করব। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের মারণ থাবা থেকে বাঁচতে চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন। লকডাউন এর ফলে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ চরম অভাব এর মধ্যে পড়েছেন। সেই সমস্ত মানুষের জন্য আমরা কমিউনিটি কিচেন চালু করলাম। কোন অসহায় গরীব মানুষ যাতে অনাহারে  থেকে অসুস্থ হয়ে না পড়েন তারা যাতে দুমুঠো ডাল ভাত খেতে পারেন তাদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সত্যিকারে যারা অভাবী মানুষ যারা দিনশেষে খেতে পারছেন না তাদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা। কাশীনাথ দে আরো জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যে

নবদ্বীপে অভুক্তদের খাওয়াচ্ছে শতদল স্বনির্ভর গ্রুপ

ছবি
শ্যামল রায়     শতদল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে নবদ্বীপ জিআরপি অফিসে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। করোণি ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পেতে দ্বিতীয় দফায় চলছে সারা দেশজুড়ে লকডাউন। লকডাউন এর ফলে বহু দিন মজুর কাজ করতে না পেরে চরম অভাবের মধ্যে পড়েছেন। নুন আনতে পানতা পুরানোর অবস্থায় দিনযাপন করছেন গরিব মানুষ। নবদ্বীপ থানার শতদল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা সোমবার নবদ্বীপ জিআরপি অফিসে গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। বাংলা রাইটার্স ফোরাম এর ব্যবস্থাপনায় শতদল স্বনির্ভর গোষ্ঠী সম্পাদক অমূল্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে আমরা নিয়মিতভাবে নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় গরিবের মধ্যে চাল ডাল আলু তেল সোয়াবিন এবং বিতরণ করছি। সোমবার খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন নবদ্বীপ জিআরপি পুলিশ আধিকারিক প্রদ্যুৎ ঘোষ ও সম্পাদক অমূল্য চক্রবর্তী সভাপতি হরে কৃষ্ণ দেবনাথ সাংবাদিক শ্যামল রায়। পুলিশ আধিকারিক প্রদ্যুৎ ঘোষ জানিয়েছেন যে পুলিশের শুধু কাজ চোর আসামি ধরা নয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লকডাউন চলাকালীন বহু গরিব মানুষ আছেন যারা দিন আনে দিন খায় তারা চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছেন সেই সমস্ত মানুষের পাশে শতদল স

গুসকারার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিলি

ছবি
সেখ নিজাম আলম   গুসকরা ১ নং এবং ২ নং ওয়ার্ডের বিপর্যস্ত মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক।অভেদানন্দ থান্দার মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় মহাশয় সহ   তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ ।।

তুমি - তন্ময় যশ

ছবি
তুমি      তন্ময় যশ 'তুমি' নামে আমার কলমের কালি। একদিন হবে শেষ, তবুও আমি থামাবো না, আমার লেখার রেশ। তোমার শহর কোলকাতায় তুমি আজ একটি গল্প। আর আমি তোমার গল্পের কিছু কথা। তুমি একদিন ছিলে আমার সাদা কাগজের, রঙ্গিন কলমের কালি।। আজ তোমারই শহরকে ভালোবাসি আমি। ভালোবাসি এখনো আমি, তোমার শহরের তোমার ভালোবাসার  ফুটপাতের রাজকন্যাকে।। ভালোবাসি এখনো তোমার মেসের  জানালাটাকে। ভোরের সোনালি সূর্যের আলো যখন তোমায় ডাকতো, তুমি ছুটে আসতে জানালার পাশে  জানি না কোন আবেগে! তোমার শহর আজ খুবই ব্যস্ত তবুও জানি না কেন জড়িয়ে আছে তোমার ভালোবাসা আমাকে। । তুমি কখনো হয়েছ রঙ্গিন খামের চিঠি। আবার কখনো হয়েছ আকাশ ভরা সন্ধ্যা দীপের তারা। আমি দেখেছি তোমায় একা একা।

গলসির ভুড়ি গ্রামে মহতি উদ্যোগ

ছবি
সেখ নিজাম আলম    ভুড়ি গ্রামবাসীরা দূঃস্থদের পাশে- এই লক ডাউনে গলসি থানার ভুড়ি গ্রামের বহু মানুষ বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের আর বোধ হয় চলে না। এমনই ইঙ্গিত পেয়ে গ্রামের মানুষরা একত্রিত হয়ে সভা করেন। বিষয় থাকে দূঃস্থদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যাবে? ঠিক হয় সকলে মিলে আর্থিক সহযোগিতা করে চাল,ডাল,ময়দা,তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে। যথারিতি বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী কিনে পাড়ায় পাড়ায় লিষ্ট তৈরি করা হয়। সেই লিষ্ট অনুযায়ী  ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে শনাক্ত করে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়।এই দুর্দিনে খাদ্য সামগ্রী পাওয়ায় গরীব মানুষরা আনন্দে চোখের জল ফেলে। তাদের বক্তব্য বাইরে গেলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। আর বাড়ীতে বসে কান্না ছাড়া কিছুই সম্বল নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে খাবার পেয়ে ভুড়ি গ্রামবাসীদেরকে শুধু আশীর্বাদ নয়,এমনকি ঈশ্বরের কাছে তারা প্রার্থনা করেন, আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য ঈশ্বরও যেন তাদের মঙ্গল করেন।

দুবরাজদিঘীতে ড্রোন উড়লো করোনার জমায়েত হচ্ছে কিনা দেখতে

ছবি
সেখ রতন   আবারও সোমবার সাতসকালে ড্রোন ক‍্যামেরা নিয়ে নজরদারি শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।  খোদ বর্ধমান শহরের দুবরাজদীঘি মালিরবাগান এলাকায় ড্রোন ক‍্যামেরা নিয়ে হাজির এলাকায় ।ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালালো বর্ধমান জেলা পুলিশ। মূলত যেসব জায়গাগুলো বেশি  ভিড় এবং জমায়েত হয় সেইসব জায়গাগুলোতে রোজ  ড্রোনে উড়িয়ে নজরদারি চালানো হবে  বলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় এদিন।এই নজরদারি লকডাউন চলককালীন লাগাতার চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

থ্যালাসেমিয়ায় রক্তসংকট কাটাতে রক্তদান মেমারিতে

ছবি
সেখ সামসুদ্দিন   ; রবিবার লকডাউনে   হাসপাতালগুলিতে রক্তের অভাব মেটাতে  ও একই সঙ্গে থ‍্যালাসেমিয়া রোগীদের সাহায‍্যার্থে তৃণমূলের তিন শাখা সংগঠনের পক্ষ হতে মেমারি থানার সামনে রক্তদান শিবির করা হয়। মেমারি শহর আইএনটিটিইউসি সভাপতি তথা মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, শিক্ষক সংগঠনের ব্লক সভাপতি কৌশিক মল্লিক ও ছাত্র সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি মুকেশ শর্মার উদ‍্যোগে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্লাড ব‍্যাঙ্কের সহযোগিতায় মেমারি থানার বিপরীতে শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের দোতলায় রক্তদান শিবিরে রক্ত দেন ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা প্রমুখ । এদিন সরকারি নির্ধারিত তিরিশ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। 

অভাবী আইনজীবীদের সাময়িক স্বস্তি দিল হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)     কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪০০ জন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হল। এখনও ৬০০ এর বেশি আইনজীবীদের আবেদন রয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের কাছে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অনুরোধ রেখেছেন বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া।               করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ  অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৪২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৪০ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১

অসহায়দের পাশে নাচিন্দা ব্যবসায়ীক সমিতি

ছবি
জুলফিকার আলি    মারিশদাঃ  শুধু পুজো পরিচালনা নয়, এই করোনা আবহে এবং লকডাউনের সময় সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে দরিদ্র, অসহায় গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার নাচিন্দা ব্যবসায়ী সমিতি। এই ব্যবসায়ী সমিতির  অন্তর্গত বিভিন্ন সচ্ছল সহৃদয় মানুষের আর্থিক অনুকূল্যে গ্রামের প্রায় ২৫০টি পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আটা, সোয়াবিন, তেল, সাবান, বিস্কুট- সহ অন্যান্য রেশন সামগ্রী প্যাকেট করে প্রত্যেক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।এ দিন নাচিন্দা বাজারে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়। কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বেজ বলেন, "সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় দুঃস্থ মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।আগামী দিনেও আমাদের এই প্রচেষ্টা চলবে।"  তবে লকডাউনের জেরে উপার্জন হারানো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসংখ্য গ্রামবাসী এঁদের কর্মযজ্ঞের প্রশংসা করেন। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য নন্দদুলাল মাইতি ও মারিশদা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত দেব- সহ বিশিষ্টজনেরা।

প্রতিভা - শীলা ব্যানার্জি

ছবি
প্রতিভা          শীলা ব্যানার্জি   প্রতিভা ,তুমি কাহার ?  আমি তো সবার সুপ্ত মনের ও কোণে, কোনো এক রক্তিম ঊষার কোকিলের কুহু তানে, জাগিয়ে তোলো আমাকে , নয়তো শ্রাবণ সন্ধ্যার বর্ষণ মুখর দিনে কিম্বা পূর্ণিমা রজনীতে পূর্ণ চন্দ্রিমা তিথিতে, জাগরিত করো তোমার সুপ্ত মনে  শুধু সুন্দর মনন দিয়ে আমাকে প্রস্ফুটিত করো, জ্ঞানের আলোক ধারায় স্নাত হয়ে, তখনই আমাকে পাবে তোমার নিকট, আমি যে প্রতিভা, সবার সুন্দর মনের মাঝেই আমার বিরাজ।

অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে প্রসেনজিৎ প্রেমিরা

ছবি
গোপাল দেবনাথ    অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় এর নির্দেশে তাড়াতাড়ি ভক্তদের বাড়িতে লকডাউনের দিনে পৌঁছে গেল চাল ডাল সবজি তেল মসলা। সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি অল ফ্যানস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর কর্ণধার বিপ্লব দে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন জেলায় তাদের সংগঠনের সকল সদস্যদের বাড়িতে চালডাল পৌঁছানোর ব্যবস্থা  করেন এবং তিনি এটাও জানিয়েছে যে  সংগঠনটি তার কাছে তার পরিবারের মতো।  তাই পরিবারের কোন সদস্য যাতে  অভুক্ত না থাকে  সেই চিন্তা ধারাকে মাথায় রেখে বুম্বাদার নির্দেশে  সমস্ত জেলার সদস্যদের বাড়িতে চালডাল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।

জমায়েত দেখতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ উড়াচ্ছে ড্রোন

ছবি
সুরজ প্রসাদ   খণ্ডঘোষের পর এবার খোদ বর্ধমান শহরের ড্রোন উড়িয়ে নজরদারী পুলিশের।  লকডাউন  সময় থেকেই বারবার অভিযোগ আসছিল বর্তমান শহরের লক্ষীপুর মাঠ, উত্তর ফটক, বড়বাজার, নীলপুর সহ একাধিক এলাকায় বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই জমায়েত করা হচ্ছিল। পুলিশি অভিযানে আটকানো যাচ্ছিল না জমায়েত। তাই এবার আকাশে ড্রোন উড়িয়ে সেইসব জায়গাগুলিতে নজরদারি শুরু করল পুলিশ। নজরদারিতে জমায়াতের চিত্র ধরা পড়লে পুলিশ সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে

ড্রোনের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি জানছে পূর্ব বর্ধমান প্রশাসন

ছবি
সুরজ প্রসাদ   পূর্ব বর্ধমানে  লকডাউনের পরিস্থির উপর নজর রাখতে ড্রোনের সাহায্যে নিল  জেলা প্রশাসন। ড্রোন উড়িয়ে জেলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এলাকায় প্রশাসন লকডাউনের প্রকৃত চিত্র বা তথ্য জোগাড় করছে।   উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহে জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকে দু'জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলে।তারপরই প্রশাসন এলাকায় লকডাউন মানার ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেয়। প্রথমে এলাকার এক ব্যক্তির দেহে করোনা সন্ধান মেলে।তারপর আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের এক শিশুর শরীরেও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এবার প্রশাসন আরও নড়েচড়ে বসে। তাই এদিন এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে প্রশাসন সার্বিক অবস্থা জানা বা বোঝার চেষ্টা করে।  পরপর দু'জন করোনা আক্রান্ত হবার পর  রীতিমত আতংকে রয়েছে এলাকার মানুষজন। সরকারি নির্দেশে ওই এলাকাকে এখন কন্ট্যাক্ট কন্টামিনেটেড প্লেস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সমস্ত রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। হাট-বাজার একেবারেই বন্ধ।  বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউই, রাস্তাঘাট ফাঁকা। এদিন খণ্ডঘোষের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি  সেহারাবাজার অঞ্চলেও পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে অবশ্য  ভিড়ভাট্টা নেই, এলাকা রীতিমত ফাঁকা।এই প

লকডাউনে গতি বাড়াতে সক্রিয় গলসি পুলিশ

ছবি
সেখ নিজাম আলম    গলসি বাজারে যেভাবে বিপুল লোকের সমাগম হয়,তাতে পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই লক ডাউন সফলকে অভিনন্দন জানাতে হয়। জেলার অন্যান্য এলাকাতেও নানানভাবে লক ডাউন সফল করেছেন পুলিশ তা অস্বীকার করা যায় না বটে। তবে গলসি বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষ আসেন,কেউ বাজার করতে আবার কেউ অন্যান্য কাজে। এমনকি এই বাজারে আড্ডা দিতে আসার লোকও কম নয়। অনবরত পুলিশ দুটি তিনটি গাড়ী নিয়ে গলসি বাজারের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছেন। আবার একটি পুলিশের গাড়ীতে সবসময় মাইকিং করা হচ্ছে। দূরত্ব বজায় রাখা ও মার্কস ব্যাবহার ছাড়াও অযথা বাজার করার নামে বাইরে বের হওয়া কিংবা অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট না খোলার বিষয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেয় যাচ্ছেন গলসি থানার পুলিশ। কেন্দ্রীয় সরকার আজ নতুনভাবে কতক দোকান খোলার অনুমতি দিলেও রাজ্য সরকারের আদেশে তা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন পুলিশ। গলসি বাজারে আজ নতুনভাবে দোকান খোলা কিংবা লোক সমাগমের সম্ভাবনা থাকলেও পুলিশের প্রচেষ্টায় তা রোধ করা হয়েছে। গলসি বাজারে আশেপাশের এত লোক সমাগম রোধ করা খুবই কঠিন কাজ। আজ গলসির নিস্তব্ধ  পরিবেশ দেখে বোঝা যায়, কড়া হাতে এই করোনা রোধ করতে গলসি থানা

হকারদের সাথে গুসকারা বিষাণ এথলেটিক্স ক্লাব

ছবি
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি            লকডাউনের ফলে ট্রেন, বাস বন্ধ। ফলে ট্রেনে বা বাসস্ট্যাণ্ডে যারা হকারি করে সংসার প্রতিপালন করতো তারা পড়েছে চরম সমস্যায়। একই সমস্যা  নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। এবার এলাকার সেইসব  দুস্থদের পাশে দাঁড়াল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বিষাণ অ্যাথ্লেটিক ক্লাব। ক্লাবের পক্ষ থেকে  শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে (২৬/৪) গুসকরার রেলওয়ে ও বাস স্ট্যান্ডের হকার এবং  বিভিন্ন ওয়ার্ডের  নিম্ন মধ্যবিত্ত প্রায় ২৫০ টি পরিবারের হাতে চাল, ডাল, নুন, তেল, আলু, মুড়ি, সয়াবিন, মাস্ক ও সাবান  তুলে দেওয়া হয়। ক্লাবের সদস্যরা একটি পরিবেশ বান্ধব ব্যাগে করে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যসামগ্রী নির্দিষ্ট পরিবারের হাতে তুলে দেয়।        ক্লাবের সম্পাদক সৌগত গুপ্ত বললেন - বিপদের সময় অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুব খুশি।

২৫০ টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন তারকেশ্বর পুর চেয়ারম্যান

ছবি
সুভাষ মজুমদার    ২৫০ টি পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন তারকেশ্বর পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত। এদিন তারকেশ্বর চাউল্পট্টি এলকা থেকে চাল ডান আলু সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ২৫০ টি দুস্থ পরিবার কে। লকডাউন মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একে একে খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করেন।  খাদ্য সামগ্রী বিতরনে পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার কাউন্সিলার থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তারকেশ্বর পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বলেন লকডাউন শুরুর থেকে আমরা মানুষের সাথে আছি কাজ করছি কোনদিন খাবার করে দেওয়া হচ্ছে, কোনদিন আবার খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে।এই ভাবেই মানুষের পাশে থেকে আমরা কাজ করে যাব এবং আগামী দিন মানুষের পাশে থেকে কাজ করবো ৷