পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজ্যে বিচারপ্রার্থীরা ২ মে অবধি দুর্ভোগের শিকার হবেন

মোল্লা জসিমউদ্দিন - টিপু,  সোমবার দুপুরে রাজ্য বার কাউন্সিল এর জরুরি বৈঠকে হাওড়া কান্ডে কর্মবিরতি নিয়ে জট কাটলো না। উল্টে আগামী ২ রা মে পর্যন্ত তা বহাল রাখার সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশও হয়ে গেল। অর্থাৎ গত বুধবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে যে সংঘর্ষ পুলিশ বনাম আইনজীবীদের মধ্যে হয়েছিল। তার রেশ কমছে না, উল্টে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ভোগান্তি । ইতিমধ্যেই টানা ছয়দিন ধরে রাজ্যের সবকটি আদালতে আইনজীবীদের সার্বিকভাবে কর্মবিরতি চলেছে এবং সেইসাথে আরও তিনদিন চলবে উকিলবাবুদের এই কর্মসূচি। অর্থাৎ টানা নয়দিনের সময়সীমায় আদালত একপ্রকার বিচারপ্রার্থীদের কাছে বন্ধ রইলো। এতে চরম বিপাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থীরা। এমনতেই মামলার পাহাড় ক্রমশ বাড়ছে বিভিন্ন আদালতের বুকে। এক বিচারপ্রার্থী জানান - "কর্মবিরতি ছাড়াও অন্যভাবে প্রতিবাদ উকিলবাবুরা জানাতে পারতেন। এর ফলে আমরা মামলায় ডেটের পর ডেট  পাচ্ছি, যারফলে সমস্যা আরও বাড়ছে আমাদের  "। জানা গেছে,  গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে তুমুল মারপিট হয় পুলিশ বনাম আইনজীবীদের মধ্যে।ঘটনার দিনেই রাজ্যের সব আ

বিরোধী শুন্য মঙ্গলকোট ফাস্ট ক্লাস ভোট কেস্ট বাহিনীর

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  চতুর্থ  দফা নির্বাচনে যে আটটি আসনে ভোটপর্ব মিটলো, তাদের মধ্যে বোলপুর লোকসভার অধীনে কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকা এবং বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের অধীনে থাকা কাটোয়া, কালনা, পূর্বস্থলী উত্তর, পূর্বস্থলী দক্ষীন বিধানসভা এলাকায় ভোট মোটামুটি শান্তিতেই মিটলো। সেইসাথে বর্ধমান পশ্চিম ( দুর্গাপুর)  কেন্দ্রের অধীনে মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বড় ধরনের কোন গন্ডগোলের খবর মিলেনি। হানাহানি না ঘটায় শাসকদল সহ বিরোধীদলগুলিও একপ্রকার খুশি বলা যায়।তবে এই ভোটে নীরব সন্ত্রাস টি সুসংগঠিতভাবে ঘটেছে বলে অভিযোগ। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাপ্পা, ইভিএম মেশিন খারাপের খবর মিলেছে। আবার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি প্রার্থী কে মারধর সহ গাড়ী ভাঙচুর করার। শাসক শিবিরের পক্ষে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সোমবার সকালে  বোলপুর আসনের অধিনে থাকা   কেতুগ্রামের খাঁজি বিদ্যালয়ে ১০৪ এবং ১০৭ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনেই ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠার সাথেসাথেই নির্বাচন কমিশন অবশ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।   উক্ত দুটি বুথে নুতন প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করে ন

রাজ্য অচল আদালতে, দুশ্চিন্তায় নির্বাচন কমিশন

  মোল্লা জসিমউদ্দিন,   পশ্চিমবঙ্গে গত বুধবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং ঘিরে যে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে  পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে। তাতে ভোগান্তি পোহাতে যেমন হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের কে। ঠিক তেমনি   বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষও বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল    । কেননা গত বুধবার থেকে রাজ্যের সব আদালতেই উকিলবাবুদের কর্মবিরতি চলছে,এরফলে সমস্ত বিচার-প্রক্রিয়া বন্ধ প্রায় বলা যায়  । এবং  সোমবার পর্যন্ত আইনজীবীদের   এই কর্মবিরতি  চলবে। অর্থাৎ চারদিন ওয়ার্কিং ডে আদালতে নষ্ট   হয়েছে। যারফলে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে যে ওয়ারেন্ট গুলি  পড়ে রয়েছে, সেগুলি ডিসপোজাল হয়নি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে   ।  আসামি কিংবা অভিযুক্তরা  আগাম জামিন কিংবা এজলাসে হাজিরা দিয়েও  তা পাচ্ছেনা। যার ফলে ভোট প্রক্রিয়ায় দাগী আসামিদের কাছে ভোটের দিন গন্ডগোলের আশংকা থেকেই যায়। চলতি লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তিন দফা ভোট হলেও এখনও চারদফা ভোট বাকি রয়েছে। নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রাজ্য পুলিশ ভায়া হয়ে প্রতিটি পুলিশসুপার থেকে ওসিস্তরের আধিকারিকদের  কাছে  সংশ্লিষ্ট জেলা কিংবা

চতুর্থ দফার আগেই কি বদলীর সম্ভাবনা পুলিশ প্রশাসনিক মহলে?

মোল্লা জসিমউদ্দিন, ' গা ছমছম কি হয় কি হয় ' এইরুপ পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনিক মহলের অভ্যন্তরে। ইতিমধ্যেই গত তিন দফায় পুলিশ কমিশনার থেকে এসপি এমনকি এএসআই পদমর্যাদা পূর্ন অফিসার বদলী হয়েছেন। পুলিশের বড় কর্তাদের যেমন নির্বাচনের দশ থেকে পনেরো দিন পূর্বে বদলী হয়েছেন। ঠিক তেমনি ওসি আইসির মত আধিকারিকরা ভোটের চব্বিশঘণ্টা আগে বদলীর নির্দেশ পেয়েছেন। আগামী ২৯ এপ্রিল লোকসভার চতুর্থ দফায় ৮ টি আসনে ভোট হচ্ছে। এই আসন গুলি মূলত পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম , জেলায় পড়ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য অনুব্রত মন্ডলের বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার কে নিদিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বাঁকুড়া জেলার এক এসডিপিও কে সরানো হয়েছে কয়েকদিন আগে । আর মাত্র ২ দিন পরেই ভোট এইসব আসনগুলিতে। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, একসাথে বিপুল সংখ্যক অফিসার বদলী হতে পারে চতুর্থ দফার প্রাক্কালে । যা নজিরবিহীন হতেও পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে সামন্তরাল প্রশাসন চালাবার মত গুরতর অভিযোগ তুলেছেন। আসন্ন ভোটপূর্বে যার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা ও বীরভূম জে

পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে

      মোল্লা জসিমউদ্দিন,  শুক্রবার দুপুরে রাজ্য 'বার কাউন্সিল ' এর সাতজনের এক প্রতিনিধিদল হাওড়া আদালতে  যায় । হাওড়া বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনার পাশাপাশি  জেলা জজের সাথেও দেখা করেন তাঁরা। জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে হাওড়া আদালত চত্বরে পুলিশ বনাম আইনজীবীদের হাতাহাতিতে আহত ২৬ জন আইনজীবীদের চিকিৎসার খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা সাহায্য করছে  বার কাউন্সিল। এদিন হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের 'বার এসোসিয়েশন' সর্বসম্মতিক্রমে  পরিস্কারভাবে 'বার  কাউন্সিল' এর মেম্বারদের জানিয়ে দেন - হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সহ আরও দুই আইপিএসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করতে হবে, তা নাহলে আগামী সোমবার পর্যন্ত যে কর্মবিরতির ডাক আইনজীবীরা সারা রাজ্য জুড়ে শুরু করেছেন, তার মেয়াদবৃদ্ধি অনিদিস্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলবে। এদিন হাওড়া জেলাজজ এর এজলাসে ঘন্টা খানেক বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিরা আলোচনা চালান গত বুধবারের নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট কে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালতের জেলাজজ তাঁর বিশেষ রিপোর্ট পাঠিয়ে দ