পোস্টগুলি

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শিকার হয়েছেন। হাজতবাসের পাশাপাশি জুটেছে নানারকম জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। তবে এরা কেউ দমবার পাত্র নন। দেশের সংবিধানে সংবাদমাধ্যমের ভুমিকা কে সামনে রেখে নির্ভীক সাংবাদিকতার লড়াই চালাচ্ছেন অবিরত। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বোলপুরের এক সাংবাদিকের দুটি ফৌজদারি মামলায় আগাম জামিনের ক্ষেত্রে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে - ' বেআইনী কাজ নিয়ে খবর করা সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার। প্রশাসনের চোখে ভালো নাও লাগতে পারে। তবে নির্ভীক জনহিতকর সাংবাদিকতা জনগণ কে সচেতন করে '। উক্ত দুটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই সাংবাদিকের আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণ করে বীরভূম জেলার এসপি কে দুটি এফআইআর কপি ভালোমতো খতিয়ে দেখবার পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছিল আদেশনামায় - 'যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য হলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা   অভিযোগকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্

এই রাজ্যে চিনা মাঞ্জা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, জানালো হাইকোর্ট

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,     মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.বি. রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চিনা মাঞ্জা নিয়ে রায়দান ঘটলো। সেখানে চিনা মাঞ্জা কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজ্য কে চিনা মাঞ্জা নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অনলাইন শুনানি চলে। সেখানে শুধু চিনা মাঞ্জা নয় ঘুড়ি উড়াবার সুতো, সিন্থটিক সুতো সহ চিনা মাঞ্জার যাবতীয় সরঞ্জাম কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। গত ২৫ শে মার্চ রাজ্য সরকারের চিনা মাঞ্জা নিয়ে বিধিনিষেধের বিজ্ঞপ্তি টি ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য সরকার কে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি চিনা মাঞ্জার ব্যবহার বন্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে উচ্চ আদালতের পক্ষে। উল্লেখ্য, এই মামলার আবেদনকারী আইনজীবী করুণময়ী ওরফে জয়ন্ত সামন্ত ২০১৭ সালে ২৭ ডিসেম্বর শিশুকন্যা কে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে কলকাতার এক উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় পথ দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। এই ঘটনায় শিশুকন্যাটি গুরতর আহত হয়। এরপরেই ওই আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার

লকডাউনে শিক্ষক বদলীর নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বললো হাইকোর্ট

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন     মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই  রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন।সেখানে সমস্ত অফিস - আদালত একপ্রকার বন্ধ বলা যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ৪ জুন হাওড়া জেলায় সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এক বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক - অশিক্ষক কর্মচারীদের বদলীর নির্দেশ জারি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ এর এহেন নির্দেশ জারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন বদলীর নির্দেশপ্রাপ্ত  চারজন শিক্ষক।মামলাকারীদের আইনজীবী এক্রামূল বারি আবেদনকারি শিক্ষকদের হয়ে মামলাটি লড়েন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার অনলাইন শুনানি চলে। সেখানে উভয় পক্ষের ভিডিও কনফারেন্সে  সওয়াল-জবাব  শুনে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য হাওড়ার ওই স্কুলের চার জন শিক্ষকের বদলীর নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। সেইসাথে এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষর ওই বদলীর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সাথে বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আদেশনামা রয়েছে এই মামলার রায়দানে। আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলবে বলে জান

সাদা পোশাকে পুলিশ ট্রাফিক জরিমানা আদায় করতে পারেনা, জানালো হাইকোর্ট

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)     রাস্তাঘাটে প্রায়শ যানবাহন চালকদের উপর পুলিশি জুলুমবাজির অভিযোগ উঠে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তোলাবাজির অভিযোগ প্রায়শ শোনা যায়। ঠিক এহেন ক্ষেত্রে সাদা পোশাকের পুলিশের  দৌরাত্মটা বেশি লক্ষণীয়। কে ড্রাইভার, কে সিভিক আর কেই বা পুলিশ অফিসার?  তা বোঝা বড়ই দায়!  গত বৃহস্পতিবার  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এক মামলার রায়দানে বিচারপতি তাঁর আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন - ' ট্রাফিক জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে পুলিশের উর্দি পড়া আবশ্যিক'। তাছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশ কোন গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারবেনা। ওই মামলা সাদা পোশাকের পুলিশ যে বেআইনী কাজ করেছেন তা মামলার পর্যালোচনায় বিচারপতি জানিয়েছেন। ওই পুলিশ অফিসার কে সর্তকও করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে বিধাননগরের এই আইনজীবীর জোর পূর্বক ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া এক সাদা পোশাকের পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা উঠে। অনলাইন শুনানিতে উঠে আসে - বিধাননগরে সূর্যনীল দাস নামে এক আইনজীবী গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিধাননগর (পূর্ব) থানার

এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে চায় কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,    বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার অনলাইন শুনানি চলে। ভিডিও কনফারেন্সে এই মামলায় বিচারপতি বিবেক চৌধুরী উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন কোন নিয়োগ করতে গেলে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি অবশ্যই নিতে হবে বলে এদিন বিচারপতি তাঁর আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। ২০১৭ সালে শুন্যপদ  ১৪ হাজার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক  নিয়োগের জন্য। পরীক্ষার ফলপ্রকাশ থেকে একাডেমিক স্কোর সেইসাথে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশে ব্যাপক অসচ্ছতার অভিযোগ উঠে দফায় দফায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাসে এইবিধ অভিযোগগুলি নিয়ে মামলা দাখিল হয় পরীক্ষার্থীদের তরফে। এদিন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষার্থী ভানু রায়ের পক্ষে আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান - "উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ঘটেছে"। বুধবার দুপুরে অনলাইন শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী উভয় পক্ষের ভি

তৃণমূল লিগ্যাল সেলের রক্তদান শিবির

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন  শুক্রবার দুপুরে  কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে   তৃণমূল লিগ্যাল সেলের পক্ষে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে শতাধিক আইনজীবী রক্তদান করেন। এই কর্মকান্ডেউপস্থিত  ছিলেন আইনজীবী তথা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য প্রমুখ। ইতিপূর্বেতৃণমূল লিগ্যাল সেলের পক্ষে সবজির হাট বসানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে।                          

ঈদের নামাজ আদায় হলো

সেখ নিজাম আলম গলসিতে ঈদের নামাজ সুষ্ঠুভাবে। গলসি থানার অধীনে সমস্ত মুসলিমগণ প্রশাসনের নিয়মানুযায়ী নামাজ সম্পন্ন করলেন বলে জানা যায়। এতে গর্বিত গলসি থানার পুলিশ - প্রশাসন। জানা যায়,গলসি থানার কোন গ্রামেই ঈদের নামাজ ঈদগাহে হয়নি। প্রত্যেক গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় অল্প সংখ্যক লোকের সমাগমে নামাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যেকে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে নামাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রশাসনিক মহল খুশী। তবে এতবড় ঈদের নামাজ সকলে মিলে একত্রে না পড়ে এইভাবে পাড়ায় পাড়ায় কম সংখ্যক মানুষ নামাজ পড়ার কৃতিত্ব গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকারের। কারণ আগে থেকেই এলাকার সমস্ত মসজিদে ঈমামদেরকে গলসি থানার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়,প্রশাসনিক নিয়মানুসারে নামাজ পড়লে তার কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তাই লক ডাউনে নতুনভাবে নামাজ পড়তে প্রশাসনের নিয়মে নামাজ পড়ায় খুশী গলসি থানার পুলিশ। তাই থানার নিয়মে যেমন মানুষ নামাজ পড়েছেন,ঠিক তেমনি নিয়ম সফল হওয়ায় মুসলিমদেরকে সুষ্ঠুভাবে নামাজ পড়ার সুযোগও করে দেওয়া হয় গলসি থানার পক্ষ থেকে।