পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মঙ্গলকোটে শাসক দলের নেতারা বেনামে সম্পত্তি করছেন ?

আর্থিক কেলেংকারীর খবর নুতন নয় মঙ্গলকোটবাসীদের কাছে। বামজামানায় সিপিএমের কুখ্যাত নেতা ডাবলু আনসারীর বিপুল আর্থিক উথান ঘটেছিল। অনুরুপভাবে তৃনমূল আমলেও 'দ্বিতীয় ডাবলু আনসারী' খ্যাত নেতা সহ পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা, প্রধান /উপপ্রধানদের অলৌকিক আর্থিক বিকাশ ঘটেছে ।       মঙ্গলকোটে কাটমানি খেয়ে কোটিপতি নেতাদের সম্পকে জানার আগে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পেক্ষাপট জানা জরুরি। কেননা রাজনৈতিক পেক্ষাপটের সাথেই লুকিয়ে রয়েছে কাটমানি খাওয়ার নিত্য অভ্যাসগত আয়। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে মঙ্গলকোটে নিরঙ্কুস প্রভাব শাসক দল তৃনমূলের, বলা ভালো, অনুব্রত মন্ডল অনুগামীদের। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের পর ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে হাতেগনা কয়েকজন জনপ্রতিনিধি পাশ করে থাকে। তাও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলাপরিষদ নয়। যারা জিতেছিলেন বিরোধী হিসাবে, তারাও রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হতে দলবদল করেন। ২০১৪ সালে লোকসভায় তৃনমূল লিড পায় ২৪ হাজারের মত। ২০১৬ সালে তৃনমূল প্রার্থী জিতেন ১২ হাজার ভোটে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য হয় গোটা ব্লক এলাকা তথা সংশ্লিস্ট মহকুমা।২০১৯ সালে লোকসভায় তৃনমূল লিড

ক্যানিং তে পুলিশের সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার

উজ্জ্বল  বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর :  বারুইপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবারে এক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মঙ্গলবার  ক্যানিংয়ের বন্ধুমহল ক্লাব কক্ষে। সচেতনতার বিষয় ছিল শিশু ও নারী পাচার রোধ, নাবালিকা বিবাহ প্রতিরোধ, জলের অপচয় রোধ, বৃক্ষরোপণ এর প্রয়োজনীয়তা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, সামাজিক প্রচার মাধ্যমের অপব্যবহার প্রতিরোধ ইত্যাদি। এই শিবিরে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় দুই হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। শিবিরের সহযোগিতায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদপ্তর ও ক্যানিং থানা।উপস্তিত ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলা সুপার রশিদ খান মুনি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দজিত বসু,বিধায়ক শ্যামল মন্দল,ক্যানিং থানার আই সি সতীনাথ চট্টরাজ,জীবনতলা থানার ওসি অধেন্দু শেখর দে,বারুইপুর মহিলা থানার ওসি কাকলি ঘোষ সহ আরো অনেকে।

প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার আজ ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

মোল্লা শাহজাহান - নিপু,  আজ অর্থাৎ সোমবার  প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল)  পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বসবাস করতেন। কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী  তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদা

আগামীকাল প্রয়াত বিচারক / সাংবাদিক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী

মোল্লা শাহজাহান - নিপু, আগামীকাল প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল)  পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী  তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুম

কাটমানি নিয়ে ইতি টানতে চাইলেও তৃণমূলের নাগালের বাইরে

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  কাটমানির রেশ অব্যাহত বাংলার বুকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। সর্বত্রই উত্তাল বাংলা। এরেই মধ্যে গত সপ্তাহে তৃনমূলের বিশেষ বৈঠকে দলনেত্রীর ঘোষণা - 'কাটমানি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা'। আবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী কাটমানি প্রসঙ্গে বলেছেন - 'তথ্য প্রমাণ  দিয়ে পুলিশ প্রশাসন কে অভিযোগ করুন '। কাটমানি অর্থাৎ দলের নামে তোলাবাজি টি হয়েছে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পে, তাই স্বচ্ছতা আনতে এই দাওয়াই । মূলত ঘর, শৌচাগার, বিভিন্ন ঋণপ্রদানে  সরকারি ভতুর্কি দেওয়া প্রকল্প গুলিতে কাটমানি আমদানির ঘটনা গুলি বেশি ঘটেছে। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন কাটমানি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা কিংবা পঞ্চায়েত মন্ত্রী যখন তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কাটমানির অভিযোগ নয় বলে জানাচ্ছেন তখন বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কাটমানি কান্ডে ইতি টানতে চাইছে শাসকদল?  কেননা সরকারি প্রকল্পগুলির বেশিরভাগ উপভোক্তা হচ্ছে গরীব মানুষ। তাদের কে যখন পঞ্চায়েত স্তরে ইন্দিরা আবাস / গীতাঞ্জলি প্রকল্প / প্রধানমন্ত্রী আবাস / বাংলা আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়েছে। তখন দলীয় ঘুষ অর্থাৎ কাটমানিতে তো কোন লিখিত

ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে মামলার গতি নিয়ে প্রশ্ন মক্কেলদের

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  বাম আমলে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু রাজ্য জুড়ে ভূমিহীনদের পাট্টা বিলিতে জোর দিয়েছিলেন। ব্যাপকভাবে পাট্টা বিলি কর্মসূচিতে দেখা যায় জমি নিয়ে আইনী জটিলতা। তাই তখন অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে বিধাননগরে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত চালু করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু   ৷ এটি কলকাতা হাইকোর্টের আওতায় থাকে। সেইসাথে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা সারা রাজ্যের ভূমি বিষয়ক মামলা গুলি দেখেন৷ ৬ টি পদে বিচারপতিরা থাকলেও ৩ জন ভূমি আধিকারিকদের প্রশাসনিক বিষয় গুলি দেখেন। এবং বাকি ৩ জন ৩ টি আলাদা বেঞ্চে ভূমি মামলাগুলি পর্যবেক্ষণ, শুনানি, রায়দান দিয়ে থাকেন৷ মামলার সংখ্যা পাহাড়তুল্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রায়দান কম ঘটে। তাই ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে বিচারপতি সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মামলা হয়। তাতে ৬ জন বিচারপতি বেড়ে ৮ জনে দাঁড়ায়৷ তবে প্রশাসনিক বিচারপতি ৪ জনের জায়গায় ২ জন এবং বিচারবিষয়ক ৪ জনের জায়গায় ৩ জন রয়েছেন। অর্থাৎ ৮ টি পদে বর্তমান বিচারপতি সংখ্যা ৫ জন৷ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত সুত্রে প্রকাশ, প্রত্যেক বছর ৫ হাজারের বেশি মামলা দাখিল হয় এই আদালতে।  উত্তরবঙ্গে সার্কিট বেঞ্