পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মঙ্গলকোট পুলিশের মানবিক উদ্যোগ - শিশুদের গরুর দুধ বিলি

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,     শতাধিক ভবঘুরেদের নিয়মিত ডিমভাত খাওয়ানোর আয়োজন করার পর ফের মানবিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কে। শনিবার সকালে সদর মঙ্গলকোট এলাকার পঞ্চাশের বেশি শিশু - নাবালক পরিবারদের গড়ে এক লিটার করে গরুর দুধ দেওয়া হল। লকডাউনে কর্মহীন হওয়া এইরুপ প্রান্তিক পরিবার গুলির কাছে বাচ্ছাদের জন্য এক লিটার করে গরুর দুধ পাওয়া 'হাতের  কাছে চাঁদ পাওয়ার' সমান বিষয়। এদিন মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অফিসাররা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে দুস্থ শিশুদের পরিবারের হাতে গরুর দুধ তুলে দেন।মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন -" এদিন মাঝিপাড়া, বক্সিনগর, মঙ্গলকোট, পদিমপুর, বড়াগড়, মজলিদিঘির পাড় প্রভৃতি এলাকা থেকে পরিবার গুলি এসে দুধ সংগ্রহ করতে"।  জানা গেছে, এইরুপ দুুুধ  বিলি কর্মসূচি প্রায় নেওয়া হবে। অপরদিকে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে কৃষাণমান্ডিতে এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ত্রিশ চল্লিশজনের দলবল নিয়ে নিয়মিত  বাজার করতে যাচ্ছেন, তাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ  নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে  ।                                     

মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে হিন্দু সংহতি মঞ্চের খাদ্য সামগ্রী বিলি

ছবি
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,             ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের গ্রামের দুস্থদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামের হিন্দু সংহতির কর্মীরা। জানা যাচ্ছে নিজেরাই চাঁদা দিয়ে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ কেনে। তারপর সেগুলি চাণকের তিনটি বুথের দুস্থদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুবোধ, সুব্রত, বোধন, লক্ষীরাম সহ জনা ১৫-২০ হিন্দু সংহতির কর্মী। এই সাহায্য পেয়ে এলাকার দুস্থ মানুষরা খুব খুশি।       স্হানীয় হিন্দু সংহতির কর্মী সুবোধ মণ্ডল বললেন - আমাদের গ্রামে বেশ কিছু দুস্থ মানুষ বিশেষ করে বয়স্ক মহিলা আছেন। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তারা যাতে দুবেলা দুমুঠো খেতে পান তারজন্য  নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে আমরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আশাকরি দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

অনাহারে ব্যাঙ্গালোরে আটকে রয়েছে এই রাজ্যের ২৪

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    চিকিৎসার জন্য দক্ষিণভারতে গত ১৭ মার্চ গিয়েছিলেন এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা। তারা লকডাউনর জেরে ফিরতে পারেননি নিজ নিজ বাড়ী। সাউথ ব্যাঙ্গালোরের  বনসঙ্করি ফাস্ট ফেজ  ( কুমারস্বামী লে আউট, ৫০ ফুট রোড, পিন ৫৬০০৭৮)  এলাকায় অর্ধাহারে - অনাহারে দিন কাটছে তাদের। সাগর ইন্টার ন্যাশনাল, বাসবি প্রভৃতি হাসপাতালে কিডনি - হার্ট - গাইনি সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য এইসব রোগীরা এই রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণভারত গিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া,মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ১৭ মার্চ এরা গিয়েছিলেন সাউথ ব্যাঙ্গালোরে। মঙ্গলকোটের মাহাতুর্বা এলাকার লালচাঁদ মন্ডল ও টাপি দাস রয়েছে। আটকে পড়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ( সোনালি দাস, লক্ষ্মীবালা দাস প্রমুখ)  গত সপ্তাহে সারাদেশ ধরে লকডাউন ঘোষনার মধ্যেই আটকে গেছেন। যেটুকু অর্থ ছিল এদের মধ্যে তাও লকডাউনে বাজারে চড়ামূল্যে খাবার দাবার কিনে এবং হোটেল ভাড়া দিয়ে শেষ হয়ে গেছে। এদের সাথে যোগাযোগকারী নাম্বার গুলি হল ৭০০১২৯৪৮৫৪, ৯৭৪২৪৩৬৪৭৩। প্রায় অনাহারে থাকা এইবিধ ২৪ জনের মানবিক আবেদন - "রাজ্যের ম

মানবিক গুসকারা পুলিশ, ভবঘুরেদের চারবেলা আহার

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,      করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায়   কখনো নিষ্ঠুর হয়ে লাঠি হাতে অপ্রয়োজনীয় ভিড় সামলাতে হচ্ছে,কখনো বা দুস্থদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার হাত। ঠিক এই দুই ভূমিকায়  দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ আধিকারিকদের। রেলস্টেশনে জনা কুড়ি ভবঘুরে থাকে। ট্রেনে বা অন্য কোথাও ভিক্ষা করে ওরা কোনোরকমে দিন গুজরান করে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - ওরা রেলস্টেশন চত্বরেই পড়ে থাকে। লক ডাউনের কারণে ট্রেন সহ সমস্ত যানবাহন বন্ধ। ফলে ঐ মানুষগুলো চরম সমস্যায় পড়ে। এক সময় মনে হয় মানুষগুলো হয়তো না খেতে পেয়ে বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। খবর পেয়েই  বিট হাউসের পুলিশ গত ২৫ শে মার্চ ওদের উদ্ধার করে গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ে রাখার ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয়  পৌর কর্তৃপক্ষ।ওদের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিকে। জানা গেছে,   প্রত্যেকদিন ওদের দু'বার টিফিন ও দু'বার ভাত দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে ডিম থাকছে।ভবঘুরেদের বক্তব্য - "ট্রেন যখন বন্ধ হয়ে গেল তখন ভাবলাম না খেয়ে মর

দুরত্ব রেখে মঙ্গলকোটে চলছে কেনাকাটা

ছবি
সুকান্ত ঘোষ,   দুরত্ব বজায় রেখে চলছে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটা।  পুলিশ নিয়মিত টহলদিচ্ছে এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলে জানিয়েছেন ওসি মিথুন ঘোষ।           

অভুক্তদের ডিমভাত খাওয়াচ্ছে মঙ্গলকোট পুলিশ

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    মঙ্গলকোট থানার পুলিশের উদ্যোগে নুতনহাট, নিগন, কৈচর প্রভৃতি সড়কমোড়ে থাকা ভবঘুরেদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হল। পুলিশের এহেন ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী। চলতি লকডাউনে ভবঘুরে সহ ভিক্ষুকেরা একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষের নির্দেশে শতাধিক অসহায় ব্যক্তিদের ডিম সহ সবজিভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের তরফে।                                

করোনায় চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি নসিব.....

ছবি
জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি করোনা ভাইরাস। 'জন্মিলে মরিতে হবে' এই চিরন্তন সত্য জানলেও আজ করোনা বীভৎসতার শেষ পয্যায়ে। এই ভাইরাসে মারা পড়লেও শেষকৃত্যের নির্মম ছবি আজ কঠিন বাস্তব। চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি নসিব হওয়ার চান্স নেই...  তাই আবেদন 'ঘরে থাকুন' নিজে বাঁচুন, অপর কে বাঁচান। করোনা নামক যমদূত কে দূর করুন এই বিশ্ব থেকে।    মোল্লা জসিমউদ্দিন   ( সম্পাদক - বাংলার খবরাখবর নিউজ নেটওয়ার্ক)

করোনায় দুরত্ব বজায় রেখে মঙ্গলকোটে জুম্মা নামাজ

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মঙ্গলকোট ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৩৫ টি মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় হলো করোনা বিধিনিষেধ বজায় রেখে। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ সদর মঙ্গলকোট - বড়বাজার সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবদের  দুরত্ব বজায় রেখে জুম্মা নামাজ আদায় করবার অনুরোধ রেখেছিলেন।             

করোনায় রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দিলেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ

ছবি
জুলফিকার আলি    করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দান শুভেন্দু অধিকারির। বারবার তাঁকে দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। এবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রাজ্য বাসীকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্যোগের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহন,সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নিজে এবং যে তিনটি ব্যাঙ্কের তিনি চেয়ারম্যান সেই সংস্থা গুলি মিলিয়ে মোট ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে জমা করালেন মন্ত্রী। অখন্ড মেদিনীপুর জেলার  তিনটি সমবায় ব্যাঙ্ক যথাক্রমে কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিঃ , বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো ব্যাঙ্ক লিঃ,কন্টাই কার্ড ব্যাঙ্ক লিঃ এর চেয়ারম্যান শুভেন্দু।এই ব্যাঙ্ক গুলি তাদের উপার্জন থেকে ত্রান তহবিলে  ৫০ লক্ষ  টাকা করে মোট দেড় কোটি টাকা জমা দিয়েছে।এর পাশাপশি নন্দীগ্রামের  বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু নিজের বেতন থেকে ১০ লক্ষ টাকা জমা করেছেন ত্রান তহবিলে।

লকডাউনে দুস্থদের খাদ্য সামগ্রী দিতে চায় 'সুসম্পর্ক'

ছবি
সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে আবেদন আমরা গ্রহণ করতে চলেছি একটি অভিনব উদ্যোগ যেখানে লকডাউন এর ফলে বাজারের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির শিকার যে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষ তাদের হাতে আমরা তুলে দেবো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেককে আমাদের পাশে পাব। আপনারা যদি সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো হাসি ফুটবে সে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে যাদের এই অবস্থায় বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠছে।

লকডাউনে পূর্ব বর্ধমানে আট চার হাজার শ্রমিক

ছবি
সুকান্ত ঘোষ       গত মঙ্গলবার থেকে চলছে সারাদেশ ব্যাপি লকডাউন। তিন কেটে গেলেও  পূর্ব বর্ধমান‌ জেলার অন্তর্গত প্রায় ৪০টি হিমঘরে ৪০০০ এরও‌ অধিক শ্রমিক লকডাউনের কারণে ‌আটকে আছে। ঐ শ্রমিকরা মূলতঃ উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা‌ ও মুর্শিদাবাদ জেলার ‌বাসিন্দা।জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বারবার আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ।ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের তরফে গত ২৫ মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে এব্যাপারে তথ্যসমৃদ্ধ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।  পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, মেমারি, খন্ডঘোষ, রায়না প্রভৃতি এলাকার কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিক এরা।             

কেরালা - চেন্নাই থেকে শয়ে শয়ে ফিরেছে মঙ্গলকোটে , রয়েছে করোনা আতঙ্ক

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন     সারা বিশ্বে করোনা থাবায় প্রাণহানি অব্যাহত। এই রাজ্যেও  সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়ে গেছে। তাই করোনা নামক 'যমদূত' প্রতিটি মানুষকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা  । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার প্রায় হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকরা ফিরেছে নিজ নিজ বাড়িতে। বেশিরভাগই কেরালা  - চেন্নাই - মুম্বাই - পাঞ্চাব থেকে এসেছে গত সপ্তাহে  ।  এদের সিকিভাগ প্রতিনিধিদের কাছে ব্লক প্রশাসন পৌঁছাতে পারলেও বেশিরভাগই 'বিদেশ থেকে ফিরে এসে কার না ভালো লাগে' সূরে স্থানীয় ভ্রমণে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে। আর এতেই মঙ্গলকোটের বিশেষত লাখুরিয়া - গোতিস্টা - পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলগুলিতে এলাকাবাসীদের কাছে তৈরি করেছে করোনা নিয়ে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিনরাজ্যে কর্মরত থাকা আসা শ্রমিকদের কে। ওই পরামর্শটুকু দেওয়া ছাড়া আর কোন স্বাস্থ্য পরিক্ষার কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে 'জনতা কারফিউ' এর কোন প্রভাব

করোনা তুমি শক্তিবান, তবে অপারেজয় নও

ছবি
গৌতম তালুকদার    করোনা: অমিত শক্তিশালী, কিন্তু অপরাজেয় নয়      কথাটা একদমই সত্যি যে করোনা ভাইরাস যতই ক্ষমতাবান হোক, তাকে পরাজিত করা সম্ভব। এই শত্রুকে সমূলে ধ্বংস করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অমোঘ অবিনশ্বর সেই অস্ত্রের প্রয়োগ করতে হবে, যার নাম অসহযোগিতা। হ‍্যাঁ, করোনার সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করা চলবে না। *মনে রাখতে হবে, সে একাই একশো হলেও শেষপর্যন্ত কিন্তু একা। আর তাই অসহায়,দুর্বল। তাকে যদি নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত একা রাখা যায়, তবে সে নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে আনে। এমনই করোনার জীবনের সংজ্ঞা। কিন্তু যদি সে একবার কোনো মনুষ্য শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং এক দেহ থেকে অন্য দেহে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে তার মারণক্ষমতা যে কত গুণ বেড়ে যেতে পারে তা আমাদের কল্পনাতীত। এই মুহূর্তে আমরা কিছুটা হলেও সেই ক্ষমতা প্রত‍্যক্ষ করেছি বা করছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। *নিয়ম মেনে করোনা আক্রান্ত ব‍্যক্তিকে যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আলাদা রাখা যায় (যা এমন কিছু শক্ত কাজ নয়), তবে করোনার জারিজুরি একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। সে হয়ে যাবে নখদন্তহীন। এই জন‍্য আমাদের সবাইকে কিছুদিনের জন‍্য হলেও নিজঘরে স্বেচ্ছাবন্দী

করোনার জেরে বার কাউন্সিলের কর্মবিরতি চলবে ৩১ মার্চ অবধি

ছবি
করোনার জেরে বার কাউন্সিলের কর্মবিরতি চলবে ৩১ মার্চ অবধি মোল্লা জসিমউদ্দিন    শুক্রবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে করোনা কেন্দ্রিক জরুরি বৈঠক চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত আদালতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের  ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আওতাধীন সমস্ত আদালতে মামলার জন্য এজলাস মুখি হবেন না আইনজীবীরা। আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আদালতগুলিতেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলে জানান  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান  সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়   ।   এহেন ভাইরাসে সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি এটি দ্বিতীয় পয্যায়ে কর্মবিরতি।    গত সপ্তাহ   থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে রয়েছে  থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতা মঙ্গলকোটে

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ডে পথচলতি এলাকাবাসীদের করোনা ভাইরাস  নিয়ে  সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হলো স্থানীয় পুলিশ - প্রশাসন। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ, বিডিও মুস্তাক আহমেদ, বিএমওএইচ ডঃ জুলফিকার আলি প্রমুখ ছিলেন সচেতনতা শিবিরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে নানান পথপ্রচার চলে। খুব প্রয়োজন না হলে ট্রেন - বাসে যাতায়াত এড়ানোর অনুরোধ রাখা হয়। সর্দি-জ্বর- কাশি সহ শ্বাসকষ্ট হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে। কোথায় কোথায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের রক্তপরীক্ষা সহ চিকিৎসা চলছে তা বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সচেতনতা শিবিরে।অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন সহ করোনা ভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে)  গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ মহাশয়।                                                                           

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় ২১ মার্চ অবধি বন্ধ থাকছে আদালত

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    সোমবার থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে ছিল থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। সোমবার দুপুরে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে - আগামী ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চও করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বসবে ওইদিন অর্থাৎ ২০ মার্চ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ, ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল থাকবে। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা

তিল তালাকের বৈধতা থাকলে হাইকোর্টে 'ধর্ষণের' মামলা চায় প্রাক্তন স্ত্রী

ছবি
তিন তালাকের বৈধতা থাকলে হাইকোর্টে  'ধর্ষণের' মামলা চায়  প্রাক্তন স্ত্রী মোল্লা জসিমউদ্দিন   সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকনামায় বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। তিন তালাকের পক্ষে - বিপক্ষে গোটা দেশ একসময় গর্জে উঠেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে  তিন তালাকনামা নিয়ে  মামলা দাখিল করেন এক 'তালাকপ্রাপ্ত' মহিলা। মামলায় অবশ্য বিচারপতি কোন আদেশনামা দেননি। তবে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। মামলার পিটিশনে ওই মহিলা দাবি রেখেছেন - 'সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সালিসি সভায় স্বামীর তিন তালাক বৈধ হলে, তারপরে নিজ বাপের বাড়িতে জোর পূর্বক স্বামীর শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক। আর যদি ওই সালিসি সভায় তিন তালাক টি অবৈধ হয়। তাহলে স্বামীর বাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন তৎপর হোক '।দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি এলাকার এই ঘটনা এখন কলকাতা হাইকোর্টের অলিন্দে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মুসলিম সমাজের বড় অংশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্

করোনা ভাইরাসের জের, আজ থেকে অচল আদালত

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন     সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল হচ্ছে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। আদালতে বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেন। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারই জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুন

শ্যামল সেন কমিশনের অর্থ ফেরতের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন    শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে সারদায় রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে মামলা উঠে। সুবীর দে নামে এক আমানতকারী গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারদায় প্রতারিতদের অর্থ ফেরতে রাজ্য সরকারের শ্যামল সেন কমিশনের অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে মামলা টি দাখিল করেছিলেন। সেখানে আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার কে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার কে জানাতে হবে কেন বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেল?  সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীরা কিভাবে টাকা ফেরত পাবে। তা লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশিকায় রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ প্রতারিত আমানতকারীরা আশার আলো দেখছেন। আদালত সুত্রে প্রকাশ, রাজ্যে সারদা সহ বিভিন্ন আর্থিক লগ্নিসংস্থার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান মঞ্জুর করে চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য। এজন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচা

মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ফলপ্রকাশ ৬ মাসের।মধ্যেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন      অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট   ১১১ মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘটালো অবসান।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে দীর্ঘস্থায়ীতা নিয়ে মামলাটি উঠে। যেখানে মহম্মদ হাবিলদের মত।একদল পরীক্ষার্থীদের হয়ে মামলাটি করেছিলেন ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবি। দু দফায় পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দশ বছর অজ্ঞাত কারনে নিয়োগে ফলপ্রকাশ নিয়ে চলছিল জটিলতা। সেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার এহেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকায় লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী তাদের কর্মজীবন শুরু করা নিয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। সম্প্রতি এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনী বৈধতা কে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে প্রায় ৫ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী গত ২০১০ সালে এবং ২০১১ সালে যে গ্রুপ ডি নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন । তারাও কলকাতা হাইকোর্টের ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের আদেশনামায় উজ্জীবিত। বিগত বাম জমানায় জুনিয়র এবং হাই মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ৫

জার্মানি সংস্থার কৃষিজ যন্ত্র পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে মেমারিতে

ছবি
সেখ সামসুদ্দিন   বুুধবার জার্মানী সংস্থা ক্লাস-এর উন্নত প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র পরিষবার সার্ভিস সেন্টার চালু হল মেমারিতে। পূর্ব ভারতে নিজেদের উপস্থিতিকে শক্তিশালী করতে ক্লাস পশ্চিমবঙ্গের মেমারিতে চালু করল তাদের প্রথম হার্ভেস্ট সেন্টার। সেন্টারের উদ্বোধন করেন ক্লাস কেজিএএ'র এশিয়া অঞ্চলের প্রসিডেন্ট ডঃ জেনস ওয়েডিং ও ক্লাস এগ্রি মেশিনারী প্রাইভেট লিমিটেডের ম‍্যানেজিং ডিরেক্টর মি জয় সিং। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল মটরস- কর্ণধার অসীম মন্ডল, রোহিত মন্ডল সহ অন‍্যান‍্য অফিসার, ট্রেনিং প্রাপ্ত কর্মী ও চাষীবৃন্দ। সংস্থার পক্ষে ডঃ জেনস ও মি জয় দাবি করেন  বর্তমানে কৃষিতে শ্রমিক সমস‍্যা মেটাতে ও কৃষি খরচ কমাতে এই যন্ত্র দারুন ভাবে উপযোগী হবে। এবং এই পরিষেবাটি চলবে ওলা-উবেরের মত অ‍্যাপের মাধ‍্যমে। চাষীরা বীজ রোপনের উপযোগী জমি তৈরি করে বা ধান কাটার জন‍্য বা ভুট্টা চাষে অ‍্যাপের মাধ্যমে বুক করতে পারবে। অ‍্যাপের দুটি ভার্সান আছে যার মধ‍্যে একটি মেশিন মালিক ও অপরটি কৃষকদের জন‍্য। 'ক্লাস ট্রাক মাস্টার' নামে এই অ‍্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই চাষীরা পরিষেবা পাবেন। ঘন্টায় ৩ হাজার টাকা ভাড়াতে এই য

বিশ্ব বাঙালির কাছে কুমুদ সাহিত্য মেলা অনন্য স্থান গড়েছে

ছবি
  গত ৩ রা মার্চ  সারাদিনব্যাপি মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা পালিত হল।একাধারে দুস্থদের বস্ত্রবিলি - অন্নভোগ যেমন চললো। ঠিক তেমনি ক্ষুদে পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি - কৃতিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৬ জন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে৷                এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত 'পান্ডব গোয়েন্দা' খ্যাত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী তথা বিদ্রোহী কবির নাতনি   সোনালী কাজী, প্রাক্তন  জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় দেব কুমার ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম, কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শ্যামলাল মকদমপুরী  প্রমুখ। প্রাবন্ধিক স্নেহাশিস চক্রবর্তী কে 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন'  , প্রকাশক নিগমানন্দ মন্ডল, কে 'বাদল সরকার রত্ন'  কাঁথাশিল্পী মনিরুল হক কে 'শান্তিনিকেতন রত্ন'  , সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ কে 'নজরুল রত্ন ' ,কার্ডিয়ালোজি হরিদাস মন্ডল কে 'রেজাউল করিম রত্

মানিকতলায় পালিত হল আন্তরিক সংঘের বসন্তোৎসব

ছবি
বইল প্রাণে দখিন হাওয়া-- আগুন জ্বালা।এ আগুন শুধুই ভালোবাসার,মিলনের।এর থেকে বড় ধর্ম,সুন্দর রঙ আর কিছুই হয় না।তাই আজ কলকাতার মানিকতলার  আন্তরিক সংঘের এই বসন্ত উৎসবের প্রভাত ফেরি।রঙ থাকুক সবার মনে, ভালোবাসার রঙ, আরো রঙিন হোক সবার জীবন।হোক রংমিলান তি মনের ঘরে।আজ সবাই মিলে অবারিত করি দ্বার----- ভালোবাসার,আন্তরিকতার।

পি.সি.চন্দ্র গার্ডেনে বসন্ত উৎসবে বিধান শিশু উদ্যানের শিল্পীরা

ছবি
গোপাল দেবনাথ    বসন্ত উৎসব       গতকাল বিকেল থেকে পি সি চন্দ্র গার্ডেন আয়োজিত হয়েছিল বসন্ত উৎসব। ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে........গান গাইতে গাইতে ছোটো থেকে বড় কয়েক শত শিল্পী সমগ্র মাঠটি নৃত্যের মাধ্যমে বসন্তের রং ছড়িয়ে দিল। সে এক অসাধারন দৃশ্য। বহু বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সামগ্রিক পরিচালনায় ছিল 'দোহার'। তাদের অনবধ‍্য সংগিত পুরো অনুষ্ঠানকে অন‍্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। বিধান শিশু উদ‍্যানের খুদে শিল্পীদের পাশাপাশি বড়দের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পরার মতো। অন‍্যান‍্য আরো কয়েকটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। নাচে গানে উপস্থিত প্রায় সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিদেশি অতিথিবৃন্দ দোহারের গানের ছন্দে স্থির থাকতে পারেন নি। আসলে রঙ্গের উৎসব পৃথিবীর সর্বত্রই আছে বিভিন্ন চেহারায়। সবশেষে হোলো আবির খেলা। আবিরের রং আষ্টেপৃষ্ঠে মেখে সবাই বাড়ি এলাম। এই মিলনের রং সম্প্রতির রং যেন আমরা সারা বছর ধরে রাখতে পারি। এই আশা নিয়েই সবাই বাড়ি ফিরলাম..... আসছে বছর  আবার হবে*

মঙ্গলকোটে কুমুদ সাহিত্য মেলা জমজমাট হলো

ছবি
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি             আজ(৩/৩) কবি, সাহিত্যিক, বাচিক ও সঙ্গীত শিল্পী, কৃষি গবেষক, অধ্যক্ষ, ডাক্তার, সমাজসেবী, সাংবাদিক সহ সমাজের সর্বস্তরের  সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে 'বাড়ি আমার ভাঙ্গন ধরা অজয় নদীর তীরে'-র অমর স্রষ্টা কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পালিত হলো কবির ১৩৮ তম জন্মদিন। নিছক কবিকে স্মরণ করা বা কবিতা পাঠ নয় আজকের অনুষ্ঠান বিভিন্ন দিক দিয়ে স্মরণীয়। সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর পক্ষ থেকে ১৫০  জন দুস্থকে বস্ত্র দেওয়া হয় এবং তাদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হয়।সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে ১০০ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।'ড: আর.এন.ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটি'-র পক্ষ থেকে দুই জন কৃতি পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।'উদার আকাশ' পত্রিকার পক্ষ থেকে তিন জন সাংবাদিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।         এর আগে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং সাধারণ মানুষ কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে কবিকে শ্রদ্ধা জানান। 'কুমুদ মেলা কমিটি'-র পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্টদের উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়

কুমুদ সাহিত্য মেলায় যাবেন কিভাবে ?

ছবি
কুমুদ সাহিত্য মেলায় পৌছাবেন কিভাবে?  আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর বসতভিটেয় হচ্ছে কুমুদ সাহিত্য মেলা। এটি মঙ্গলকোটের সদর শহর নুতনহাট সংলগ্ন এলাকা।চারটি প্রধান সড়কপথের কেন্দ্রস্থল নুতনহাট। উত্তরবঙ্গের  সাথে  দক্ষিণবঙ্গের গুরত্বপূর্ণ ৭ নং রাজ্য সড়ক গেছে নুতনহাটের উপর দিয়ে। যারা বর্ধমান শহর থেকে আসবেন তারা সদর বর্ধমান ( দুরত্ব ৩৫ কিমি) থেকে ত্রিশ মিনিট অন্তর স্টেটবাস / লোকাল বাস পাবেন। নামতে হবে নুতনহাট বাইপাস মোড়ে।যারা কাটোয়া শহর( দুরত্ব ২৫ কিমি) থেকে আসবেন  তারা ঘন্টায় ঘন্টায় বাস পাবেন। নামতে হবে নুতনহাট মোড়ে। যারা দুর্গাপুর থেকে ভায়া গুসকারা ( দুরত্ব ১৮ কিমি)  আসবেন। তাদের কে নামতে হবে নুতনহাটে। যারা বোলপুর - শান্তিনিকেতন (দুরত্ব ২২ কিমি)  আসবেন। তাদের কে নামতে হবে নুতনহাটে।  কলকাতা থেকে বাসে আসতে গেলে ধর্মতলায় ( উত্তরবঙ্গ + দক্ষীনবঙ্গ এর স্টেটবাস বাসস্ট্যান্ডে)  বাস পাবেন চব্বিশঘণ্টা ধরে। হাওড়া স্টেশন থেকেও এক্সপ্রেস / লোকাল ট্রেন কর্ডলাইন ও মেনলাইনে আসে বর্ধমান স্টেশনে। শিয়ালদহ থেকে ট্রেন কম।