মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ফলপ্রকাশ ৬ মাসের।মধ্যেই, নির্দেশ হাইকোর্টের



মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

  অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট   ১১১ মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘটালো অবসান।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে দীর্ঘস্থায়ীতা নিয়ে মামলাটি উঠে। যেখানে মহম্মদ হাবিলদের মত।একদল পরীক্ষার্থীদের হয়ে মামলাটি করেছিলেন ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবি। দু দফায় পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দশ বছর অজ্ঞাত কারনে নিয়োগে ফলপ্রকাশ নিয়ে চলছিল জটিলতা। সেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার এহেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকায় লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী তাদের কর্মজীবন শুরু করা নিয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। সম্প্রতি এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনী বৈধতা কে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে প্রায় ৫ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী গত ২০১০ সালে এবং ২০১১ সালে যে গ্রুপ ডি নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন । তারাও কলকাতা হাইকোর্টের ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের আদেশনামায় উজ্জীবিত। বিগত বাম জমানায় জুনিয়র এবং হাই মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। দু দফায় পরীক্ষাপর্ব শেষ হলেও দীর্ঘ ১১১ মাস অর্থাৎ প্রায় দশ বছর  এই পরীক্ষায় সফলদের তালিকা প্রকাশ পাইনি। পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি মহলে চিঠিপত্র লিখেও কোন সুরাহা পাইনি বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মহম্মদ হাবিল দের মত পরীক্ষার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার তাঁর আদেশনামায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন।                                                                                                 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু