পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উন্নয়নের মুক্তাঙ্গন মঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ চুরি ২৩ কোটি টাকার

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন, উন্নয়নের স্বর্গরাজ্য মঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ চুরি প্রায় ২৩ কোটি!কেন এত বিদ্যুৎ চুরি হয়েছে, উন্নয়নের কান্ডারীরা থাকতে? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, শাসকদলের বেশকিছু নেতার নামে বেনামে অনেকগুলি সাবমারসেবল, চালকল, তেলকল রয়েছে। যেগুলি বেশিরভাগই অবৈধ বলে অভিযোগ।   এগুলিতে অভিযান চালাতেও ভয় পান বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। জেলা পুলিশের একাংশের সাথে মাখামাখি ছাড়াও সশস্ত্র লোকেদের নিয়ে ঘুরাঘুরি করেন এরা। এখন প্রশ্ন রাজ্যসরকারের ২৩ কোটি বিদ্যুৎ চুরিতে শাসকদলের স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কতটা তৎপর হয় শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব?           

শাসক শিবিরে ভাঙ্গন ধরিয়ে শক্তিবৃদ্ধি পূর্ব বর্ধমান বিজেপির

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,  মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদানের আগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কালনা মহকুমার বেশকিছু অঞ্চল ছাড়া গেরুয়া শিবিরের অস্তিত্ব ছিলনা।  চারিদিকে দলবদলের হিড়িক শাসকদলের দিকে ভীড়লেও,  পূর্ব বর্ধমান জেলায় ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে গেরুয়া  শিবির। ইতিমধ্যেই জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গোলাম জার্জিস সহ আরেকজন সদস্য রুবি ধীবর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। সাংগঠনিকস্তরে দুজন নেতা অশোক মালাকার, শিবনাথ সিং এসেছেন। এছাড়া তৃনমূলের প্রতীকে মঙ্গলকোটে একদা লড়াকু প্রার্থী চন্দ্রনাথ মুখার্জি  এসেছেন পূর্ব বর্ধমানের গেরুয়া বলয়ে। আরও জানা যাচ্ছে, রাজ্যের পালাবদলের আগে ২০১০ সালে বামদূর্গ চুরমার করে দেওয়া তৃনমূল নেতা এবং সেসময়কার গুসকারা পুরচেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াই যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ে গতমাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির পতাকা ধরেছেন। আগামী  গুসকারা পুরভোটের     আগেই    চঞ্চল গড়াই   সদলবলে আসবেন বলে প্রকাশ। কেননা তিনি রাজ্যের এক বড় নেতার    সৌজন্যে  দলের অন্দরে  গুরত্বহীন এবং মিথ্যা পুলিশ কেসে জেল খেটেছেন বলে অভিযোগ। শুধু চঞ্চল গড়াই নয় জেলাপরিষদের আরেক বিদায়ী সদস্য তথা বামজামানায় মঙ্গলকোটের তৃনমূলের আ

সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে ফাল্গুনী খুনের মামলায় অভিযুক্তদের রেহাই

ছবি
 মোল্লা জসিমউদ্দিন , কাটোয়া মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ( ফাস্ট ট্রাক)   সন্দীপ চৌধুরীর এজলাসে ফাল্গুনী খুনের মামলায় তৃনমূলের ২১ জন নেতা কর্মী বেকসুর খালাস রায়দান পেলো। উপযুক্ত প্রমাণ এবং সাক্ষীরা বিরুপ হওয়াতে এই রায়দান বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ। গত শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। ২০০৯ সালে ১৫ জুন মঙ্গলকোটের ধান্যরুখি গ্রামের রাস্তায় দুস্কৃতিদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৎকালীন জেলাপরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ও সেইসাথে জেলা সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জি। এই খুনে তৃনমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চৌধুরী সহ ব্লক এবং অঞ্চলস্তরের নেতারা অভিযুক্ত হন। এই খুন কে কেন্দ্র করে মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম, মাঝীগ্রাম অঞ্চলগুলি সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী   হাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, মদন মিত্র এমনকি তৃনমূল নেত্রী     মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়  এসেছিলেন ফাল্গুনী খুন পরবর্তী অগ্নিগর্ভ মঙ্গলকোটে।  এমনকি সেইবছর ১৫ জুলাই কংগ্রেসের বিধায়ক দল এসে আক্রান্ত হয়। ধুতি পড়া মানস ভুইয়ার সেই জমির আল ধরে বিখ্যাত 'দৌড়' মঙ্গলকোট

আহমেদপুর থেকে কাটোয়া কিংবা কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলরুটে ট্রেনসংখ্যা একটি,ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রী মহলে

ছবি
 মোল্লা জসিমউদ্দিন , গত ১২ জানুয়ারি কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী বড়রেলে ট্রেন চালুতে যে চরম উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল চারটি জেলার একাংশ এলাকাজুড়ে। তা সময়ের ব্যবধানে যাত্রী ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। কাটোয়া থেকে বর্ধমান ৫২ কিমি রেলপথে ট্রেন চলছে মাত্র ১ টি, তাও অবেলায়। গত রবিবার কাটোয়া স্টেশন চত্বরে এই রেললাইন সহ আরেক নুতন বড়রেল আহমেদপুর কাটোয়ার নিত্যযাত্রীদের এক সংগঠন প্রতিবাদসভার আয়োজন করে থাকে। এবং সেইসাথে কাটোয়া স্টেশনমাস্টার কে ৬ জোড়া ট্রেন উভয় লাইনে চালুর দাবিতে স্মারকলিপিও দেয়। বৃটিশ আমলে গড়া কাটোয়া থেকে বর্ধমান এবং কাটোয়া থেকে আহমেদপুর   ন্যারোগেজ রেলপথ চলতি বছরে বডগেজে রুপান্তরিত হয়েছে। যদিও ২০১২ সালে কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলপথের   অর্ধেকটা   অর্থাৎ বলগনা থেকে বর্ধমান বড়রেলে পাঁচজোড়া ট্রেন যাতায়াত শুরু করেছে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে কাটোয়া শহর সংলগ্ন শ্রীখণ্ড থেকে বর্ধমান ট্রেন চালু হয়েছিল। তবে একটিই ট্রেন সম্বল এই রেলরুটের। চলতি বছরে ১২ জানুয়ারী কাটোয়ায় বিকেল চারটেয় সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি শুরু হয়,  বর্ধমান স্টেশন পৌছায় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। উল্লেখ্য এই ট্রেনটি আবার বর্ধমানে দুপুর দুটোয় ছ

মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক মাটি উদ্ধারে তৎপর সিদ্দিকুল্লাহ

ছবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ পর্বে দু-দুবার  নিজ অনুগামীদের শতচেস্টা করেও দলীয় প্রতীক দিতে পারেননি। প্রতীক কো দূর অস্ত, ব্লক কিংবা মহকুমা অফিসে মন্ত্রীর অনুগামীরা মনোনয়নের ফর্ম তুলতে ঢুকতে পারেনি। ভাইপোর মাথা ফেটেছে,  গত বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী এজেন্ট তথা বিদায়ী জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী ডালিম সেখ খুনের মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।  এমনকি মঙ্গলকোটের পদিমপুর বাইপাসে সেখ হায়দার আলীর বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে ভাড়া করা অফিস ঘর বন্ধ হয়ে গেছে। তবুও হাল ছাড়েন নি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। দশের কাছাকাছি বিশস্ত অনুগামী গাঁজার মামলায় জেলবন্দি,  পঞ্চাশের বেশি অনুগামী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। আবার অনেকেই গ্রামছাড়া। শাসকদলের ব্লক নেতাদের কাছে একদা ঘনিষ্ঠ অনুগামী দেবু ধারা, হারাধন মুখার্জি, জামাত আলী প্রমুখ আত্মসমর্পণ করেছে। এর মাঝেও মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মাটি ছাড়েননি সিদ্দিকুল্লাহ। মনোনয়নপর্বের দ্বিতীয় পর্বে জেলাপুলিশের চরম অসহযোগিতায় মঙ্গলকোটে এসেও ফিরে গেছেন কলকাতায়। সময় গেছে,  তবুও নীরবে নিজস্ব সংগঠন জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে আন্দ্রোলনমুখি করে তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সমীহ আ

সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংবাদিক কে ভিডিও বার্তায় গুলি করে মারার হুমকি

ছবি
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী এখনও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো দুদিন পার হয়নি। এরেই মাঝে গুলি করে খুন করবার হুমকি পেলেন মঙ্গলকোটের সাংবাদিক সুকান্ত ঘোষ। তাও 'শোলে' সিনেমার বিরুর চরিত্রে অমিতাভ বচ্চনের মুখে অডিও জালিয়াতি করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল দশটা দশে তার মোবাইলে এই ভিডিওটি গুসকারার এক দলীয় নেতা তাকে সংগৃহীত এই ভিডিওটি পাঠায়।সে আবার স্থানীয় এক আলু ব্যবসায়ীর কাছে অন্যের কাছ থেকে পেয়েছি। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই এই হুমকি টি মিলেছে।যদিও এই সাংবাদিক তার প্রকাশিত 'কৃষি সমবায় পত্রিকা'য় আসানসোলে কয়লা সিন্ডিকেট নিয়ে, কখনও গুসকারায় বাম আমলের পুরচেয়ারম্যান নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। এমনকি হাইকোর্টে রিট পিটিশন,  নিম্নকোর্টে  দুটি ফৌজদারি মামলার শিকার হয়েছিলেন সিপিএম নেতাদের সৌজন্যে। সুকান্ত ঘোষ জানান - বর্ধমান সদরে সাইবার সেলে যাব অভিযোগটি অবগত করার জন্য।                   

বিজেপিতে নাম লেখালেন মঙ্গলকোটের সাংবাদিক

ছবি
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী মঙ্গলকোট তথা পূর্ব বর্ধমানের জনপ্রিয় পাক্ষিক পত্রিকা 'কৃষি সমবায় পত্রিকা'র সম্পাদক সুকান্ত ঘোষ মঙ্গলবার সরাসরি রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করলেন।এদিন তিনি মঙ্গলকোটের পশ্চিম এলাকার বিজেপি সভাপতি সমীর দাসের হাত ধরে  গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন।সুকান্ত ঘোষ জানান - "রাজ্যে পালাবদলের পরেই কিছু মুস্টিমেয় বড় কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া ছাড়া মফস্বলের পত্রিকার বিকাশের জন্য কিছুই করেনি তৃনমূল সরকার।  সাপ্তাহিক /পাক্ষিক পত্রিকার সম্পাদকরা সরকারের সহযোগিতা না পেয়ে কাগজ বন্ধ করে দিচ্ছে।অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারাও গেছে।কোচবিহারের একজন সাংবাদিক এইরুপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। তাই  গ্রামীন সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরাসরি রাজনীতিতে এলাম "।  জানা গেছে গোতিস্টা অঞ্চলের বিশেষ দায়িত্বে এই পত্রিকার সম্পাদক কে রাখা হয়েছে।