মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক মাটি উদ্ধারে তৎপর সিদ্দিকুল্লাহ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ পর্বে দু-দুবার নিজ অনুগামীদের শতচেস্টা করেও দলীয় প্রতীক দিতে পারেননি। প্রতীক কো দূর অস্ত, ব্লক কিংবা মহকুমা অফিসে মন্ত্রীর অনুগামীরা মনোনয়নের ফর্ম তুলতে ঢুকতে পারেনি। ভাইপোর মাথা ফেটেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী এজেন্ট তথা বিদায়ী জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী ডালিম সেখ খুনের মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। এমনকি মঙ্গলকোটের পদিমপুর বাইপাসে সেখ হায়দার আলীর বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে ভাড়া করা অফিস ঘর বন্ধ হয়ে গেছে। তবুও হাল ছাড়েন নি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। দশের কাছাকাছি বিশস্ত অনুগামী গাঁজার মামলায় জেলবন্দি, পঞ্চাশের বেশি অনুগামী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। আবার অনেকেই গ্রামছাড়া। শাসকদলের ব্লক নেতাদের কাছে একদা ঘনিষ্ঠ অনুগামী দেবু ধারা, হারাধন মুখার্জি, জামাত আলী প্রমুখ আত্মসমর্পণ করেছে। এর মাঝেও মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মাটি ছাড়েননি সিদ্দিকুল্লাহ। মনোনয়নপর্বের দ্বিতীয় পর্বে জেলাপুলিশের চরম অসহযোগিতায় মঙ্গলকোটে এসেও ফিরে গেছেন কলকাতায়। সময় গেছে, তবুও নীরবে নিজস্ব সংগঠন জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে আন্দ্রোলনমুখি করে তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সমীহ আদায় করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি আসাম ইস্যু নিয়ে কলকাতার মহাজাতি সদনে প্রতিবাদ সভা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাই কে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী মঙ্গলকোটে স্বাস্থ্য বিষয়ক সভায় দর্শন মিলেছিল তাঁর। আবার ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনে নুতনহাট মিলন পাঠাগারে মুখ্য অতিথি হিসাবে আসছেন এলাকার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ।