পোস্টগুলি

মে, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বার এসোসিয়েশন এর ভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে আইনজীবী মহল

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  দু মাসের মধ্যেই এই রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের  বার এসোসিয়েশন এর ভোটপর্ব রয়েছে। তবে এবারের ভোট খুবই জমজমাটপূর্ন হতে চলেছে।একমাস পূর্বে পরিস্থিতি ছিল অন্য।বললে অত্যুক্তি হয়না যে শাসকদল ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা একশোভাগ নিশ্চিত ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার। ১৫ আসন বিশিষ্ট বার এসোসিয়েশনে গতবারের ভোটে ১২ জন তৃনমুলপ্রন্থী এবং বাকি ৩ জন বিরোধীদল ঘনিষ্ঠ আইনজীবী। তবে এবারে অন্য হাওয়া বইছে। যেটা একমাস আগে এতটা প্রকট ছিলনা। দুটি বড় ঘটনায় এবার তৃনমূলপ্রন্থী আইনজীবীরা বার এসোসিয়েশনের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারেন। এক,  হাওড়া আদালত কান্ডে কর্মবিরতি নিয়ে 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ভূমিকা। দুই, লোকসভার ফলাফলে বাংলায় অভাবনীয় সাফল্য পদ্মশিবিরের। উল্লেখ্য,  'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' এর নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা  নিয়ে দিল্লি অবধি জল গড়িয়েছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন আইনজীবী নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' তে মামলা করেছিলেন। তবে তিন সদস্যর সুপ্রিম কোর্টের  অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নির্বাচনটি বৈধ বলে রায়

মঙ্গলকোটের চাণক পঞ্চায়েত পথ দেখাচ্ছে গেরুয়া শিবির কে

 মোল্লা জসিমউদ্দিন, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বাম পরিচালিত পঞ্চায়েত যেমন তৃনমূল দখল করেছিল। ঠিক তেমনি চলতি লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশ পরবর্তী তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত গুলি দখল করতে চলেছে বিজেপি। তবে যেসব পঞ্চায়েতে ভোটের ফলের নিরিখে শাসক দল কে টেক্কা দিয়েছে, সেগুলিই দখল বেদখলের এই ছবি। 'নকুলদানা' 'গুড়বাতাসা' দাওয়াই এর পরিচিত মুখ অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্টর খাস তালুক হচ্ছে  মঙ্গলকোট। যেখানে শাসকদলের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পর্যন্ত অনুব্রতের দৌরাত্মে কোনঠাসা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন যেখানে কেস্টর অঙ্গুলহেলনে সুতোর পুতুল বলে অভিযোগ। সেই মঙ্গলকোটের চাণক পঞ্চায়েত দখল নিতে চলেছে বিজেপি। হ্যা এটাই বাস্তব রূপ নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় চমকিয়ে ভোট করিয়েছে শাসক শিবির। এমনকি এই মঙ্গলকোটের বুকে দাড়িয়ে দলের কর্মীদের দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের ভেতর ঢুকলে কেস খাওয়াবার নিদানও দিয়েছিলেন কেস্ট বাবু। কোথাও ভোট কর্মীদের সাথে সেটিং ফিটিংস করে ইভিএমে আতর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার ভোটকর্মীদে

শৈশব ভূমি মঙ্গলকোটে উপেক্ষায় বিদ্রোহী কবি

মোল্লা জসিমউদ্দিন, কাজি নজরুল ইসলাম কোন এক ধর্মের কবি নয়, নয় কোন রাজনৈতিক দলের। তিনি সবার। তিনি সাম্যের গান গেয়েছেন, বিদ্রোহের তুফান তুলেছেন। কখনো ইসলাম ধর্মের আধ্যাত্মিকতা প্রকাশ পেয়েছে। আবার কখনও বা শ্যামামার অসাধারণ গান লিখেছেন। হ্যা কাঁজি নজরুল ইসলাম শুধু এপার বাংলা, ওপার বাংলার নয়। তিনি সমগ্র বাঙালির কাছে এক মাইলফলক। আজ তাঁর জন্মদিন। অথচ তাঁর একদা শৈশবভূমি মঙ্গলকোটে বরাবরই উপেক্ষিত তিনি। বাম আমলের মত তৃনমূল জামানায় অনাদারে কাটে তাঁর জন্মজয়ন্তী। হাতে গোনা কয়েকটি ক্লাব, সংগঠন সকালবেলায় কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক আর ধুপধুনো দেওয়া ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনা। কবির স্কুল অর্থাৎ মাথরুণ নবীনচন্দ্র শিক্ষা নিকেতনে অবশ্য প্রতিবারেই সাধ্যমতো অনুস্টান করতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, আসানসোলের চুরুলিয়ায় বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম এর জন্ম হলেও পরে চলে আসেন মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামে মামার বাড়ীতে। সেখান থেকে মাথরুণ নবীনচন্দ্র শিক্ষা নিকেতনে তিনি ক্লাস ফোরে ভর্তি হন। স্কুলের রেজিস্টার বুকে তাঁর নাম আছে দুখু মিয়া নামে। প্রসঙ্গত এই স্কুলে তৎকালীন প্রধানশিক্ষক  ছিলেন পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক মহাশয়। দু

বাংলায় পদ্মফুলের উথান অক্সিজেন দিল হাওড়া কান্ডে

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  সারাদেশে মোদীঝড় নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। সেইসাথে বাংলার রাজনীতিতে 'বিরোধী শুন্য ' রাজনৈতিক পরিকাঠামো কে ভেঙে খান খান করে দিয়েছে৷ গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে যে গন্ডগোলের  সুত্রপাত ঘটেছিল। সেই গন্ডগোলের রেশ সারারাজ্যে একমাস কর্মবিরতির মাধ্যমে কাটিয়ে ছিলেন আইনজীবিরা। ইতিমধ্যেই গত ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চ হাওয়া কান্ড নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারী করে থাকে। প্রথমত, রাজ্যের যেকোনো আদালতে পুলিশ যখন তখন  ঢুকতে পারবেনা। এক্ষেত্রে মহকুমা আদালতে এসিজেম, জেলা আদালতে জেলাজাজ এবং হাইকোর্টে রেজিস্ট্রার জেনারেল এর অনুমতিক্রমে আদালতে প্রবেশ করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, হাওড়া পুলিশ কমিশনার সহ সাতজন পুলিশ অফিসার ক্লোজ থাকবেন আগামী ২৬ শে আগস্ট পর্যন্ত। এঁরা হাওড়া পুলিশে কোন কাজ করতে পারবেনা। সেইসাথে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল ১১ টি এফআইআর কপিতে পুলিশ কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। তৃতীয়ত তথা গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ টি হল, অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক বিচার বিভাগীয় কমিশন

আইনজীবী প্রহৃত ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  বুধবার বিকেল সারে চারটেয় কলকাতা হাইকোর্টের চারতলায় ২৩ নং এজলাসে বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে রায়দান দেওয়া হয়। এই রায়দানে অনেকগুলি নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষে৷ প্রথমত, অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্তাদেশ দেওয়া হয়েছে। একজন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির হাতে শাস্তিদানের ক্ষমতাও তুলে দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে হাওড়া পুলিশকমিশনার সহ চার আইপিএসের পাশাপাশি তিনজন ইনস্পেকটর পদমর্যাদার সর্বমোট সাতজন পুলিশ অফিসারদের ক্লোজ করা হয়েছে। যারা হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে কোন কাজ করতে পারবেনা। শুধু তাই নয় এই ক্লোজ নির্দেশিকা আগামী ২৬ শে আগস্ট অবধি বহাল থাকছে। উল্লেখ্য এই মামলায় পরবর্তী শুনানির তারিখ এটি৷ গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ টি এফআইআর সহ কলকাতা হাইকোর্টে পেশ হওয়া হলফনামা গুলি পর্য্যালোচনা করবে এই বিচার বিভাগীয় কমিটি। সেদিনে হাওড়া সদর থানার পুলিশ, পুরসভা, কমিশনারেটের কি ভূমিকা ছিল তা সব ক্ষতিয়ে দেখবেন অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত

পুলিশি সন্ত্রাস মঙ্গলকোটে অব্যাহত

মোল্লা জসিমউদ্দিন, চলতি লোকসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন ইতিমধ্যেই হয়েছে। ভোটপর্ব দুসপ্তাহ কেটে গেলেও হিংসা একফোঁটাও কমেনি। হাতেগোনা কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও চাপা সন্ত্রাস চলছে মঙ্গলকোটের বুকে। অনেকেই পুলিশের কাছে পৌঁছাতে পারছেনা বলে অভিযোগ।  যারা পৌছাছে থানার দোরগোড়ায়, তাদের গুরতর অভিযোগপত্র আবার কম গুরত্বে মামলা রুজু করা হচ্ছে। আবার পাল্টা মামলায় অভিযোগকারীর দলবলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হচ্ছে জব্ধ করার জন্য।     গত ২৯ এপ্রিল বোলপুর লোকসভার অধীনে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় ভোটপর্ব মিটেছিল। কোথাও ভোটকর্মীদের সাথে সেটিংস  ফিটিংস করে ইভিএমে আতর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে   । আবার কোথাও স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মহিলা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। এইরূপ নানান অভিযোগের মাঝে দুটি ঘটনায় তপ্ত হয়েছিল মঙ্গলকোটের বড় অংশ। একটি হল, ভোটের দিন চাণক এলাকায় বিজেপির বুথ এজেন্ট সহ চারজন কে সশস্ত্র হুমকি ও সেইসাথে মারধর চালানো হয়েছিল তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিদের তরফে। এই ঘটনায় হাজার হাজার আদিবাসী সংগঠিত হয়ে দফায় দফায় পথ অবরোধ চালায়। থানার মেজবাবু