মঙ্গলকোটের চাণক পঞ্চায়েত পথ দেখাচ্ছে গেরুয়া শিবির কে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন,

২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বাম পরিচালিত পঞ্চায়েত যেমন তৃনমূল দখল করেছিল। ঠিক তেমনি চলতি লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশ পরবর্তী তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত গুলি দখল করতে চলেছে বিজেপি। তবে যেসব পঞ্চায়েতে ভোটের ফলের নিরিখে শাসক দল কে টেক্কা দিয়েছে, সেগুলিই দখল বেদখলের এই ছবি। 'নকুলদানা' 'গুড়বাতাসা' দাওয়াই এর পরিচিত মুখ অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্টর খাস তালুক হচ্ছে  মঙ্গলকোট। যেখানে শাসকদলের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পর্যন্ত অনুব্রতের দৌরাত্মে কোনঠাসা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন যেখানে কেস্টর অঙ্গুলহেলনে সুতোর পুতুল বলে অভিযোগ। সেই মঙ্গলকোটের চাণক পঞ্চায়েত দখল নিতে চলেছে বিজেপি। হ্যা এটাই বাস্তব রূপ নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় চমকিয়ে ভোট করিয়েছে শাসক শিবির। এমনকি এই মঙ্গলকোটের বুকে দাড়িয়ে দলের কর্মীদের দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের ভেতর ঢুকলে কেস খাওয়াবার নিদানও দিয়েছিলেন কেস্ট বাবু। কোথাও ভোট কর্মীদের সাথে সেটিং ফিটিংস করে ইভিএমে আতর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার ভোটকর্মীদের খাবার পরিবেশন করার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের ভোটের কাজে লাগাবার অভিযোগও উঠেছে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে চাণক এলাকায়। তবে মস্তান বাহিনী সহ পুলিশি দাওয়াই দেওয়ার চেষ্টাও চলেছে। উল্টে জনরোষ ঘটেছে। টানা দেড়দিন রাস্তা অবরোধ হয়েছে। অভিযোগপত্রে থানার ওসির সাক্ষর দিতে বাধ্য করেছে। এই চাণক  পঞ্চায়েতে ১৭ টি বুথের মধ্যে ১৫ টি তে ব্যাপক লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির। অথচ ভোটের আগে বিজেপির পতাকা টাঙানো নিয়ে এক  বিজেপি কর্মীর ভাগ্নে কে রক্তাক্ত করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা। ভোটের দিন সাত সকালেই বিজেপির পোলিং এজেন্টদের রাস্তা আটকে মারধর চালায় তৃনমূল। এই ঘটনায় অদ্ভুতভাবে নীরব থাকে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।  পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে পথে নামে হাজার হাজার আদিবাসী। চলে নুতনহাট গুসকারা সড়ক রুট অবরোধ। থানার মেজবাবু মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও আদিবাসীরা অটল থাকে। শেষে বাধ্য হয়ে আদিবাসীদের অভিযোগ পত্রে থানার ওসি সাক্ষর করে। তবে পুলিশও অত্যন্ত নিপুণতায় লঘু ধারা দিয়ে মামলার গুরত্ব প্রথম দিকেই হালকা করে দেয়।অভিযোগ, যে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সে থানায় নিয়মিত যাতায়াত করে। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।  এত কিছুর পরেও এই অঞ্চলে বিপুলভাবে লিড পায় বিজেপি। গত ২৩ মে ফল ঘোষণায় এই চিত্র সামনে আসতেই রাস্তায় নামে স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। শুধু এই রাজ্যে অভাবনীয় সাফল্য নয়, দেশে বিপুল জনাদেশ মেলায় তারা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠে। পুলিশ ও প্রশাসনও এখন হাওয়া বুঝে অবস্থান বদল করছে। আগে যেভাবে থানার মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিরোধী কর্মীদের ফাঁসানো হত। সেই ট্রেন্ড না অনেকটা কমেছে লোকসভার ফলাফল ঘোষণার পর থেকে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে চাণক পঞ্চায়েত দখল নিতে চলেছে বিজেপি এবং সেটা দু একদিনের মধ্যেই।                                                                                                                                                                                         

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু