বার কোড থাকা সত্বেও মিলছেনা রেশন, বিক্ষোভ খাদ্য ভবনে
সুরজ প্রসাদ
মিলছে না রেশন, বর্ধমান খাদ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন সাধারণ মানুষ। এর জেরে কিছুক্ষনের জন্য জি.টি.রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের কাছে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য ফর্ম জমা দেওয়ার বারকোড রয়েছে, অনলাইনে রেশন কার্ড অনুমোদনের প্রমাণও রয়েছে৷ অনলাইনে সরকারি ভাবে বারকোড দেওয়া কাগজ থাকলেই প্রত্যেকেই রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে বলে খবরের কাগজ ও টিভিতে সরকারি প্রচার থেকে জানতে পেরেছেন বলে তারা জানিয়েছেন । কিন্তু তা সত্বেও তারা রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন । রানি শর্মা, রাজা লেট, সন্তোষ আচার্যরা বলেন, লকডাউনের সময় কাজ নাই, হাতে টাকা নাই। সরকারি রেশনের উপর নির্ভর এখন। রেশনের জন্য তারা বর্ধমান পৌরসভায় যান। সেখান থেকে কোন সদুত্তর না দিয়ে তাদের খাদ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। খাদ্যদপ্তরে গেলে তাদের ফের বর্ধমান পৌরসভাতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। শেষ পর্যন্ত চরম হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে জানান তারা। এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন, "এই মুহুর্তে বার-কোর্ড থাকলে তাদের রেশন দেওয়া হবে সেই রকম কোন সরকারি নির্দেশিকা আসেনি৷ পরবর্তী সময় নির্দেশিকা এলে রেশন দেওয়া হবে"। ৩১মার্চ পর্যন্ত অনেক বার-কোর্ড ডিজিটাল কার্ডে রুপান্তরিত হয়েছে, তাদের কে সরকারি ভাবে কুপন দেওয়া হচ্ছে। এদিকে প্রতিদিনই এইভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পৌর বাসিন্দারা, লকডাউনের সময় খাদ্যসামগ্রী না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।