ভালবাসার কাব্যপীঠে জলফড়িং
ভালবাসার কাব্যপীঠে জলফড়িং
যতীন্দ্রনাথ মন্ডল
পূর্ণিমা দেখে ভেবেছি চাঁদ আসবে
তাই কতবার চশমার কাঁচ বদলেছি
ঝাপসা দেখব না বলে।
আকাশ পাহারায় সারাক্ষণ নির্ঘুম জলফড়িং,
আধপোড়া মোমবাতি; ভাঙা দৃষ্টির বোধন,
কিছু মরা নিঃশ্বাসের আসা যাওয়া,
বুকের কার্ণিশে চোখের শ্রাবণ।
এক বুক জোড়া মানচিত্রে
অবসর শুধু বিষন্ন সময়ের আর কিছু অবহেলা।
তবু বদলে যাওয়া মেঘের রঙে
চাঁদ আসে চুপিচুপি উষ্ণ ছোঁয়ায়।
লুকানো যত অভিমান সব ভুলে।
আমার অনেক অপেক্ষার প্রহরগুলো
আরও সংক্ষিপ্ত হয় অবশেষে।
নিঃশব্দের চাওয়া পাওয়ায় রূপসী চাঁদ
কুমারী গন্ধে ভরে দেয় মৌন আকাশ।
ভালবাসার কবিতা মুখর হয় শব্দের জলছড়ায়।
নিষ্পলক চাওয়ায় শূন্য আঁধারে জলফড়িং,
কাব্যের চারপাশে হালকা রঙিন ডানায়
ছড়িয়ে দেয় সেই রূপসী চাঁদের স্নান।
সে আলোয় পূর্ণ হয় প্রেয়সীর দেখা।
তুমি নাই বা থাকলে একটু আঙুল ছুঁয়ে।
নাইবা ভিজালে ঠোঁট উন্মাদ স্বাধীনতায়।
আছে চাঁদের মুখোমুখি নির্বাক চোখের ভাষা।
প্রেম আর আমি;আমি আর চাঁদ
আর ভালবাসার কাব্যপীঠে জলফড়িং।