লকডাউনে গতি বাড়াতে সক্রিয় গলসি পুলিশ

সেখ নিজাম আলম

 
 গলসি বাজারে যেভাবে বিপুল লোকের সমাগম হয়,তাতে পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই লক ডাউন সফলকে অভিনন্দন জানাতে হয়। জেলার অন্যান্য এলাকাতেও নানানভাবে লক ডাউন সফল করেছেন পুলিশ তা অস্বীকার করা যায় না বটে। তবে গলসি বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষ আসেন,কেউ বাজার করতে আবার কেউ অন্যান্য কাজে। এমনকি এই বাজারে আড্ডা দিতে আসার লোকও কম নয়। অনবরত পুলিশ দুটি তিনটি গাড়ী নিয়ে গলসি বাজারের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছেন। আবার একটি পুলিশের গাড়ীতে সবসময় মাইকিং করা হচ্ছে। দূরত্ব বজায় রাখা ও মার্কস ব্যাবহার ছাড়াও অযথা বাজার করার নামে বাইরে বের হওয়া কিংবা অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট না খোলার বিষয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেয় যাচ্ছেন গলসি থানার পুলিশ। কেন্দ্রীয় সরকার আজ নতুনভাবে কতক দোকান খোলার অনুমতি দিলেও রাজ্য সরকারের আদেশে তা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন পুলিশ। গলসি বাজারে আজ নতুনভাবে দোকান খোলা কিংবা লোক সমাগমের সম্ভাবনা থাকলেও পুলিশের প্রচেষ্টায় তা রোধ করা হয়েছে। গলসি বাজারে আশেপাশের এত লোক সমাগম রোধ করা খুবই কঠিন কাজ। আজ গলসির নিস্তব্ধ  পরিবেশ দেখে বোঝা যায়, কড়া হাতে এই করোনা রোধ করতে গলসি থানার পুলিশ সচেষ্ট। শুধু গলসি নয়,এমনকি প্রায় ৫০টি গ্রাম অনবরত ছোটাছুটি করছেন তারা। প্রথম প্রথম পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা খেললেও এখন বেশিরভাগ এলাকায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে,বাইরে বেরোলে নিজেদের ক্ষতি কতটা? চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মন্দির, মসজিদ সব এখন মানব শুন্য। গলসি এলাকার যে সমস্ত মানুষ এখনও সচেতন নয়, তাদের জন্যেও ছুটে চলেছেন পুলিশ।   আজ সাধারণ কতক মানুষ অস্বস্তি বোধ করলেও, ভবিষ্যতে বুঝতে পারা যাবে,পুলিশ তাদের কত উপকার করেছিল। এই উপকারের জন্য নৈপথ্যে গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকারকে সাধুবাদ জানান বহু মানুষ।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু