মেয়েকে বিক্রি করার চেষ্টা মালদায়, চাঞ্চল্য

মানস দাস, মালদা

মেয়েকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর উদ্দেশে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল মা।মায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন খোদ মেয়ে।বাড়ি থেকে পালিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে সমস্ত ঘটনা লিখিতভাবে জানিয়েছে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়ে। তবে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত মা।বিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাস চালাচ্ছেন পুলিশ।ঘটনা কোনো গ্রামের নয়, খোদ মালদা শহরের। ঘটনা মালদা শহরের মালঞ্চপল্লি এলাকার।জানা গেছে, মেয়েটির বাবা হৃদয় ঘোষ পেশায় শ্রমিক।কাজের সূত্রে বর্তমানে বাবা ভিনরাজ্যে রয়েছেন। বাড়ি মালদা শহরের বিশ্বনাথ মোড় এলাকায়। মাস পাঁচেক আগে মা শশুর বাড়ী ছেড়ে মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে মালঞ্চপল্লি এলাকায় চলে আসেন।সেখানেই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।অভিযুক্ত মায়ের নাম পুতুল ঘোষ।মেয়ে মৌমিতা ঘোষ শহরের রামকিঙ্কর গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও ছেলে দীপঙ্কর ঘোষ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।মেয়ে জানান , "কিছুদিন ধরে তার মা তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মা তাকে খারাপ পথে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। মাঝেমধ্যেই মোবাইল ফোনে মা কারোর সঙ্গে কথা বলে। ফোনে তাকে বিক্রি করে দেওয়ার কথাও বলাবলি হয়। এসব কথা সে তার দিদিমাকে জানায়। মঙ্গলবার সে দিদিমার বাড়িতে চলে যায়। তাঁকে সব কথা খুলে বলেন। দিদিমার পরামর্শে আজ সে মাসির বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে স্কুলে আসে। পরীক্ষা চলাকালীন সে জানতে পারে, তার মা স্কুলে এসে বসে আছে। এরপরই সে গোটা ঘটনা প্রধান শিক্ষিকাকে জানায়। সে আর মায়ের কাছে ফিরতে চায় না। সে পড়াশোনা করে বড়ো হতে চায়"।যদিও মেয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মা পুতুল ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেক কষ্টের মধ্যেও তিনি ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। কোনও মা মেয়েকে বিক্রি করে দিতে পারে না। তাঁর মেয়ে গতকাল থেকে বাড়িতে ফেরেনি। তাই তিনি মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন। মেয়ে যা বলছে, তা ঠিক নয়।”
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুদীপ্তা সরকার জানান, আজ ওই ছাত্রী স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা চলাকালীনই তার মা তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুলে আসেন। ওই ছাত্রী তাঁকে জানায়, তার মা খারাপ কাজকর্ম করেন। তাকেও তিনি সেই পথে নামাতে চান। এমনকী তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হচ্ছে। সে বাড়ি ফিরে যেতে চায় না। পড়তে চায়। এসব শোনার পর তিনি ইংরেজবাজার মহিলা থানা, জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে ঘটনাটি জানান। তাঁরা চান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়েটির থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তাকে সুস্থভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়া হোক"।এরপর পুতুলদেবীকে স্কুলেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইংরেজবাজার মহিলা থানার IC শর্বরী ভট্টাচার্য। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু