আমফান মোকাবিলায় তৈরি দিঘা

জুলফিকার আলি
  

হাওয়া অফিসের নির্দেশ অনুসারে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আছে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় "আমফান" ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকত দীঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি এলাকা জুড়ে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২০ শে মে বিকেল এবং সন্ধের সময় দীঘা হয়ে তা বাংলাদেশে চলে যাওয়ার সময় পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে যাবে। কাল বিকেল বা সন্ধ্যে থেকেই ঘন্টায় ৪০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া বইতে শুরু করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তার সঙ্গেই ভারী ও অতি ভারী বর্ষনের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। তবে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে ভারী বর্ষণ আগামী কাল থেকে এই তিন জেলার সঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে, আগামী কয়েক দিন ধরেই যথেষ্ট মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতি মধ্যেই প্রশাসনের তরফে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, তার একটি তালিকা জন সাধারনের সুবিধার জন্য তুলে ধরা হল। এক নজরে দেখে নিন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে কি করবেন আর কি করবেন না, তার তালিকা ঘূর্ণিঝড়ের ‘উমপুন’ আছড়ে পড়ার পূর্বে ১. গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কান দেবেন না। শান্ত থাকুন, অযথা ভয় পাবেন না।
২. দুর্যোগের সময় যোগাযোগ রক্ষার্থে মোবাইলে ভালো করে চার্জ দিয়ে রাখুন, এসএমএস পরিষেবা ব্যবহার করুন।
৩. আবহাওয়ার আপডেট পাওয়ার জন্য রেডিও, টিভি বা সংবাদমাধ্যমের খবরের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন
৪. আপনার ডকুমেন্টস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি ‘ওয়াটার-প্রুফ’ প্যাকেটের মধ্যে ভালো করে রাখুন।
৫. আপৎকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ একটি কিট প্রস্তুত রাখুন। যা অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা দিতে ও বাঁচতে সাহায্য করবে।
৬. নিজেদের বাড়ি সুরক্ষিত রাখুন, প্রয়োজনীয় মেরামত করিয়ে নিন। কোনো ছুঁচোলো জিনিস অরক্ষিত অবস্থায় রাখবেন না।
৭. বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাদের বেঁধে রাখবেন না, যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারে বা নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু