কবি সম্মেলন হলো বলাগড় বইমেলায়
সুভাষ মজুমদার
হুগলি: বলাগড় বইমেলার নবমবর্ষে কবি-সাহিত্যিক সম্মেলন ২রা ও ৩রা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় । এই অনুষ্ঠানে কবিতা ও আবৃত্তি পাঠে অংশ গ্রহণ করেন বলাগড়ের বিশিষ্ট লেখক-কবি তপন পাল , শিবনাথ মণ্ডল, শ্যামল সমাজদার , আকাশ নট্ট, অনুপ প্রামাণিক, সুমিতা সমাজদার, অনামিকা সেনগুপ্ত, কুলটি (বর্ধমানের) কবি রামচন্দ্র পাত্র , কালনার কবি ও সাংবাদিক পুলক মণ্ডল, চন্দননগরের মুরলী চৌধূরী । কবরী ঘোষের কণ্ঠে কবিতা বিশিষ্ট মাত্রা পায়। আবৃত্তি করেন টিউলিপ ঘোষ ও ব্রততী মিত্র (পাণ্ডুয়া)।সঞ্চালক ছিলেন দেবানন্দ বিশ্বাস ও জগদীশ পাল। কবিতাপাঠ , সঙ্গীত , আবৃত্তি সহযোগে বিশিষ্ট লেখক-কবিদের অনুষ্ঠানটি মনোমুগ্ধকর হয়।
জিরাট হাইস্কুল ক্রীড়াপ্রাঙ্গনে
নবমবর্ষের বইমেলা ১লা ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হয় । নয়ই ফেব্রুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠান হবে । উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক অসীম মাঝি মহাশয় ও অন্যান্য বিশিষ্ট মানুষেরা । প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও স্মারকসম্মান জানানো হল । স্যার আশুতোষ স্মারকসম্মান পেলেন ডা. সুপ্রিম সাঁধুখা এবং রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারকসম্মানে ভূষিত করা হয় বিশিষ্ট অভিনেতা দেবপ্রসাদ মুখার্জী বা খোকোদাকে।
বলাগড় বইমেলার ইতিহাস :
প্রথম বলাগড় বইমেলা 2012 অনুষ্ঠিত হয় জিরাট কলোনী উচ্চবিদ্যালয় ক্রীড়াপ্রাঙ্গনে ।বইপ্রেমী তপন দাস , মানিক মুখার্জী ও সহযোগী কিছু যুবকের অক্লান্ত পরিশ্রমে শুরু হয়েছিল বলাগড় বইমেলা । 2012 সাল থেকেই বলাগড় বইমেলা গ্রামীন বইমেলাগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসন লাভ করেছিল । প্রথম মেলার উদ্বোধন করেছিযেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শক্তিপদ রাজগুরু ও পাণ্ডব গোয়েন্দার লেখক ষষ্ঠিপদ চট্টোপাধ্যায়। প্রথম বছর থেকেই চালু হয় লেখক-কবিদের নামে স্মারক সম্মান। যেমন - মোহিতলাল স্মারকসম্মান , পঞ্চানন কর্মকার স্মারকসম্মান , রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারকসম্মান ও স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় স্মারক সম্মান । প্রথম বইমেলায় আকর্ষণীয় স্টল ছিল পর্যটনে বাঁশবেড়িয়া ও জানা অজানায় বলাগড়। বহু বিশিষ্ট নাট্যকার , লেখক , কবি , সংগীতজ্ঞ , বিদগ্ধ মানুষের মনোভূমি বলাগড়ের বইমেলা 2020 সালে নবম বর্ষে পদার্পন করল ।