এলাকাবাসীদের হইহট্টগোলে বাঁচলো পুরুলিয়ায় চারটি প্রাণ
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
পুলকেশ ভট্টাচার্য
তখন বেলা একটা। আসানসোল - পুরুলিয়া রেলরুটে জয়চন্ডী পাহাড় স্টেশনে বেশকিছু মালগাড়ী দাঁড়িয়ে রয়েছে, আসানসোল গামী লোকাল ট্রেন কে পাশ দেবে বলে। সিগন্যাল লাল থেকে সবুজ হলো। আদ্রাগামী মালগাড়িটি প্লাটফর্ম ছাড়ছে লোকাল ট্রেন আসবে। শতাধিক ট্রেন যাত্রীরা তখন অপেক্ষায়। এইমত অবস্থায় তিন সন্তান কে নিয়ে মালগাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো স্থানীয় মাঝবয়েসী এক মহিলা। যেহেতু দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে দাড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। তাই সেসময় প্লাটফর্ম পরিত্যাগ করতে গতিবেগ ততটা ছিলনা। চারিদিকে এলাকাবাসীর হইচই, মালগাড়ীর চালক জোড়ে ব্রেক কষলেন। এক হাত কি দুই হাত দুরে রেললাইনের ওরা চারজন।রেলপুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে থাকা এই প্রতিবেদক ছুটলো সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়া ওই মহিলাটির কাছে। জানা গেল, দাম্পত্যকলহে তিন সন্তান কে নিয়ে আত্মহত্যার পথে এগিয়েছিল এই মহিলা। তবে কয়েকজন এলাকাবাসী দ্রুত চলে যাওয়ায় মালগাড়ির ইঞ্জিনে মাথা দেওয়া হয়নি। হইহট্টগোলে স্টেশন থেকে আরপিএফ এবং জিআরপির পুলিশ কর্মীরা আসে। নিয়ে যাওয়া অফিসে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বেলা একটা নাগাদ পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড় স্টেশনে। আনাড়া জিআরপির ওসি নির্মল সিং জানিয়েছেন - "এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ, আজ ওদের জন্যই এই পরিবারটি বাঁচলো "।
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ