সরস্বতী পূজায় মেতে উঠলো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

সানি প্রসাদ
 
সরস্বতী পুজো মানেই বসন্তের ছোঁয়া বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে।আনাচে কানাচে ভালোবাসার খণ্ডচিত্র।ইতিউতি প্রেমের কাহিনী। আর আছে ভালোবাসার কাহিনী, ভালো লাগার কাহিনী। 
তত্ত্বের ডালি আদান প্রদানের মধ্যে দিয়ে এদিন দিনভর গোটা ক্যাম্পাসে হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন ছাত্রছাত্রীরা।সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালীদের ভ্যালেন্টাইন ডে।ভালোবাসার দিন।প্রেমের দিন। প্রথা মেনে সরস্বতী পুজোর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা তত্ত্বের ডালি সাজিয়ে  বাজনা বাজিয়ে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করে।গার্গী,নিবেদিতা,সরোজিনী, মিরাবাঈয়ের আবাসিক ছাত্রীরা বিয়ের মত গায়ের হলুদের সাজে তত্ত্বের ডালা সাজিয়ে রঙের বেরঙের শাড়ি পরে তারা অরবিন্দ, নেতাজী, চিত্তরঞ্জন, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্র ছাত্রাবাসে হাজির হয়।ছাত্রাবাসের পড়ুয়ারা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।ঠিক একই ভাবে ছাত্রাবাসের ছাত্ররা নতুন জামা কাপড় পরে উপহারের ডালি সাজিয়ে বাজনা বাজিয়ে উপস্থিত হয় ছাত্রীদের হোস্টেলে।ছাত্রীরাও তাদের ফুল দিয় অভ্যর্থনা জানায়।
সাধারণত নিয়মের বেড়াজালে ছাত্রীদের হোস্টেলে ছাত্রদের আর ছাত্রদের হোস্টেলে ছাত্রীদের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু সরস্বতী পুজোয় নিয়মের বিধিনিষেধ উঠে যায়। সকলেই একে অপরের হোস্টেলে ঢোকে। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে।ভালোবাসার উষ্ণতা উপভোগ করে।
সত্তরের দশক থেকে গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে এই রীতিনীতি অর্থাৎ তত্ত্ব দেওয়ার চল হয়ে আসছে।
সারা বছর পড়াশোনা, পরীক্ষা  নিয়েই পড়ুয়ারা ব্যস্ত থাকে।ক্লাসে,টিউশনে পড়ার ফাঁকেই অনেকেই অন্যকে ভালোবেসে ফেলে।ভালোলাগা বা ভালোবাসা এদিন যেন প্রস্ফুটিত হয়।না বলা কথা, ভালোবাসা এদিন যেন শব্দ খুঁজে পায়।উষ্ণ আলিঙ্গনে মনের ভিতর জমে থাকা তৈরী হওয়া  প্রেম ভালোবাসা ছন্দ পায়।তৈরী হয় ভালোবাসার গল্প।গড়ে ওঠে প্রেমের কাব্য গোলাপবাগে।ছায়ানীড় গোলাপবাগে আবার কত প্রেমেরই সমাধি ঘটে নকসী কাঁথার মত।ফেসবুক ভরে ওঠে সেলফিতে।হৃদয়ের সঙ্গে  হৃদয়ের ভালোবাসায় গড়ে ওঠে নতুন প্রেম, ভালোবাসা। তাই ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে রঙীন বসন্ত।কুর্নিশ ভ্যালেন্টাইন ডে।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু