সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত 'কুমুদ সাহিত্য মেলা'

কুমুদ সাহিত্য মেলায় সরকারি  সাহায্য মেলেনা
 

প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর বাসভবনে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি' এক সাহিত আসরের আয়োজন করে থাকে। ওইদিন সমাজের বিভিন্নস্তরের গুণীজন দের সম্মানিত করা হয়। টিফিন মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা থাকে। কারও কাছে কোন ডেলিকেট ফি নেওয়া হয়না।সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ডেলিকেট ফি হিসাবে নূন্যতম দেড়শ থেকে দুশো টাকা নেওয়া হয়। আমরা গত দশ বছর কারও কাছে নিইনি এবং নেব না। 
গত ৯ বছর ধরে রাজ্যে এই ধরনের উদ্যোগ কে অনুপ্রাণিত করতে আর্থিক সহযোগিতা করা হয় সরকারের তরফে  । তবে আমরা সরকারি সাহায্য পাইনা বললেই চলে । স্থানীয় বিধায়ক থেকে প্রশাসন কে লিখিত আবেদন করা সত্বেও কেউ দেখেনি। দেখেনি বলে আমরা হাল ছাড়েনি, শত শত মানুষের কুমুদ সাহিত্য মেলায় আগমন আমাকে অনুপ্রেরণা  জোগায়। সাংবাদিকতা থেকে যা বাৎসরিক বেতনের আয় হয় তার সিংহভাগ খরচ হয়ে যায় এই কুমুদ সাহিত্য মেলায়। জনা দশ শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন, যারা যতই ব্যস্ত থাকুন কুমুদ সাহিত্য মেলায় অনুদান সাধ্যমতো দেন। অনেকেই ভিক্ষুক বলে উপহাস করে, আবার কেউ কেউ সিন্ডিকেট গড়ে ষড়যন্ত্র করে বদনাম করার। এত কিছুর মাঝেও ৩ রা মার্চ দিনটিতে আমি চাতক পাখির মতন অজয় নদের চর পানে চেয়ে থাকি শত শত কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকদের অপেক্ষায়... 

মোল্লা জসিমউদ্দিন   (সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু