মুক্তি - জয়া গুহ তিস্তা
মুক্তি
জয়া গুহ তিস্তা
মানুষ কোনোদিন তার সব কথা গুছিয়ে বলতে পারে না।
মানুষ আরাম বোধ করে তার স্বপ্নের ভিতর
বহুদিন বিছানার কাছে গিয়ে উপুড় করে সমস্ত পাপ
বহুদিন ব্যক্তিগত দুঃখে ভাবে মরে যাবে
কেউ একলা দক্ষিণের বারান্দায় ঝুঁকে খোঁজে আলো
কেউ ডানপাশ ওপর নীচ ভেবে ঝুঁকি নেয় আত্মহত্যার
পাগল,কাপুরুষ, ধর্মপ্রচারকদের জন্য বাঁচে পৃথিবী
মানুষ ভাবে চিরন্তন চাঁদ-সূর্যের কারণ কিছু পবিত্র জন্ম
গাধার টুপীর ভিতর আগলায় 'জীবন 'নামের অভিমান
এসমস্তই অনায়াসে বলে দেওয়া যায়,তবু...
নক্ষত্রের রাতে দোঁহা লেখে অজানা প্রেয়সী!আমি দেখি
বিন্দুতে গার্হস্থ্যের অগাধ বিচরণ!আমি জানি
রক্তস্রোতে আজ্ঞাবহের প্রাণ, অক্ষর!আমি মানি
সেই সব পাগল,কাপুরুষ,ধর্মপ্রচারকের পাশে হাঁটু মুড়ে বসে
বলি,"ভাষা বুঝে নেওয়ার জন্য আমি রয়েছি দেখো"
কোনো পাপ আর কঠিন হবে না,
সব দুঃখ, কান্না হারিয়ে শিশুর মত খেলবে, যতদিন..
ততদিন আমার এ জটিল পূজা ছেড়ে কোথাও যাব না
তোমার কপালে যার শ্বাস পড়ে, সেই কবিতার পাতাকে আমার ভালোবাসা....