নির্ভয়ার মত দ্রুত বিচার পেতে হাইকোর্টের দারস্থ কামদুনি
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
হায়দ্রাবাদে পশুচিকিৎসক ধর্ষণ করে খুন কান্ডে পুলিশি এনকাউন্টারের উত্তাল গোটা দেশ। এরপরে 'নির্ভয়া' কান্ডে ধর্ষকদের ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বাংলায় ধর্ষণের ঘটনায় কুখ্যাত 'কামদুনি' দ্রুত বিচার চাইছে। বুধবার দুপুরে কামদুনি গণধর্ষণ মামলার দ্রুত শুনানির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল মৃতার পরিবার।নির্ভয়াকাণ্ডে দ্রুত শুনানি এবং দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হলে, সমসাময়িক কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচার পেতে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে ? এই প্রশ্ন তুলে দ্রুত বিচার চেয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। বুধবার মৃতার পরিবারের লোকেরা দেখা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের সঙ্গে। জানা গেছে, তাঁদের প্রথাগতভাবে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালত ৮ জন দোষীদের মধ্যে ৩ জনের ফাঁসি , ৩ জনের যাবজ্জীবন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাসের রায় দেয়। এরপর সাজাপ্রাপ্তরা নিম্ন আদলতের দেওয়া সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার এই ফাঁসির রায়দানের সপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল ।এরপর থেকেই এই মামলা একাধিক বিচারপতিদের এজলাসে ঘুরতে থাকে। বর্তমানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি অমিমাংসিত ভাবেই রয়েছে। এদিন মৃতার পরিবারের পক্ষে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় রেজিস্টার জেনারেল সাহেবের সঙ্গে দেখা করেন।নির্ভয়াকাণ্ডের পরই ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধেবেলায় ওই কলেজছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং তথ্য লোপাট করতে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ঘটনায় অভিযুক্ত মোট নয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । বিচার চলাকালীন একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। বাকি ৮ জনের মধ্যে ২০১৬ সালে জানুয়ারি মাসে তিন জনকে ফাঁসি, তিনজনকে যাবজ্জীবন এবং দুজনকে তথ্যপ্রমানের অভাবে বেকসুর খালাস করে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালত।এই রায়ের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্তরা ব্যাংকশাল আদালতের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করে থাকে।সেই মামলার দীর্ঘায়িত নিয়ে বিস্তর অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে হায়দ্রাবাদে পুলিশি এককাউন্টার এবং নির্ভয়াকান্ডে দোষীদের ফাঁসির প্রস্তুতি সুবিচারের আশা দেখিয়েছে কামদুনি কে। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসে মৃতার পরিবার দ্রুত শুনানির আবেদন জানালে, রেজিস্ট্রার জেনারেল সাহেব প্রথাগত পিটিশনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে প্রকাশ।
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ