'নেপাল বিদেশ নয়' আগাম জামিনের মামলায় বললেন বিমল গুরঙ্গের আইনজীবী

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


'নেপাল বিদেশ নয়, কেননা ওই দেশে যেতে গেলে নাগরিক ভিসার প্রয়োজন পড়েনা'। এহেন বিতর্কিত যুক্তি আদালতের এজলাসে দেখালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিমল গুরঙ্গের আইনজীবী। ঘটনার সুত্রপাত, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং মনোজিত মন্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের মামলায় এজলাসে শুনানিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান - "এইবিধ মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা  বিমল গুরঙ্গের মোবাইল ফোন লোকেশন ট্র্যাকিং করে  গুগল ম্যাপে  নেপালের উপস্থিতি পেয়েছেন। এছাড়া মামলাগুলির এক।সাক্ষী তথা একদা বিমল গুরঙ্গের সহযোগী তার জবানবন্দিতে নেপালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা  বিমল গুরঙ্গের নেপালে থাকবার কথা জানিয়েছেন "।  রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের এহেন সওয়ালের পরেই বিমল গুরঙ্গের আইনজীবী এজলাসে তখন জানিয়েছে - " নেপাল বিদেশ নয়, কেননা ওই দেশে যেতে গেলে অন্যান্য দেশে যাওয়ার মত নাগরিক ভিসার প্রয়োজন পড়েনা। তাছাড়া বিমল গুরঙ্গ এদেশেই আছেন"। মামলার কাজে সুপ্রিম কোর্টে যাতায়াতও করেন বলে দাবি  বিমলের আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে দুপক্ষকেই অতিরিক্ত হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। একাধারে এডভোকেট জেনারেল কে অভিযুক্ত বিমল গুরঙ্গ - রোশন গিরিদের নেপালে থাকবার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে হলফনামায়। অপরদিকে মামলাকারীর আইনজীবী কে অভিযুক্তেরা নেপালে নেই, তার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে হলফনামায়। কলকাতা হাইকোর্টের  শীতকালীন ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে বলে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জুন মাসে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি মহকুমা এলাকা বিশেষত দার্জিলিং জেলার সিংহভাগ নিয়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন চলে। টানা ১০৫ দিন চলে এই হিংস্বাত্মক আন্দ্রোলন। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এমনকি এক পুলিশ অফিসার পর্যন্ত খুন হয়েছিলেন সেসময় ।  শতাধিক গাড়ী - বাড়ী ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ,লুটপাট চলে। ১৫০ এর বেশি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। বিশেষত বিমল গুরঙ্গ ও রোশন গিরি প্রতিটি জামিন অযোগ্য ধারায় চার্জশিট প্রাপ্ত হন। মাস কয়েক পূর্বে সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে গেলে বিমলদের সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দেয় সংশ্লিষ্ট আদালতের দারস্থ হতে। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে কয়েকদফা শুনানি চলে। সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি এই 'হেভিওয়েট' মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে 'রেফার' করে দেন। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিএবং মনোজিৎ মন্ডলের এজলাসে এই মামলায় শুনানি চলে। মূলত বিমলদের নেপালে থাকা - না থাকা নিয়ে সওয়াল-জবাব চলে। তখনি বিমলের আইনজীবী দাবি করেন - "নেপাল বিদেশ নয় কেননা ওইদেশে যেতে গেলে নাগরিক ভিসা লাগেনা"।  ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য দু-পক্ষকেই নেপালে থাকা ও না থাকা নিয়ে প্রমাণ সহ হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের শীতকালীন ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের পর।                                                                                                                                                                                            

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু