নারদা দুর্নীতি মামলায় সাময়িক জামিন পেলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

দু বছরের বেশি সময়কালে তিনি সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। তার উপর টানা ৫৫ দিন জেলে বন্দি। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে চাকরিতে সাসপেনসেন্স না উঠলেও  অবিভক্ত বর্ধমান জেলার প্রাক্তন  পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা অবশেষে পেলেন শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন।আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সাময়িক জামিন টি। যেখানে পাসপোর্ট জমা রাখা, সিবিআইয়ের তদন্তকারীর কাছে হাজিরা সহ তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্ত গুলি রাখা হয়েছে। বুধবার কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে এই মামলাটি উঠে। যদিও আগের শুনানি নারদা মামলায় 'প্রথম' ধৃত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জার জেল হেফাজতের সময়সীমা ছিল ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে ধৃত আইপিএসের পুত্রের শারীরিক অসুস্থতার রিপোর্ট নিয়ে মির্জার আইনজীবী বুধবার জামিনের জন্য আবেদন করেন। সেখানে দুপক্ষের সওয়ালজবাব শুনে বিচারক  শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেন। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন এই বিতর্কিত আইপিএস। সওয়ালে মির্জার আইনজীবী সায়ন দে ইতিপূর্বে সিবিআইয়ের নয়বার জেরায় মির্জার সহযোগিতাদান প্রসঙ্গটি তোলেন। যেহেতু ধৃত একজন আইপিএস, তাই পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তা যুক্তি দেন মির্জার আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রভাবশালী ত্বত্ত্ব ফের তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, এই বিতর্কিত আইপিএস গত ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর এক অধনস্ত পুলিশ কর্মীর উপর মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সাময়িক সাসপেন্ড হন। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে ছয়বার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর চারধাপে ১৪ দিন করে  জেল হেফাজতে ছিলেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত  বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রায় দুমাস জেলবন্দি ছিলেন   পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার। ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার এবং ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এক প্রভাবশালী নেতার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মির্জা। টানা ৫৫ দিন জেলবন্দি থাকার পর ছেলের অসুস্থতার রিপোর্ট পেশে শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন পেলেন তিনি। আগামী ৩০ নভেম্বর পুনরায় এই মামলার শুনানি রয়েছে।                                                                                                                                                                                       

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু