ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের কৈফিয়ত তলব হাইকোর্টের


ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের কৈফিয়ত তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

চলতি বর্ষে প্রাণঘাতী ডেঙ্গুতে মারা পড়েছে ২৩ জন৷ যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি ৫০ এর মত। কয়েকদিন আগে মশাবাহিত এই মারণরোগে শিকার হয়ে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল তার ১১ দিনের সদ্যোজাত সন্তান কে রেখে চিরবিদায় নিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের এক জনস্বার্থ মামলায় তৎকালীন বিচারপতি জ্যোতিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যে গাইডলাইন রাজ্যের জন্য জারী হয়েছিল। তার বর্তমান পরিস্থিতি কি?  তা জানতে সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের     প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলে। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে  ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাইকোর্টের গাইডলাইন কিভাবে মানছে তার রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ২২ নভেম্বর রিপোর্ট টি পেশ করার নির্দেশনামা রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের 'খাতা-কলমে' কর্মসূচি চলছে বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। মহানগরে আদি গঙ্গার রুপ দেখলে আঁতকে উঠবেন সকলেই। কালিঘাট কিংবা গীতাঞ্জলি মেট্রোস্টেশন সংলগ্ন এলাকা।তাতে  অনির্মলের ছবি সর্বত্রই। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সদলবলে বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান চালাচ্ছেন।রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা অভিযান কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি ঠিকঠাক চললে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞ মহলের মত। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন আবাসনগুলি জলনিকাশী ব্যবস্থা দেখলে ডেঙ্গু বাহিত মশার আতুঁরঘর বলে মনে হবে। এইরুপ দাবি পুলিশ কর্মীদের পরিবার গুলির। আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি রিপোর্ট দেয়, তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।                                                                                           

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু