জয়নগরের মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তার সর্বদা থাকার নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জয়নগর এলাকার এক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকা বিষয়ক এক মামলা উঠে। তাতে ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে নির্দেশজারী করেছে যাতে ওই হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকে। এখানে চার সপ্তাহ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে এই আদেশনামা টি কার্যকর করার জন্য। আদালত সুত্রে প্রকাশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতাল টি একদা বিধান চন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলে গড়া হয়েছিল।  বছর দশ আগে ছোটখাটো অপারেশনও হত। ২০১৭ সালে ১৫ অক্টোবর গৌড় সর্দার নামে এক এলাকাবাসী হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ফেরাতে শতাধিক বাসিন্দাদের সাক্ষর নিয়ে লিখিত দাবিপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলাশাসক এবং বিডিও কে দিয়েছিল। আশেপাশে দশের বেশি গ্রামের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সাধারণত গ্রুপ ডি এবং নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা করতো বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে   এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে। সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একজন চিকিৎসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। গত দুবছর ধরে পুনরায় এই হাসপাতালে চিকিৎসক অনিয়মিত হয়ে উঠে। আবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃস্টি আকর্ষণ করানো হয় হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার গতি বাড়াতে। শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। তখন ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে এই গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকার বিষয়ে নির্দেশজারী করে এবং তা কার্যকর করার জন্য একমাসের সময়সীমা দেওয়া হয়। মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " গ্রমের দিকে স্থানীয় হাসপাতালের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সরকার যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিকরণে এত তৎপর, সেখানে একটি হাসপাতালে অধিকাংশ সময় চিকিৎসক না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। "                                                                                                                            

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু