সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিডিয়েশনে গতি বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

মামলার পাহাড় কমাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিডিয়েশনে গতি বাড়াতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই গত ১৫ এবং ১৮ নভেম্বর মিডিয়েশন নিয়ে আইনজীবিদের সাথে কর্মশালা হয়েছে বিচারক / বিচারপতিদের  । মূলত দুই ২৪ পরগণা এবং কলকাতা এলাকায় আইনজীবীদের নিয়ে এই কর্মশালা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের নব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মিডিয়েশন কমিটির সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন মিডিয়েশনের গতিপ্রকৃতি সহ মূল লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ( অরিজিনাল সাইড) তথা মিডিয়েশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি অনির্বাণ দাস মহাশয়।মিডিয়েশনের মাধ্যমে মূলত বৈবাহিক, দেওয়ানী এবং বাণিজ্যিক মামলাগুলি দ্রুত নিস্পত্তি হবে। এই আইনী প্রক্রিয়াটি গত ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেওয়া হলেও গতি ছিল মন্থর। তাই মহকুমা আদালত থেকে জেলা আদালত সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্টের আওতাধীন বৈবাহিক,দেওয়ানী  এবং বাণিজ্যিক ( আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ) মামলাগুলি মিডিয়াটরের মাধ্যমে দ্রুত নিস্পত্তি করবেন সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারক।  আদালত সুত্রে প্রকাশ,  বিভিন্ন নিম্ন আদালতে আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের ঘরে মিডিয়াটররা ( আদালত নিযুক্ত আইনজীবী) কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে বাদী এবং বিবাদী পক্ষদের নিয়ে মামলা নিস্পত্তি করার অনুরোধ সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের কাছে পিটিশনের মাধ্যমে দিচ্ছেন। তাতে মামলা নিস্পত্তি ঘটছে। উল্লেখ্য, মিডিয়াটররা টানা চল্লিশ ঘন্টার এই বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে এই আইনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। এই আইনী প্রক্রিয়ার জন্য বাদী কিংবা বিবাদীদের কোন ফি লাগেনা। বুধবার বিকেলে মিডিয়েশনের গতি বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।                                                                                                                   

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু