পূর্বস্থলীতে সঙ্গীতশিল্পীর স্মরণে সভা

দীপঙ্কর চক্রবর্তী
    
 মাটির ঘড়,নিকোনো উঠোন।মাটির দেয়াল জুড়ে তাঁর হাতে গড়া বিভিন্ন মনীষির মূর্তি।উঠোনে সাদা আল্পনা,গাছে গাছে কাঠ দিয়ে বানান কাটুম কুটুম।সপ্তাহের প্রায় দিনই এখানে বেদের স্তোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয়।সারা দিন ধরে চলে রবীন্দ্র,লোকসংগীত,চারুকলা অনুশীলন।কাছ থেকে দূর থেকে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা আসে এখানে সাংস্কৃতিক মন গড়ে সফল মানুষ হতে।১৯৪৬ বাংলাদেশে দাঙ্গায় সব ছেড়ে পূর্বস্থলীর পরমেশ প্রিয় ভট্টাচার্যর বাড়িতে এসে ওঠেন। পরে পারুলিয়ায় বন কেটে বাঘ তাড়িয়ে ছিন্নমূলদের নিয়ে বসতি স্থাপন করলেন সেসময়কার ১৮ বছরের  ব্রজেন্দ্র কুমার চক্রবর্ত্তী। বৃহত্তর পূর্বস্থলীতে মানুষের সেবা করা,সাথে বয়স্ক শিক্ষা প্রচলন,ক্লাব গঠন করে যাত্রা,নাটক,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা,স্কুল গঠন করেন।তিনি মনে করতেন জীবন ধারনের সাথে এবং প্রচলিত শিক্ষার সাথে সত্য সুন্দরের পথের সন্ধান দিতে পারে সংগীত ও চারুবিদ্যা। তাই তিনি পারুলিয়ায় নিজ বাড়িতে ১৯৫৭ সালে স্থাপন করেন আনন্দলোক সংগীত মহাবিদ্যালয়।সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁর অগনিত ছাত্রছাত্রী, তার এই ভাবধারাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে।তার পুত্র শিক্ষক কবি দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী জানান- "২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রজেন বাবু ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন।মঙ্গলবার এই আনন্দলোকে তাঁর গুনমুগ্ধ,আত্মীয়,অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসি তাঁকে স্মরণ করল কথায়,তাঁর জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিকথায়,সংগীতে"।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু