ভাতারে টোটো চালক ফেরালো সোনার গহনা

মোল্লা জসিমউদ্দিন ও আমিরুল ইসলাম     

  ফের সততার নজির  দেখা গেল এক  টোটো চালকের। ফেরালেন নব্বই হাজার টাকার সোনার অলঙ্কার।ভাতারের ঘটনা এটি।  গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে   ভাতারের বড়বেলুনের বড়কালির বিসর্জন ছিল ।সেই বিসর্জনে  হাজার হাজার  মানুষ সামিল হয়েছিলেন। ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীর এক পরিবারের মা ও ছেলে গিয়েছিলেন এই বিসর্জন দেখতে । অভিজিৎ মন্ডল, ও পুষ্প মন্ডল নাম তাদের।পুষ্প দেবী যখন তার পোশাক পরিবর্তন করছিলেন তখন লক্ষ্য করেন তার গলার মধ্যে থাকা দুই ভরি ওজনের সোনার হারটি  নেই।
এরপরই বাড়ির সকল সদস্যের মন খারাপ হয়ে যায়। এত ভিড়ের মধ্যে মনে হয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিয়েছে এ রকমই চিন্তা-ভাবনা করেন পরিবারের লোকজন।অপরদিকে যে টোটোতে পুষ্প দেবী এসেছিলেন তার বাড়ি ভাতারের খুন্না গ্রামে।টোটো চালকের নাম সঞ্জীব সামন্ত। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি টোটো চালাচ্ছেন ভাতারের বিভিন্ন সড়কপথে ।গতকাল রাত্রে তিনি যখন টোটো তে ব্যাটারির চার্জ দিতে যান, তখন তিনি দেখতে পান তার টোটোর মধ্যে একটি সোনার হার পড়ে রয়েছে। তিনি অনুমান করেন ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী যে কাকিমাকে নিয়ে এসেছিলেন তারই হতে পারে হারটি। বুধবার  সকালে তিনি  রবীন্দ্রপল্লীতে এসে অভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করেন তাদের কোন সোনার  জিনিস গতকাল কে খোয়া গেছে কিনা ।তখন তারা জানায় তাদের গলার হার  হারিয়ে  গেছে।সঙ্গে সঙ্গে সেই হার টি ফিরিরে দেয় টোটো চালক সঞ্জীব সামন্ত।তার এই সততা দেখে খুশি ভাতার এলাকার মানুষজন। অপরদিকে টোটো চালক জানান - " আমাকে খুবই ভালো লাগছে, আমি এই হারটা ওনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি"।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু