বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের নুতন মূর্তি বেকার হোস্টেলে


মোল্লা জসিমউদ্দিন( প্রাক্তন  আবাসিক - বেকার হোস্টেল), 

পরাধীন ভারতে  এক বৃটিশ সাহেবের নামে  কলকাতার ৮ স্মিথ লেন ( তালতলা )  এলাকায় সংখ্যালঘু মূলত মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছিল। ওয়াকফ স্টেটের জায়গায় উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের ২০০ ঘর বিশিষ্ট তিনতলার হোস্টেল টি 'বাকের' সাহেবের নামাঙ্কিত হলেও এটি সর্বাধিক পরিচিত বেকার হোস্টেল হিসাবে। সেসময় ইসলামিয়া কলেজ অধুনা মৌলানা আজাদ কলেজের ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় থাকবার জন্য। বর্তমানে শুধুমাত্র স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের হোস্টেল হিসাবে রয়েছে এই হোস্টেল। আগে প্রতি রুমে একজন থাকত, এখন দুজন  অর্থাৎ চারশো জন পড়ুয়ার আবাসিক হোস্টেল এটি। বাঙ্গালী মুসলিম জগতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী, পুলিশ অফিসার প্রভৃতি পেশায় যুক্তদের অধিকাংশের ছাত্রজীবন কেটেছে এই হোস্টেলে।   বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে( মৌলানা আজাদ কলেজ) পড়ুয়া থাকাকালীন ১৯৪৫ এবং ১৯৪৬ সালে বেকার হোস্টেলের তিন তলায় ২৩ এবং ২৪ নং রুমে দুবছর কাটিয়েছেন আবাসিক হিসাবে।  পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই এই হোস্টেলের দুটি ঘর পরিদর্শনে আসেন। যেখানে এখনও বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের  ব্যবহৃত আলমারি, চেয়ার, টেবিল রাখা আছে। সেসময় বাংলার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা  উভয়ই  বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ্য মূর্তি উন্মোচন করেন। তবে মূর্তির সাথে বঙ্গবন্ধুর চেহারার অমিল থাকার জন্য তৎকালীন মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান এই মূর্তি নিয়ে বেকার ও ইলিয়ট হোস্টেলের পড়ুয়াদের নিয়ে টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিলেন।কেটে গেছে অনেকগুলি বছর। 

শনিবার সকালে এই বেকার গভঃ হোস্টেলে বাংলাদেশের পল্লীমন্ত্রী তাজুল  ইসলাম, প:ব: সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান, বাংলাদেশ দুতাবাসের আধিকারিক, মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যাপকবর্গ সহ বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের নুতন আবক্ষ্য মূর্তি উদঘাটনে। এদিন তাঁরা বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা ঘর ঘুরে দেখেন। ছবিতে মাল্যদান করে থাকেন। তবে এবারের আবক্ষ মূর্তিটি এপারের কোন শিল্পী করেন নি। করেছেন ওপার বাংলার অর্থাৎ বাংলাদেশের বিখ্যাত  ভাস্কর শিল্পী লিটল পাল রণী । এই হোস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান -  বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ঘর সংলগ্ন ২০ নং ঘরে (তিনতলায়) বেশ কয়েকবছর ছাত্রজীবন কাটাতে পেরে আমরা গর্বিত।                 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু