মঙ্গলকোটের বে আইনী সম্পত্তির মালিক কারা? ইডি তদন্ত দাবি

মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এক জমি দালালের মাধ্যমে  কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনে রেখেছেন শাসকদলের বেশকিছু নেতা। মঙ্গলকোটের বক্সিনগর, পদিমপুর বাইপাস, নুতনহাট, বড়বাজার প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার ধারে ও মাঠে জমি জায়গা এমনকি কবরস্থান পরিচিত জায়গা পর্যন্ত কেনা হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।  বীরভূম লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায়, সিউড়ি সংলগ্ন পাথরচাপড়ী এমনকি কলকাতার নিউটাউন - রাজারহাটে ফ্লাট/ জায়গা কেনা হয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ । ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল অবধি মঙ্গলকোটের নুতনহাট সাব রেজেস্ট্রি অফিস, কাটোয়া মহকুমা সাব রেজেস্ট্রি অফিস, বর্ধমান সদর রেজেস্ট্রি অফিস, সিউড়ি সদর রেজেস্ট্রি অফিসগুলিতে সার্চিং করলে এর প্রমাণ মিলবে বলে জানা গেছে৷ সেইসাথে এইসব এলাকায় সরকারী /বেসরকারী ব্যাংকগুলিতে বিগত কয়েক বছরের আর্থিক লেনদেনের তথ্য নিলে বিপুল বে আইনি অর্থ যোগানের সুত্র মিলতে পারে,কৃষি ঋণের নামে ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থ তোলা হয়েছে । ওই জমি দালালের হাত ধরে সদর মঙ্গলকোট সহ অন্যান্য এলাকার শাসকদলের নেতারা বিপুল সম্পত্তি বেনামে কিনে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এইবিধ নেতারা আবার ঝা ঝকঝকে চারচাকা গাড়ী ব্যবহার করেন,কুড়ি পঁচিশ টা মোটরসাইকেল সাথে থাকে আবার । অপরদিকে রাজ্য বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জীর অভিযোগ - "মঙ্গলকোটে যারা প্রধান /উপপ্রধান পদে রয়েছে তাদের আগে বাড়ী গাড়ী বিষয় সম্পত্তি কি ছিল?  আর এখন কি হয়েছে তা খোঁজখবর নিলেই বোঝা যাবে এরা কত কামিয়েছে দল কে সামনে রেখে"। মঙ্গলকোটে ওসি পদে একদা থাকা এক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন - "টানা আট বছর মঙ্গলকোটে যে কয়েকজন ব্লক কমিটি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সম্পত্তি গুলির সুত্র দিতে পারে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে থাকা ওই জমির দালাল। যার নামে / বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ব্যাংক সহ রেজেস্ট্রি অফিস এমনকি ভূমি সংস্কার দপ্তরে সুনিদিস্ট তথ্য প্রমাণ মিলতে পারে"।  রাজ্য সরকারের  উপর ভরসা না  রেখে অনেকেই ইডি তদন্তর দাবি তুলছেন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু