মঙ্গলকোটে পরকীয়ার জের, স্ত্রীর হাতে নৃশংস খুন স্বামী
আমিরুল ইসলাম ,
মঙ্গলকোটের ধারসোনা গ্রামে এক যুবক কে বটি দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করলো তার স্ত্রী । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনাস্থলে মঙ্গলকোটের কৈচর ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী।পরিবারের দাবি, স্ত্রী খুন করেছে তার স্বামীকে। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জন্য এই খুন, অনুমান পরিবারের। মৃত ব্যক্তির নাম লতিফ চৌধুরী (৩৩)। স্ত্রীর নাম মনোয়ারা বিবি ।কি কারণে খুন, কে করলো খুন, তদন্ত শুরু করেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।এলাকা সুত্রে প্রকাশ , বছর এগারো আগে লতিফ চৌধুরীর বিবাহ হয় বর্ধমানের ভূতারপারের মনোয়ারা বিবির সঙ্গে। বর্তমানে তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে বড় মেয়ের নাম প্রিয়া চৌধুরী (১০) বছর ,ছোট মেয়ের নাম কেয়া চৌধুরী(৬)। বিবাহের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সেই ভাবে সু-সম্পর্ক হয়নি। মনোয়ারা বিবি অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে প্রায় দিন ঝগড়া হতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এ নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ছিল নিগনে৷ সেখান থেকে মনোয়ারা বিবি তার ছোট মেয়ে কেয়া চৌধুরী কে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছে মনোয়ারা বিবি। লতিফ চৌধুরীর বাবা নিয়ামত চৌধুরী বলেন - "গতকাল ভোররাতে তিনটার সময় প্রচন্ড গোঙানির আওয়াজ পাই, সঙ্গে সঙ্গে আমি উঠে দেখি বারান্দায় আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি সকলকে ডাকি তখন দেখি ছেলে মারা গেছে। গলার নলি কেটে আমার ছেলেকে খুন করেছে। ঘরে রক্তাক্ত বটি পড়েছিল।আমার ছেলেকে আমার বউ মা প্লান করে খুন করেছে ।আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে ওর শাস্তি দিক"। লিখিত অভিযোগ জানাবে বলে জানিয়েছেন নিহতের বাবা।লতিফ চৌধুরীর মা লুৎফর বিবি বলেন - "বিয়ের পর থেকে আমার ছেলে বৌমার সুসম্পর্ক কোনদিনই হলো না। কিন্তু আমার ছেলেকে এই ভাবে মেরে দেবে আমি ভাবতেও পারিনি ।আমি চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের সাজা দিক"।পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।দেহ উদ্ধার করে কাটোয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের এর জন্য। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ধারসোনা গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা যায় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান - নিহতের স্ত্রী মোবাইলে মিস কল থেকে আলাপ হওয়া এক ব্যক্তির সাথে বছর খানেক ধরে অবৈধ প্রেম রয়েছে।কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরে এদের কে একসাথে ঘুরতে ফিরতে দেখা যেত। যা নিয়ে স্বামীর সাথে স্ত্রীর প্রায় ঝামেলা হত। পুলিশ যদি নিহতের স্ত্রীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল ডিটেইলস সংগ্রহ করে দেখে, তাহলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে বলে দাবি উঠেছে।