কাটোয়া ১ নং বিএলআরও অফিসে রেকর্ড জালিয়াতি অব্যাহত

পুলকেশ  ভট্টাচার্য ,

কখনো  শুনেছেন,  মারা যাওয়ার পর জমি রেজেস্ট্রি করে গেছে মৃত ব্যক্তি!!
আবার  কখনো কি দেখেছেন,  লিখিত অভিযোগে দলিল খারিজ হওয়া মামলার কথা জানালো হলেও সেটি নথিভুক্ত করা হয় ।
শুধু তাই নয় ২০১৪ এর মিউটেশন অর্ডারে দলিল নাম্বার উল্লেখ না রেখে  আবার সেটি কে ২০১৭ এর পর এন্ট্রি করানো হয়। সর্বপরি  তৎকালীন অভিযোগকারী একজন রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে দেওয়ানী বিচারক হিসাবে সু পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর  শিক্ষক পিতার সইটি জালিয়াতি করে দলিল করা হয়েছে বলেও বিএলআরও, এসডিআরএলও, এসডিও এবং ডিএলআরও দের লিখিত  অভিযোগও জানিয়ে যান। সার্ভিস বুক থেকে অতীতে কেনা বেচার দলিল দেখলেই আসল সাক্ষর উঠে আসবে। রেকর্ড জালিয়াতিতে অভিযুক্ত  ব্যক্তি পিওন পদের অপব্যবহার  করে রেজাস্টি মিউটেশন নোটিশ গায়েব করে বলেও অভিযোগ জমা পড়ে জেলা ডাক আধিকারিকের অফিসে, তাও দুবার। এমনকি রাজ্য ডাক অধিকর্তা কেও লিখিত  অভিযোগ জানানো হয়।

এইবিধ নানান  অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু কাটোয়া ১ নং ভূমি সংস্কার দপ্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ইমেলে পুরো ঘটনার সততা জানতে 'ফরেন্সিক' এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল। সাক্ষর যাচাইয়ের  জন্য ফরেন্সিক এবং ২০১৪ এর মিউটেশন অর্ডারে দলিল  নথিভুক্ত না থাকা সর্বপরি সেটি ২০১৭ এর দলিল এন্ট্রি করানো নিয়ে সাইবার  ইনভেস্টিগেশন দাবি উঠছে। জেলা ভুমি সংস্কার  দপ্তরের আপিল নাম্বার ১৭২/১৬ তে অভিযুক্ত দশমাসে চারবার নোটিশ পেয়েও গড়হাজির থাকে, শেষের শুনানিতে প্রতিনিধি পাঠালেও কোন দলিল এন্ট্রি করেননি তৎকালীন জেলা ভুমি সংস্কার  আধিকারিক। তিনি অবশ্য কায়দা করে 'ফেস  হিয়ারিং' সেই অভিযুক্ত কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তরেই পাঠিয়েছিলেন।
ফেস হিয়ারিং তে মামলায় খারিজ হওয়া দলিল যেমন পিট দলিল হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ঠিক তেমনি অভিযুক্তের মালিকানা দলিল টিতে দেখা যায়, দাতা দলিল সম্পাদিত তারিখের ১৬ মাস আগেই মারা গেছেন!!!

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু