নির্বাচনে পুলিশি সন্ত্রাস রুখতে সিসিটিভি ক্যামেরার ভুমিকা?

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ১০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নেমেছেন এবং ধাপে ধাপে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলার বুক । মূলত আসন্ন লোকসভায় ভোটারদের মধ্যে ভীতি কমাতে। সর্বপরি অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের । প্রত্যেকবারের কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয়গত পরিচালনায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংশ্লিষ্ট থানা। ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকার পুলিশের মধ্যে আইসি / ওসিদের প্রায় বদলী করেছে। যারা একই মহকুমা এলাকায় তিন বছরের বেশি সময়কাল থেকেছেন তাদের কে বদলী করা হয়েছে জেলারই অন্য মহকুমার থানাগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে । ভোটপর্ব শুরুতেই থানার কোথাও অতিসক্রিয়তা আবার কোথাও চরম নিস্ক্রিয়তা চোখে পড়ে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত হয় রাজনীতির বলয়। অভিযোগ উঠে, খুনের মামলায় ওয়ারেন্ট আসামি দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। আবার কোথাও জামিনযোগ্য ধারায় মামলায় অভিযুক্তদের পুলিশি সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছাতে পারে অল্প সংখ্যক ভুক্তভোগী। তবে কমিশন অত্যন্ত দ্রুততায় অভিযোগের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, ভোটারদের বড় অংশ চাইছেন - জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি থানার সিসিটিভি ব্যবস্থা কতটা বাস্তব সম্মত তা ভোটের পূর্বে খতিয়ে দেখুক কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। একাধারে ভোটারদের মধ্যে পুলিশি সন্ত্রাস যেমন কমবে, ঠিক তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালনার ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সুবিধা পাবে কমিশন কর্তৃপক্ষ। তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলকারী নিয়ে পুরো ভিডিওগ্রাফি চাইছে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে । পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশকিছু থানার ভূমিকা নিয়ে বরাবর বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সময় । কখনো লকয়াপে মারধর , আবার কোথাও ডিউটি অফিসারের রুমে মানসিক হেনস্থা। এইবিধ নানান অভিযোগে তপ্ত হয়েছে পূর্বস্থলী থানা।এমনকি গাঁজার মত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য বর্ধমান সদর আদালতে এসিজেম একদা বর্ধমান সদর থানার সিসিটিভি নিয়ে ভৎসনাও করেছেন। তাই অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে থানার সিসিটিভি নিয়ে বাস্তব সম্মত রিপোর্ট নিক কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা চাইছেন গনতন্ত্র প্রেমী ভোটাররা। থানার সেন্ট্রি, ডিউটি অফিসার, হাজতখানা, সাব ইন্সপেক্টর রুম গুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার নির্দেশিকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নানান বিবাদে জড়াবে। সেখানে ঘটনা পরবর্তী তারা অভিযোগ নিয়ে সর্বপ্রথম থানায় পৌছাবে। অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রায়শ প্রশ্ন উঠে। বিচারপ্রার্থীরা অনেক সময় অভিযোগই জানাতে পারেন না। পরবর্তী ক্ষেত্রে আদালতের কিংবা নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে পুলিশ সক্রিয় হলেও অভিযোগকারী থানায় আসেননি বলে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়ে। তাই আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে থানার সিসিসিটিভি গুলি আদৌও চলে কিনা কিংবা রেকর্ডিং সিস্টেম ঠিকঠাক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবার দাবি উঠেছে গনতন্ত্র প্রেমী ভোটারদের মধ্যে। এখন দেখার অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থানার সিসিটিভি নিয়ে রিপোর্ট নেয় কিনা!

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু