হাই প্রোফাইল মামলায় নজরদারি বাড়াচ্ছে মুকুল বলয়

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 


 হাতে মাত্র কয়েকটা মাস,  তারপরেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজবে গোটা দেশ জুড়ে। নির্বাচনী বিধি শুরু হবে। সেইসাথে 'ফেরার'অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি করতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বারবার জেলা পুলিশ প্রশাসন কে নির্দেশিকা জারি করবে। এবারে নির্বাচন  নিয়ে রাজ্যসরকার  ও কেন্দ্রীয়সরকারের মধ্যে মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে। তা অনেকেই উপলব্ধি করছেন। বিশেষত রামনবমী,  হনুমান জয়ন্তী,  সর্বশেষ রথযাত্রার পেক্ষাপট দুই শিবির কে সামনাসামনিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।      তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট করানো নেতা কর্মী বিশেষত যারা বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত,  তাদের 'ফ্রেস' করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অস্ত্রপাচার,  গাঁজাপাচার সহ গুরতর জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা গুলিতে যেসব রাজনৈতিক নেতা কর্মী অভিযুক্ত রয়েছেন জেলার অন্দরে কিংবা জেলের বাইরে।তাদের জামিন পেতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে লোকসভায় তাদের কে যেমন পাওয়া যায়,  আবার ওয়ারেন্ট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কথা শুনতে না হয়।     বেশ কয়েকটি আদালত সুত্রে প্রকাশ,  তাদের জামিন করানো নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে গত নভেম্বর মাস থেকে। এইসব মামলায় চার্জশিট পেশের পর পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় জামিন কিংবা খালাস দানে ।পুলিশের একাংশের সুত্রে প্রকাশ,   ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসেই ওসি / আইসি পদমর্যাদার অফিসারদের মহকুমা বদলী হতে পারে। তাই বেশিরভাগ এইধরনের পুলিশ আধিকারিকরা অফিস অপেক্ষা কোয়াটারে বেশি ব্যস্ত বিভিন্ন পুরাতন ফাইল নিয়ে বলে জানাচ্ছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু পুলিশকর্মী। কেননা লোকসভার প্রাক্কালে থানার নবাগত ওসি কিংবা আইসির পক্ষে কেসের মেরিট বোঝা কঠিন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের 'ওয়ারেন্ট' কার্যকর করার তাগাদা অনেককেই বিপদে আনতে পারে বিশেষত সার্ভিস বুকে লাল কালি কে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন   । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে চাণক্য হিসাবে পরিচিত বিজেপি নেতা মুকুল রায় থানায় থানায় থাকা হাই প্রোফাইল মামলা গুলির স্টাটাস ফলো করছেন বলে জানা গেছে। মুকুল বাবু ঠিকুজিগুস্টি সংগ্রহে ওস্তাদ রয়েছেন বলে অনেকেই মানেন।২০০৯ সালের লোকসভা  এবং ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে দেওয়া তাঁর তথ্য তৃনমূল কে খাতাকলমে লড়াই করতে খুব সহযোগিতা এনেছিল বলে দাবি। সেদিন আর নেই,  এখন তিনি জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুলে বঙ্গ রাজনীতির এক গুরত্বপূর্ণ দিক। গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের তথ্য তুলে যেভাবে আক্রমণ করেছেন। তাতে অনেকেই বাহ্যিকভাবে না হলেও ভেতর ভেতর তটস্থ। মুকুল রায়ের পূর্ব বর্ধমানের ডানহাত হিসাবে পরিচিত এক নেতা বলেন - আমাদের লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা বিভিন্ন আদালতে জিআরও,  কপি সেকশন সহ বিভিন্ন এজলাসে ঘুরছেন তথ্য সংগ্রহে। মূলত হাই প্রোফাইল মামলা গুলির পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট দিকে নজর রয়েছে।রিপোর্ট পেশের গড়মিল গুলি এফআইআর  কপি থেকে চার্জশীট, আবার সিজার লিস্ট থেকে সাক্ষিদের সাক্ষ্যদান পর্যন্ত পর্যালোচনা করলেই সেগুলি কতটা বিধি সম্মত, তার ইংগিত মিলবে বলে পদ্মশিবিরের লিগ্যাল সেল মনে করছেন। আর এগুলি হাতে নিয়ে আগামী লোকসভায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে ছোটাছুটি বাড়বে মুকুল বাবুর। ঠিক এইরুপ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।                

                                                                                                 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু