পুজো দেখতে ট্রেন পেয়ে খুশি কাটোয়া বর্ধমান রুটের এলাকাবাসীরা


মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

এখনও ছয়মাস হয়নি কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলরুটে বড় ট্রেন চালু হওয়া। এরেই মধ্যেই রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬, ১৭,১৮,১৯  অক্টোবর তারিখে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চলবে এই রেলরুটের মধ্য দিয়ে । আর এই ঘোষনায় কাটোয়া মহকুমার পাশাপাশি সদর বর্ধমান মহকুমার বাসিন্দারা খুবই খুশি। এবার পুজোয় জেলার সদর কিংবা মহকুমার সদরের মধ্যে সর্বপ্রথম এই বিশেষ ট্রেন চলবে কাটোয়া থেকে বর্ধমান  রেলরুটে।     বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনটি ছাড়বে  রাত ৮ টা ২০ মিনিটে। কাটোয়ায় ট্রেনটি পৌছাবে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে। আবার এই ট্রেনটি কাটোয়ায় বর্ধমান স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১০ টায়। এবং জেলার সদরে পৌছাবে রাত ১১ টা ২০ মিনিটে। ৫২ কিমি এই রেলরুটে বাস সন্ধের পর থেকেই পাওয়া যায়না। তাও গভীররাতে পুজোর চারটি দিন কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরের পুজো দেখতে যাওয়া আগে ছিল ব্যয়বহুল এবং পথেঘাটে নিরাপত্তাহীণতায় ভোগার বিষয়। শুধু কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক কিংবা বর্ধমান সদরের চারটি ব্লক এলাকার বাসিন্দারা নয়।কাটোয়া লাগোয়া বীরভূম - নদীয়া - মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা পুজোর এই বিশেষ ট্রেনে কাটোয়া থেকে জেলার সদরে বড় বড় মন্ডপে পুজো দেখতে ভীষণ আগ্রহী বলে জানা গেছে। মঙ্গলকোটের কৈচর এলাকার বাসিন্দা তথা বিচার বিভাগের কর্মী   সুশোভন মুখার্জি জানান - "আমাদের এলাকা থেকে রাতে বর্ধমান শহরে পুজো দেখতে গেলে ব্যক্তিগত গাড়ী ভাড়া করে যেতে হত, যা ব্যয়বহুল পাশাপাশি গভীররাতে এই সড়কে ফেরাটা দুশ্চিন্তার কারণও। তবে এবার ট্রেন দেওয়ায় সপরিবারে কম খরচে পুজো দেখতে যাওয়াটা খুব আনন্দের "।                             

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু