উরশে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম , তবুও মুসলিম অতিথি নিবাস নেই মঙ্গলকোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

  সুফি সাধক হামিদ বাঙালি সহ  আঠারো আউলিয়া খ্যাত মঙ্গলকোট গ্রামের কাদেরীয়া আস্তানা শরিফে সুফি সৈয়দ শাহ রাশাদ আলী আল কাদেরীর ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বাৎসরিক উরস পালিত হলো। এই উরসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,  ভাতারের প্রাত্তন বিধায়ক বনমালী হাঁজরা,  ওয়াজুল হক, ইন্তাজ আলী শাহ প্রমুখ। উরস   উদযাপন কমিটির সহ সম্পাদক তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী সেখ আনসার আলী মন্ডল জানান - "দুই বাংলা থেকে অজস্র ভক্তকূলের আগমন ঘটেছিল আজ। " ইসলামের দর্শন এবং কাদেরীয়া পরিবারের ভুমিকা নিয়ে পীরসাহেবের তিন পুত্র যথা সৈয়দ শাহ ফাদিল ইরশাদ আল কাদেরী, অধ্যাপক সৈয়দ শাহ মারহুনাল ইরশাদ আল কাদেরী, ডঃ সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল ইরশাদ আল কাদেরী বক্তব্য পেশ করেন। উরস উপলক্ষে বাংলার বিভিন্ন জেলা ছাড়াও সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি থেকে প্রচুর পীরসাহেবের অনুগামীরা এসেছিলেন। সেইসাথে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন তারা। বেশিরভাগই উরশের আগেরদিন দুপুরে এসেছেন মঙ্গলকোটে। মাঠে তাবু খাটিয়ে থাকতে হয়েছে তাদের কে। ব্লক প্রশাসনের তরফে অস্থায়ী শৌচাগার করা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় নগ্ন। বিপাকে পড়তে হয় উরসে আসা ব্যক্তিদের কে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত 'এমএসডিপি' ব্লক মঙ্গলকোটে মুসলিম অতিথি নিবাস কেন গড়া হয়নি,  তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসীর অভিযোগ - এমএসডিপির কোটি কোটি অনুদান শোলার হাব সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়, অথচ মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দিক্ষাগুর     হামিদ বাঙালি সহ আঠারো আউলিয়াদের পীঠস্থান মঙ্গলকোটে মুসলিম স্থাপত্য সংস্কার সহ অতিথিনিবাস, মাজার সংলগ্ন মডেল শৌচাগার প্রকল্পগুলি নেওয়া হয়না।                                                                  

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু