মঙ্গলকোটে উন্নয়নের কান্ডারী কারা? /১

মোল্লা জসিমউদ্দিন

উন্নয়নের জোরে মঙ্গলকোট সহ কাটোয়া মহকুমা বিরোধীশুন্য হয়েছে গত পঞ্চায়েত ভোটে। যদিও সুপ্রীমকোর্টে আগামী ৬ আগস্ট রাজ্যের একুশ হাজার বিরোধীশুন্য আসন নিয়ে রায়দান রয়েছে।সুপ্রীমকোর্ট  এই মামলায় পর্যবেক্ষণে 'উন্নয়ন' দেখে তাজ্জব হয়েছে।যে, একহাজার দুহাজার আসন নয়, একুশ হাজার আসনে বিরোধী নেই? যাইহোক মঙ্গলকোটের উন্নয়ন নিয়ে একটু আলোকপাত করতে চাই।  মঙ্গলকোটের এহেন উন্নয়নের কুশীলব কারা? যাদের জন্য উন্নয়নের সীমাহীন স্রোতে বিরোধীশুন্য হল গোটা মঙ্গলকোট।যে মঙ্গলকোটে গত বিধানসভায় মাত্র বারো হাজার ভোটে জিতেছিল শাসকদল।পঞ্চায়েত ভোটে  যে পাঁচজন গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছেন।তাদের মধ্যে মঙ্গলকোট থানার এক সাব ইন্সপেক্ট, ব্লক তৃনমূলের এক 'জননেতা', পঞ্চায়েত  সমিতির বিদায়ী দুই জগাইমাধাই কর্মাধ্যক্ষ,  ব্লকের এক আধিকারিক অন্যতম।এই প্রতিবেদক কে নির্ভীক সাংবাদিকতা করার জন্য এই পঞ্চ কুশীলবদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছিল।পেরে উঠতে পারিনি, সেটা অন্য কথা।চেস্টা তো বারবার চালিয়েছিল।  এটি অন্ততদন্তমূলক প্রতিবেদন।তাই ক্রমাগত চলবে এই সিরিজ।প্রথমেই আসবো পুলিশ নিয়ে। গত দুবছর যেভাবে মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক খুন রাহাজানি ঘটেছে।সেখানে পুলিশ কি দায় এড়িয়ে যেতে পারে? বিরোধীদের কে এত গাঁজার মামলা দেওয়া হয়েছে, সেখানে বারবার প্রশ্ন উঠে তাহলে কি মঙ্গলকোট গাঁজা পাচারের অবাধ মুক্তাঞ্চল? সব গাঁজার মামলাগুলি একত্রিত করে সমস্ত সিজ গাঁজা আদালতে পেশ করা হোক।এফআইআর কপি, সিজার লিস্ট, সাক্ষী, চার্জশীট, ফাইনাল রিপোর্ট সহ সমস্ত কিছু হাইকোর্টের তদারকিতে বিচার হোক? এই দাবি মাদক মামলায় প্রায় পরিবারের। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো তো দূরের কথা, ভয়ে অনেক আক্রান্ত থানায় আসতে পারেনা।তৃনমূলের এক বিদায়ী প্রধানের দলবল যে ভাবে পুলিশের একাংশের সাথে আতাত করে থানার সামনে কর্মকাণ্ড চালায়, তাতে অভিযোগ জানাবে কি করে? থানায় সিসিটিভির ফুটেজ আদৌও থাকে কিনা, তা নিয়েও অনেকেরই প্রশ্ন। এমনও অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দলবল গিয়ে কাওকে ব্যাপক মারধর করেছে।তারপরে জনরোষ দেখে বাচাতে পুলিশের আবির্ভাব ঘটেছে।আহত অবস্থায় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে পালটা মামলায় গ্রেপ্তারীর ভয় দেখিয়েছে বিপক্ষ শিবির।তাই মঙ্গলকোটে কোন লিখিত অভিযোগ নেই।এতটায় গভীরতা উন্নয়নে! মঙ্গলকোটের চকগ্রাম, বেলগ্রাম বুইচি, বনপাড়া,পুরাতনহাট  প্রভৃতি  এলাকায় চুরি ছিনতাই ঘটনা ঘটেছে। সিভিক পুলিশের বাড়ীতে বারবার চুরিরও ঘটনা ঘটেছে।আবার চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনার লিখিত অভিযোগ স্থানীয় থানার পুলিশ তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে অভিযোগগ্রহন করেনা বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।      বালিঘাটে দখলদারী নিয়ে বোমার আঘাতে মারাও পড়েছে।লাখুরিয়ায় অজয়ের চরে বিবস্ত্র মহিলার দেহ উদ্ধারও হয়েছে।বেশকিছু সিভিক পুলিশ কে বিধায়ক ঘনিস্ট বলে থানা থেকে 'আউট' করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য করবার পুলিশি ভুমিকা নিয়ে আমরা আরও বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরবো।অত্যাধিক ইনফরমারগিরি করতে নপাড়া মোড়ে সিভিক পুলিশের প্রতি জনরোষের মত ঘটনাও ঘটেছে।আবার বালির ডাম্পারে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু নিয়েও অনুরুপ ঘটনাও ঘটেছে।এমন বিষয় যে, বালিমাফিয়াদের মুক্তাঞ্চল কোগ্রামে পুলিশের মাসিক কনভারেন্স পর্যন্ত হয়েছে।তাতে কি? মঙ্গলকোটে প্রায় বালির গাড়ীতে এলাকাবাসীদের প্রাণহানি না কমে, উলটে বেড়েই চলেছে। থানার সামনে চায়ের দোকানে বালিমাফিয়াদের প্রাত্যহিক মজলিস ঘটে।

চলবে......                        

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু