১৫ জুলাই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আগামী ১৫ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানা এলাকায় পদিমপুর গ্রামে প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা স্মরণে এক দোওয়ার মজলিশের আয়োজন করা হয়েছে।২০১৬ সালে ১৫ জুলাই অবসারপ্রাপ্ত বিচারক ব্রেণস্টোকে মারা যান।এই বিচারকের পৈতৃক বাড়ী কাটোয়া শহর সংলগ্ন শ্রীখণ্ড গ্রামে।১৯৮৩ সালে রাজ্য জুডিশিয়াল পরীক্ষায় সেরা পাঁচে জায়গা পান। ট্রিপল এমএ,  এলএলবি, বিএড প্রভৃতি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।সেইসাথে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচে এমএ করেছিলেন।'দ্য  স্টেটসম্যান' সহ বিভিন্ন দৈনিক কাগজে একসময়  সাংবাদিকতা করেছেন।রাস্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ইংরাজিতে এমএ করেছে। কাটোয়ার কেডিআই  স্কুলে শিক্ষকতা এবং কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে লেকচার পদে ছিলেন।কাটোয়া আদালতে স্বনামখ্যাত আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়র হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করে গেছেন।বিভিন্ন গরীব মক্কেলের কাছে আইনজীবী হিসাবে ফি নিতেন না।এরপরে সরকারি পিপি পরীক্ষায় পাশ করেন।তা করতে করতে বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় ১৯৮৩ সালে রাজ্যে কৃতি হিসাবে সাফল্য পান।১৯৮৮ সালে বর্ধমান সদর আদালতে বিচারক পদে আসীন হন।এরপরে আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি জেলা আদালত, দাঁতন আদালত, আলিপুর সদর আদালত,আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত,বর্ধমান সদর আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদিনীপুর জেলা আদালত,গড়বেতা আদালত,সিউড়ি আদালত,সর্বশেষে শ্রীরামপুর আদালতে ২০১৩ সালে মার্চ মাসে অবসরগ্রহন করেন।বিভিন্ন আদালতে 'মাটির মানুষ' হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন কর্মজীবনে।এহেন গুনি সন্তান তাঁর স্ত্রী আয়েষা সুলতানা, বড় ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন(টিপু), ছোট ছেলে মোল্লা শাহজাহান(নিপু) ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই  রেখে  ভোররাতে মঙ্গলকোটের পদিমপুরে ব্রেনস্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।উল্লেখ্য প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা ছিলেন আমার বাবা ।                

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু