পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে মঙ্গলকোটে তরজা

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আর হাতে এক থেকে দুমাস সময়সীমা,  তারপরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলার বুকে।ইতিমধ্যেই তৃনমূলের প্রার্থী তালিকা একপ্রকার তৈরি বলা যায়।এলাকায় রাজনৈতিক কর্তৃত্ব আদায়ে প্রতিটি থানা এলাকায় বিধায়ক বনাম দলীয় ব্লক সভাপতির লড়াই চলছে।সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন স্থানীয় ক্ষমতা আদায়ের অন্যতম দিক দুতরফেই।মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বরাবরই উত্তপ্ত।সেই নকশাল পিরিয়ড থেকে বাম জমানা।এমনকি তৃনমূলের আমলেও হানাহানি কমেনি, উল্টে বেড়েছে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর প্রার্থী তালিকা 'রেডি' রয়েছে।পনেরোটি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদের তিনটি আসনে কারা কোথায় দাঁড়াবে, তা স্থির হয়ে গেছে।ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পক্ষে এই বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সম্প্রতি দুবার মঙ্গলকোটে সভা করে বলে গেছেন - অপূর্ব চৌধুরীর নেতৃত্বে এবার মঙ্গলকোট বিরোধী শুন্য হবে।অপরদিকে বিপক্ষ গ্রুপের কাণ্ডারি মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, বর্ধমান সার্কিট হাউসে চলতি মাসে অনুগামীদের ছবি সহ ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা নিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী ঠিক করবার জন্য।ব্লক তৃনমূল সভাপতি শিবিরের পক্ষে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক বলেন " গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতের কোণায় কোণায় যে উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেখানে যারা জনপ্রতিনিধি ছিল তাদের সিংহভাগ এবারেও পাবেন"। অন্যদিকে বিধায়ক শিবিরের দাবি - ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গতবারের প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অনুব্রত।কিন্তু দিদি ( তৃনমূল নেত্রী)  সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব কে এখানে পাঠালেন। তাই পঞ্চায়েত ভোটের তৃনমূলের প্রতীকের তালিকায় সাহেবের লোকজন থাকবে।মঙ্গলকোটে দুপক্ষের প্রার্থী তালিকা করা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর পরিবেশ চলছে।তারউপর গত ২০ মার্চ আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলকোট ওসি কে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে যে নির্দেশ দিয়েছেন,  তাতে উজ্জীবিত মঙ্গলকোটের বিধায়ক শিবির।ইতিমধ্যে থানায় নিয়মিতভাবে যাতায়াতের জন্য বিধায়ক প্রতিনিধিদল হচ্ছে।সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দৃষ্টিকোণ কে বিধায়কের প্রার্থী তালিকা কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ব্যাপক প্রচার চলছে গোটা এলাকাজুড়ে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেদিন প্রশাসনিক সভায় কয়েকজন বিধায়ক (ভাতার, মেমারি)  কে যেভাবে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নাম নিয়ে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে শুনিয়েছেন। তাতে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - পঞ্চায়েত ভোটে সর্বত্রই বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীদের ব্যালেন্স করে প্রতীক দেবে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব। সেখানে কোন পক্ষই একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেনা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু