মাশরুম চাষে সাফল্য তালডাংরায়

সাধন মন্ডল

ঘরে বসে কম খরচে বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক কৃষি বিভাগ। কৃষিআধিকারিক স্বপন কোলে বলেন " আমাদের ব্লকে অনেক বেকার ছেলে রয়েছেন, তাদের মাসরুম চাষকরে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তুলতে এই উদ্দ্যোগ নিয়েছি।এ ব্যাপারে আমাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করে চলেছেন দুলাল চন্দ্র দুলে মশায়।। মূলত তারই উৎসাহে পাঁচমুড়া এলাকার পাঁচ ছয়টি গ্রামে প্রায় একশ জনকে মাসরুম চাষ করানো হয়েছে।এক কথায় যদি ঠিকঠাক ভাবে ফলন হয় তবে এক একজন চাষী আশাতীত ভাবে সাফল্য লাভ করবেন।"  চাষী দুলাল বাবু বলেন " গত বছর আমি কিছু চাষকরি তাতে ভাল সাফল্য আাসে।তখন বিষয়টা এ ডি এ  সাহেবকে বলি এবং তিনি আরো বেশীকরে বীজ আনার ব্যবস্হা করেন।আসলে এটি একটি প্রোটিন জাতীয় নিরামিষ খাদ্য এবং এই চাষে কোনো রাসায়নিক নেই।আর মাসরুম চাষেবাড়তি কোনো জায়গা লাগে না।বাড়ীর মধ্যেই এই চাষ করা যায়।প্রয়োজনে আপনার শোবার খাটের তলায়ও করা  যায়। এর জন্য চাই শুধু একটু উদ্দ্যোগ।           প্রণালী:- চাই কিছু খড়।সেগুলোকে খুব ছোট করে ১/২ ইঞ্চি বা ১ ইঞ্চি সাইজের করে কাটতে হবে। সেগুলো একটা বড় পলিথিন প্যাকেটে অথবা ছোট বাঁশের ঝুড়িতে রাখুন,কিছুটা রাখার পর কিছু বীজ ছড়িয়ে দিন তারপর আরো কিছু কাটা খড় বাছানি দিন তারপর আবার কিছু বীজ ছড়িয়ে দিন  এইভাবে তিন চার থাক রাখুন এবং মাঝেমাঝে জল দিন।তবে পলিথিন প্যাকেটে করলে কয়েকটা ফুটো করেদিতে  হবে।। এভাবে কুড়ি থেকে পঁচিশ দিনের মাথায় মাসরুম ফুটতে শুরু করবে এবং পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ দিনের মাথায় বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। একবার  চাষ করলে তিন বার ফলন পাবেন। বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু