শালবনীতে বন্ধ বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প




গতবছর পূজোর পরই দারুণ উদ্যোগের সাথে শুরু হয়েছিল শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বপ্নের প্রকল্প কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প।গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৯ টি সংসদ এলাকার ১৩ টি মৌজার সমস্ত পরিবার , দোকান, হাট, বিদ্যালয় সহ সমস্ত স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য দুটি করে বালতি প্রদান করা হয়েছিল,(একটি পচনশীল বর্জ্য ও আরেকটি অপচনশীল বর্জ্যের জন্য ), মোট ১২ জন কর্মী প্রতিদিন ভ্যান গাড়ি নিয়ে বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহ করতেন, সেই বর্জ্য কে বাছাই করে তার থেকে জৈব সার তৈরির জন্য ৩জন ছেলেকে ISGPP থেকে প্রশিক্ষণ (কল্যানীতে আবাসিক প্রশিক্ষণ ) প্রদান করে নিয়োগ করা হয়েছিল, বিগত ৯মাসে এই প্রকল্প এবং পরিকল্পনায় শালবনী অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন, বাহবা এবং সুনাম কুড়িয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি দল সহ বিভিন্ন সরকারী , বেসরকারী সংস্থার কাছে।কিন্তু গত সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাশয় এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ডের সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দেওয়া হল, - গ্রাম পঞ্চায়েতের বিগত নির্মাণ সহায়ক মানস ঘোষ (যার ২ মাস আগে বদলি হয়ে গিয়েছে) ওনার বিশেষ উদ্যোগে শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোটকলা মৌজাতে ২ বিঘা জমির ওপর প্রায় ৬০ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে ( ২০ লক্ষ্য ISGPP এবং বাকি MGNREGA প্রকল্পের অর্থে ) এই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছিল, প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গ্রাম-পঞ্চায়েত এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জৈব সার তৈরির মাধ্যমে আর্থিক আয় যার ফলে ১৫ জন মানুষ কাজও পেয়েছিলেন. এবং প্রকল্প শুরুর সময় থেকেই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করতেন তৎকালীন নির্মাণ সহায়ক, কিন্তু ওনার বদলির পর নতুন নির্মাণ সহায়ক কোন দায়িত্ব নিতে রাজী হননি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং অনান্য সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ কোন দপ্তরকে না জানিয়েই বা সাহায্যের কোন আবেদন না করে আর্থিক ক্ষতির কথা বলে প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে এলাকার মানুষ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন , এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ১৫ জন কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়লেন, এইসব কর্মচারীরা প্রধান এর কাছে দরবার করলে তিনি কোন কথাই শুনতে রাজি হননি, এর পরে এই কর্মচারীরা এবং এলাকার মানুষজন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং BDOর কাছে আবেদন জানান - তাঁরা জানান শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আগামী দিনে এই প্রকল্প পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করবেন এই বিষয়ে ওনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে আলোচনা করবেন ।এক্ষেত্রে আরও উল্লেখ্য এই প্রকল্প নির্মাণের সময়ই একবার প্রকল্পের জল সরবরাহের সাবমার্সিবেল পাম্প চুরি হয়, পুলিশ তার কোন সুরাহ করতে পারেনি।


posted from Bloggeroid


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বরুপনগরের ২৬ কিমি সড়কপথ সংস্কার হল

পাথরচাপরির দাতাবাবার টানে....

কোতলপুরে নেতাজির জন্মদিনে আসছেন ব্রাত্য বসু